কেন দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধ মানবতাবিরোধী অপরাধের (Crime Against Humanity) প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়??
  
নুরেমবার্গ বিচারিক কার্যক্রম ও নুরেমবার্গ বিচার ব্যবস্থার মূলনীতিগুলো আজও কিন্তু সম্পূর্ণরূপে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যায়নি। সেই শুরু থেকে (১৯৪৬) অনেক রাষ্ট্রই নুরেমবার্গের মূলনীতিগুলো ভঙ্গ করেছে; কিন্তু বর্তমান সময়ে যেখানে পারমাণবিক, রাসায়নিক ও জৈব অস্ত্রের বিস্তার বেড়েই চলছে সেখানে মানবজাতির টিকে থাকার প্রশ্নে উক্ত নীতিগুলো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আরো জরুরি হয়ে উঠেছে। জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যেকোনো ধরনের যুদ্ধ এড়িয়ে যেতে রাষ্ট্রগুলোকে আরো বেশি কৌশলি ও কূটনীতিক তৎপরতায় জোর দিতে বলেছেন। 
৮ আগস্ট,১৯৪৫ সালে লন্ডন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় যাকে পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক সামরিক ট্রাইবুনাল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। এই ট্রাইবুনালের ৬(ক) নং অনুচ্ছেদে শান্তি বিরোধী অপরাধের সংজ্ঞায়নের চেষ্টা করে হয়েছে। সেখানে বলা হয় যে যেকোন ধরনের আগ্রাসী যুদ্ধের পরিকল্পনা, প্রস্তুতি, পরিকল্পনার বাস্তবায়ন, যুদ্ধে আগ্রাসী পন্থানুসরণ এবং আন্তর্জাতিক চুক্তি, এগ্রিমেন্ট ইত্যাদির ভঙ্গ করা অথবা আন্তর্জাতিক ও দেশীয় শান্তি ও নিরাপত্তার বিপরীতে কোনরূপ প্রতারণা বা জালিয়াতি ইত্যাদি আন্তর্জাতিক শান্তি বিরোধী অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি পাবে। 
১৯৪৫ সালেদ অক্টোবর মাসে, নুরেমবার্গ ট্রাইবুনালের প্রথম অধিবেশনে আমেরিকার প্রধান বিচারক রবার্ট জ্যাকসন ঘোষণা দেন যে যদিও এই ট্রাইবুনালের আইনগুলো বর্তমানে জার্মানির আগ্রাসনের বিরুদ্ধে করা হয়েছে, তথাপি এই ট্রাইবুনালের মূলনীতি গুলো আসন্ন দিনগুলোতেও শান্তি বিরোধী অপরাধের অপরাধীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। ১৯৪৬ সালে ট্রাইবুনাল রায় প্রদানের সমাপ্তিতে বলেন যে যুদ্ধের নামে আগ্রাসী আক্রমণ শুধু আন্তর্জাতিক অপরাধই না বরং এটা আন্তর্জাতিক সর্বোচ্চ-অপরাধের (Supreme Crime) তালিকাভুক্ত। 
পরবর্তীতে নুরেমবার্গ ট্রাইবুনালের আইনগুলোকে আন্তর্জাতিক আইন কমিশন খসড়া হিসেবে গ্রহণ করেন, এবং জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আইনটিকে আন্তর্জাতিক সর্বোচ্চ অপরাধ হিসেবে অধিভুক্ত করা হয়। ১৯৭০ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ বন্ধুত্বের সম্পর্ক শিরোনামে একটি রেজুলেশন পাশ করে যার মূল উদ্দেশ্য ছিলো আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা বজায় রাখা, এবং ১৯৭৪ সালে সাধারণ পরিষদ ৩৩১৪ নং রেজুলেশন পাশ করে আন্তর্জাতিক সম্পর্কে আগ্রাসী যুদ্ধের  (War of Aggression) সংজ্ঞায়নের চেষ্টা করেন। অবশেষে ১৯৮৪ সালে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার মূলনীতি – আন্তর্জাতিক শান্তির প্রচারণা ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বজায় রাখার উপর নির্ভর করে আরও একটা রেজুলেশন গ্রহণ করেন যার মূল কথা ছিল জনগণের শান্তিতে বসবাসের অধিকার। 
১৯৯৮ সালে রোম আইনি সংবিধি অনুযায়ী আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (International Criminal Court- ICC) প্রতিষ্ঠা হয় এবং রোম আইনি সংবিধিতে “আগ্রাসনের অপরাধকে (Crime of Aggression) আন্তর্জাতিক অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করে ICC কে বিচার করার অধিকার দেয়া হয়। কিন্তু ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হলে রোম আইনি সংবিধির এই ধারাকে স্বীকৃতি পেতে এক যুগ অপেক্ষা করতে হয়, ২০১০ সালে রোম আইনি সংবিধির ধারা হিসেবে “আগ্রাসন অপরাধ” অনেকগুলো দেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ স্বীকৃতি দেয়, এবং জুলাই ১৭, ২০১৭ সালে ICC তার কার্যবিধি শুরু করেন। 
কাম্পালা সম্মেলনে আগ্রাসন অপরাধের সংজ্ঞায়নে বলা হয়- Crime of Aggression means the planning, preparation, initiation, execution, by a person in a position effectively to exercise control over or to direct the political or military action of a state, of an of aggression which by its character, gravity and scale, constitutes a manifest violation of the character of the United Nations. 
ব্যাপারটা বড়ই দুর্ভাগ্যের যে কাম্পালা সম্মেলনের সংজ্ঞায়নের মধ্যে অনেক ফাঁক-ফুকর ও জটিলতা রয়েছে। এই সংজ্ঞায়নে আগ্রাসনের প্রকৃতি ও নিয়ামক সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দেওয়া হয়নি।  
নুরেমবার্গের বিচার ও আইনগুলো, জাতিসংঘের অসংখ্য প্রজ্ঞাপন, রেজুলেশন, প্রস্তাবনা ইত্যাদি থাকা সত্বেও ১৯৪৬ পরবর্তী এমন শত শান্তি বিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। সবচেয়ে দুশ্চিন্তার ব্যাপারটি হল এখন পর্যন্ত কোন রাজনীতি বিদ বা সামরিক সদস্যদের শান্তি বিরোধী অপরাধে দায়ী করা যায় নু। কোরিয়া যুদ্ধ থেকে শুরু করে বর্তমান ইউক্রেন যুদ্ধ- সব প্রেক্ষাপটেই আগ্রাসনের শত উদাহরণ খুঁজে পাওয়া যাবে।
যাইহোক, উপরিউক্ত উদাহরণগুলোতে দেখা যাবে নুরেমবার্গের নীতিগুলো খুব সামান্যই অএরেছে রাজনীতিবিদদের আচরণে পরিবর্তন ঘটাতে। প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণে দেখা যায় ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্বের বিচারে ও রাষ্ট্রীয় স্বার্থের প্রেষণায় রাষ্ট্রগুলো বেশিরভাগ সময়ই আন্তর্জাতিক আইনি সংবিধিগুলোকে অবিহেলা করে। এই অবহেলা ও অপরাধ করে পার পেয়ে যাওয়ার পিছনে প্রধান কারণ ICC সংবিধির যথাযথ প্রয়োগের অভাব ও বৃহৎ শক্তিগুলোর স্বার্থবাদী মনোভাব।   
অবশ্যয়ই 'শান্তি বিরোধী অপরাধ' অথবা 'আগ্রাসনের অপরাধ' ধারণাটির আরো কার্যকর করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে যুদ্ধের প্রথম আক্রমণটি যে চালিয়েছে শুধু তার উপর অপরাধের দায়ভার না চাপিয়ে- ঐ সকল দেশগুলোর উপরও চাওয়ানো দরকার যারা আক্রমণকারী দেশটিকে দীর্ঘদিন ধরে সামরিক দিক দিয়ে ঘেরাও করে রেখেছে, বড় ধরনের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, সাইবার আক্রমণ চাকিয়েছে অথবা বিভিন্নভাবে উস্কে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে ইত্যাদি। শান্তি বিরোধী অপরাধ নির্ণয়ে একটা সীমা চিহ্নিত করতে হবে যার বাইরে গেলে তাকে অপরাধী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। 
'শান্তি বিরোধী অপরাধ' অনুধাবনে আমাদের অপরাধীদের কার্যক্রমের প্যাটার্ন খুঁজে বের করতে হবে- কীভাবে অপরাধীরা একটি শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সংগঠন (political institutes) এর বিপরীতে বিভিন্ন মিথ্যাচার ও অপবাদ ছড়িয়ে থাকে। উদাহরণ হিসেবে যুগোস্লাভিয়া ,আফগানিস্তান, ইরাক, লিবিয়া, ও সিরিয়ায় যেভাবে ন্যাটো প্রপোগান্ডা ছড়িয়ে শান্তি বিরোধী অপরাধ ঘটিয়েছে তা উল্লেখ করা যায়।। 
শান্তি বিরোধী অপরাধকে ধারণা হিসেভে বিকশিত ও কার্যকর হতে গেলে তার আইনি সংবিধিতে অবশ্যয়ই জাতিসংঘের ২(৩) নং অনুচ্ছেদকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। যেখানে বিভিন্ন দেশের মধ্যকার সংঘাতগুলোকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ও কূটনৈতিক তৎপরতার সাহায্যে সমাধানের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ কোনভাবেই সংকট সমাধানের শান্তিপূর্ণ উপায় হতে পারে না। শান্তিপূর্ণ সমাধানে উভয় পক্ষকেই ছাড় দেয়ার মানসিকতা তৈরি করতে হবে,  এবং স্বার্থের চেয়ে সংকট সমাধানকে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে। (সংক্্ষেপিত)
অনুবাদকঃ বদিরুজ্জামান 
মূল লেখকঃ Alfred de Zayas, an author and law professor at the Geneva School of Diplomacy. 
নুরেমবার্গ বিচারিক কার্যক্রম ও নুরেমবার্গ বিচার ব্যবস্থার মূলনীতিগুলো আজও কিন্তু সম্পূর্ণরূপে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যায়নি। সেই শুরু থেকে (১৯৪৬) অনেক রাষ্ট্রই নুরেমবার্গের মূলনীতিগুলো ভঙ্গ করেছে; কিন্তু বর্তমান সময়ে যেখানে পারমাণবিক, রাসায়নিক ও জৈব অস্ত্রের বিস্তার বেড়েই চলছে সেখানে মানবজাতির টিকে থাকার প্রশ্নে উক্ত নীতিগুলো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আরো জরুরি হয়ে উঠেছে। জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যেকোনো ধরনের যুদ্ধ এড়িয়ে যেতে রাষ্ট্রগুলোকে আরো বেশি কৌশলি ও কূটনীতিক তৎপরতায় জোর দিতে বলেছেন।
৮ আগস্ট,১৯৪৫ সালে লন্ডন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় যাকে পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক সামরিক ট্রাইবুনাল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। এই ট্রাইবুনালের ৬(ক) নং অনুচ্ছেদে শান্তি বিরোধী অপরাধের সংজ্ঞায়নের চেষ্টা করে হয়েছে। সেখানে বলা হয় যে যেকোন ধরনের আগ্রাসী যুদ্ধের পরিকল্পনা, প্রস্তুতি, পরিকল্পনার বাস্তবায়ন, যুদ্ধে আগ্রাসী পন্থানুসরণ এবং আন্তর্জাতিক চুক্তি, এগ্রিমেন্ট ইত্যাদির ভঙ্গ করা অথবা আন্তর্জাতিক ও দেশীয় শান্তি ও নিরাপত্তার বিপরীতে কোনরূপ প্রতারণা বা জালিয়াতি ইত্যাদি আন্তর্জাতিক শান্তি বিরোধী অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি পাবে।
১৯৪৫ সালেদ অক্টোবর মাসে, নুরেমবার্গ ট্রাইবুনালের প্রথম অধিবেশনে আমেরিকার প্রধান বিচারক রবার্ট জ্যাকসন ঘোষণা দেন যে যদিও এই ট্রাইবুনালের আইনগুলো বর্তমানে জার্মানির আগ্রাসনের বিরুদ্ধে করা হয়েছে, তথাপি এই ট্রাইবুনালের মূলনীতি গুলো আসন্ন দিনগুলোতেও শান্তি বিরোধী অপরাধের অপরাধীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। ১৯৪৬ সালে ট্রাইবুনাল রায় প্রদানের সমাপ্তিতে বলেন যে যুদ্ধের নামে আগ্রাসী আক্রমণ শুধু আন্তর্জাতিক অপরাধই না বরং এটা আন্তর্জাতিক সর্বোচ্চ-অপরাধের (Supreme Crime) তালিকাভুক্ত।
১৯৯৮ সালে রোম আইনি সংবিধি অনুযায়ী আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (International Criminal Court- ICC) প্রতিষ্ঠা হয় এবং রোম আইনি সংবিধিতে “আগ্রাসনের অপরাধকে (Crime of Aggression) আন্তর্জাতিক অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করে ICC কে বিচার করার অধিকার দেয়া হয়। কিন্তু ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হলে রোম আইনি সংবিধির এই ধারাকে স্বীকৃতি পেতে এক যুগ অপেক্ষা করতে হয়, ২০১০ সালে রোম আইনি সংবিধির ধারা হিসেবে “আগ্রাসন অপরাধ” অনেকগুলো দেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ স্বীকৃতি দেয়, এবং জুলাই ১৭, ২০১৭ সালে ICC তার কার্যবিধি শুরু করেন।
কাম্পালা সম্মেলনে আগ্রাসন অপরাধের সংজ্ঞায়নে বলা হয়- Crime of Aggression means the planning, preparation, initiation, execution, by a person in a position effectively to exercise control over or to direct the political or military action of a state, of an of aggression which by its character, gravity and scale, constitutes a manifest violation of the character of the United Nations.
ব্যাপারটা বড়ই দুর্ভাগ্যের যে কাম্পালা সম্মেলনের সংজ্ঞায়নের মধ্যে অনেক ফাঁক-ফুকর ও জটিলতা রয়েছে। এই সংজ্ঞায়নে আগ্রাসনের প্রকৃতি ও নিয়ামক সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দেওয়া হয়নি।
নুরেমবার্গের বিচার ও আইনগুলো, জাতিসংঘের অসংখ্য প্রজ্ঞাপন, রেজুলেশন, প্রস্তাবনা ইত্যাদি থাকা সত্বেও ১৯৪৬ পরবর্তী এমন শত শান্তি বিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। সবচেয়ে দুশ্চিন্তার ব্যাপারটি হল এখন পর্যন্ত কোন রাজনীতি বিদ বা সামরিক সদস্যদের শান্তি বিরোধী অপরাধে দায়ী করা যায় নু। কোরিয়া যুদ্ধ থেকে শুরু করে বর্তমান ইউক্রেন যুদ্ধ- সব প্রেক্ষাপটেই আগ্রাসনের শত উদাহরণ খুঁজে পাওয়া যাবে।
অবশ্যয়ই 'শান্তি বিরোধী অপরাধ' অথবা 'আগ্রাসনের অপরাধ' ধারণাটির আরো কার্যকর করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে যুদ্ধের প্রথম আক্রমণটি যে চালিয়েছে শুধু তার উপর অপরাধের দায়ভার না চাপিয়ে- ঐ সকল দেশগুলোর উপরও চাওয়ানো দরকার যারা আক্রমণকারী দেশটিকে দীর্ঘদিন ধরে সামরিক দিক দিয়ে ঘেরাও করে রেখেছে, বড় ধরনের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, সাইবার আক্রমণ চাকিয়েছে অথবা বিভিন্নভাবে উস্কে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে ইত্যাদি। শান্তি বিরোধী অপরাধ নির্ণয়ে একটা সীমা চিহ্নিত করতে হবে যার বাইরে গেলে তাকে অপরাধী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।
'শান্তি বিরোধী অপরাধ' অনুধাবনে আমাদের অপরাধীদের কার্যক্রমের প্যাটার্ন খুঁজে বের করতে হবে- কীভাবে অপরাধীরা একটি শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সংগঠন (political institutes) এর বিপরীতে বিভিন্ন মিথ্যাচার ও অপবাদ ছড়িয়ে থাকে। উদাহরণ হিসেবে যুগোস্লাভিয়া ,আফগানিস্তান, ইরাক, লিবিয়া, ও সিরিয়ায় যেভাবে ন্যাটো প্রপোগান্ডা ছড়িয়ে শান্তি বিরোধী অপরাধ ঘটিয়েছে তা উল্লেখ করা যায়।।
অনুবাদকঃ বদিরুজ্জামান
মূল লেখকঃ Alfred de Zayas, an author and law professor at the Geneva School of Diplomacy.


No comments