করোনা মহামারী পরবর্তী বিশ্বব্যবস্থা
করোনা মহামারী পরবর্তী বিশ্বব্যবস্থা
জীবাণু যুদ্ধ কিংবা জীবাণু অস্র নিষিদ্ধ হলেও উন্নত রাষ্ট্রসমূহ এ নিয়ে গবেষনা করছে অনেক বছর যাবৎ, ধারণা করা হয় চীন ও সে রাষ্ট্র সমূহের তালিকায় রয়েছে, অপ্রস্তুত ভাবেই চীন থেকে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পরেছে পুরো বিশ্বে,যা বর্তমানে কোভেট১৯/করোনা ভাইরাস নামে পরিচিত। 'জেনেটিক্যালি মডিফায়েড' এই করোনাভাইরাসের জন্মদাতা চীনের উহানের বায়োসেফটি ল্যাবোরেটরি লেভেল ফোর,মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতে। তবে,বিশ্বস্বাস্থ সংস্থা সুনির্দিষ্ট কোনো মাধ্যমের কথা বলেননি,ধারনা করা হয় বাদুর হতে এই রোগ ছড়িয়ে পরেছে।
সর্বশেষ কোভেট-১৯ এ ১৯৫,০০৭,০৫৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন ।সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৭৬,৯১৩,৩৪১ জন এবং মোট মারা গিয়েছেন ৪,১৭৮৬৪৭।পৃথিবীর প্রায় সব দেশই করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।
করোনাকালীন অবস্থাঃ
করোনা মহামারী বিশ্ব রাজনীতিতে আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসতে চলছে,এবং বিশ্বনেতৃত্বে কে প্রশ্নবিদ্ধ করছে বারবার!করোনা মহামারী ও এর পিছনে থাকা ঘটনা নিয়ে বিশ্ব রাজনীতি গবেষকেদের চুলছেড়া বিশ্লেষণ ও আমার ভাবনা তুলে ধরার প্রচেষ্টা করেছি।
করোনা মহামারীর ফলে,
✔️পুরো পৃথিবীর অর্থনীতি ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ছে এবং সামাজিক ব্যবস্থায় ও প্রভাব পড়বে,
✔️নতুন করে দারিদ্র হবে প্রায় ৩ কোটির বেশি মানুষ ,কর্মসংস্থান হ্রাস পাচ্ছে।
✔️এতে করো নতুন করে জেগে ঠছে উপনিবেশ গঠনের ইচ্ছা।
✔️বৃহৎ রাষ্ট্র গুলো পরষ্পর বিবাদে লিপ্ত হচ্ছে কিন্তু মানবিকতার দিকটি রয়ে গেল অবহেলিত এখনও।
✔️✔️করোনা মহামারীর নিয়ে সাম্প্রতিক মার্কিন ম্যাগাজিন ফরেন পলিসি বলছে, মহামারি করোনাভাইরাসের পরিণাম হবে বিস্তৃত ও ব্যাপক, যার খুব অল্পই ধারনা করা যাচ্ছে। এরইমধ্যে এই মহামারি সারা পৃথিবীর জনজীবন বিপর্যন্ত করে তুলেছে, বিশ্ব বাজার অর্থনীতিকে ধসিয়ে দিয়েছে এবং প্রতিটি রাষ্ট্রের ক্ষমতাসীনদের প্রকৃত যোগ্যতা ও তাদের দক্ষতা বা অদক্ষতার আসল রুপটি প্রকাশ করে দিচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়গুলোর আলোকে করোনা পরবর্তী বিশ্বব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তনের আভাস দিচ্ছেন বিশ্লেষকগন।
নতুন বিশ্ব ব্যবস্থায় মানুষের অধিকার ও মানবাধিকার দিক সমূহ অনেকাংশেই অবরুদ্ধ ও অবহেলিত হয়ে পড়েছে ক্ষমতাসীন শক্তির হাতে। এই প্রলয়ের ধাক্কায় বিশ্বব্যাপী জেগে উঠেছে মানব সচেতনতা আর তাতেই আসবে ইতিবাচক একটি ধারা, যা আগামী প্রজন্মের জন্য একটি নতুন ও পরিবর্তিত বিশ্বব্যবস্থার উদ্ভব ঘটাবে বলে আশা করি।
অতীত ইতিহাসের পুনরুত্থানঃ
প্রতি ১০০ বছর পর পর একটি মহামারীর প্রকোপ দেখা যায়,কিন্তু বিশ্বস্বাস্থ সংস্থার কোনো সতর্কতা দেখা যায়নি,নিচে সেসকল মহামারীর নামগুলো উল্লেখ করা হলো:
⏺️ ১৩২০:দ্যা ব্ল্যাক ডেথ অব বুবোনিক প্লেগ
⏺️ ১৪২০:দ্যা এও ইডেমিক অব ব্ল্যাক ডেথ প্লেগ 
⏺️ ১৫২০:গুটি বসন্ত ও প্লেগ
⏺️ ১৬২০:রক্তিম 'মে ফ্লাওয়ার'মূর্চ্ছা যাওয়া
⏺️ ১৭২০:দ্যা গ্রেট প্লেগ অব মার্শেই
⏺️ ১৮২০:ভারতবর্ষে কলেরা,যুক্তরাষ্ট্রে ইয়েলো ফিভার,                               
⏺️ ১৯২০:দ্যা স্প্যানিশ ফ্লু
⏺️ ২০২০:করোনা ভাইরাস(কোভেট১৯)
১০০ বছর পর পর মহামারী ফিরে এসেছে এবং ১/২/৩ কোটির বেশি মানুষ মারা যেতো প্রতিবার,তা সত্তেও বিশ্বস্ব্যাস্থ সংস্থার এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি । এইবিষয়ে,এবং বিশ্বস্ব্যাস্থ সংস্থার উপর স্বজনপ্রীতির অভিযোগ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট।এর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও তাদের দায়িত্বে অবহেলা চোখে পরার মতো,এতে ভবিষ্যৎ এ বিভিন্ন বিশ্বসংস্থার উপর রাষ্ট্রগুলো বিশ্বাস করার পূর্বে ২ বার ভাববে।
বিশ্বসংস্থারগুলোর ভবিষ্যৎঃ
➡️ জাতিসংঘের গুরত্ব হ্রাস পাবে কেননা করোনা কালীন দিন গুলোতে জাতিসংঘের তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ পালন করতে  ভূমিকা দেখা যাচ্ছেনা।
➡️ করোনা ভাইরাসে এতো দিন লকডাওনে থেকেও করোনা নিয়ন্ত্র না রাখতে পারাটা আমেরিকা ও ইউরোপ মহাদেশীয় উন্নতরাষ্ট্রের অভ্যান্তরীন কূটনীতিক ব্যার্থতার দিকে ইঙ্গিত করে।এবং অভ্যন্তরীন গঠনব্যবস্থার ও অনেক ত্রুটি লক্ষ্যণীয় ছিলো।
➡️ ন্যাটো জোট, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ওযুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপ সম্পর্ক হুমকির মুখে পড়বে৷
➡️উন্নত রাষ্ট্রসমূহ তাদের সম্পদের যত অংশ সামরিক খাতে ব্যায় করেন,তার তুলনায় বেসামরিক ব্যায় বিশেষত, স্বাস্থ্য খাতে এবং নাগরিক জীবনের জন্য ব্যায় কতকম তা জনগন পত্যক্ষ করলো,তার প্রভাব মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পতন দিয়ে উন্মোচিত হয়েছে।
➡️ যেহেতু সার্ক দেশসমূহ এই ভাইরাস প্রতিরোধ ফাণ্ড গঠন করেছে সুতরাং সার্কের ভবিষ্যত সম্পর্ক মজবুত হবে৷
➡️এছাড়া জি-২০ যে ফাণ্ড গঠন করতে যাচ্ছে তাও আলোর মুখ দেখাবে বৈশ্বিক সম্পর্কে।
আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্কে পরিবর্তন:
চীন,জাপান,মালোসিয়া ও সিঙ্গাপুর মিত্র রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা ব্যাপক।যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তুরষ্কের সম্পর্ক মজবুত এবং চীনা বহুজাগতিক কোম্পানি আলীবাবা বিশ্ববাজার দখল করে নেওয়ার ও অবস্থান তৈরী হয়েছে।চীন ও আমেরিকা স্নায়ু যুদ্ধ শুরু হয়েছে এবং এতে চীন এগিয়ে থাকবে বেশি তবে আমেরিকা বারবার করোনা ভাইরাসের দায় চীনকে দিয়ে। চীনকে বিশ্ববাসীর কাছে উপস্থাপন করবে।এই স্নায়ু যুদ্ধে অন্যতম একটি লাভবান রাষ্ট্র হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কেননা ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্ব বাণিজ্যে ১ম চীন এবং ২য় ভারত,একধাপ পিছিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৩য় অবস্থান করবে এতে করে চীন-ভারত সম্পর্ক ভালো থাকলে বিশ্বনেতৃত্ব তাদের হাতে কিন্তু চীন ও ভারতের বৈরী সম্পর্ক থাকলে,যুক্তরাষ্ট্রের জন্যে তুলনামূলক সুবিধা।একটা ইন্দোপ্যসিফিক যুদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে,যা এশিয়া মহাদেশী জন্যে হুমকি স্বরূপ।
যেমন হতে পারে করোনাপরবর্তী বিশ্বব্যবস্থাঃ
করোনা মহামারী শেষ হতে না হতেই বিশ্বব্যবস্থায় নতুন পরিবর্তন দেখা যাবে বলে ধারানা করা হচ্ছে আমরা আশা করতেই পারি একটি মানবিক ভবিষ্যৎ যদিও সেজন্যে পোহাতে হবে অনেক কাঠখোর।
মহামারী করোনাভাইরাসের পর কেমন হবে পৃথিবী- এ নিয়ে বিশ্বের ১২ জন শীর্ষ বিশ্লেষকের সঙ্গে কথা বলেছে মার্কিন ম্যাগাজিন ফরেন পলিসি। বিশ্লেষকগণ অনেক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সেই উত্তর দিয়েছেন।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক স্টিফেন এম ওয়াল্ট মনে করেন,"মহামারী করোনা ভাইরাস বিশ্বের দেশগুলোকে আরও বেশি শক্তিশালী করবে এবং বাড়িয়ে তুলবে জাতীয়তাবাদ। সব সরকার সংকট নিরসনে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এতে উদ্ভব ঘটবে নতুন অনেক শক্তির"।
মার্কিন এই অধ্যাপক মনে করেন, "ক্ষমতার পরিবর্তন গতিশীল করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে করোনা ভাইরাস। এই ভাইরাসের কারণে ক্ষমতা ও প্রভাব পশ্চিম (আমেরিকা ও ইউরোপ) থেকে পূর্বের (এশিয়া) নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে। ইতোমধ্যে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় ব্যাপক সফলতা দেখিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও সিঙ্গাপুর। এছাড়া এটি ছড়িয়ে পড়ার পর নিজেদের ভুলগুলো শুধরে নিয়েছে চীনও সেই তুলনায় ইউরোপ ও আমেরিকার সাড়া মন্থর ও এলোমেলো। এতে পশ্চিমাদের যে বাড়তি সুনাম ছিল তা ভেঙে চুরমার হচ্ছে। সবমিলিয়ে করোনা ভাইরাসের কারণে এমন এক বিশ্ব ব্যবস্থা তৈরি হবে যেখানে উন্নয়নের গতি হ্রাস পাবে, যে কেউ চাইলেই যে কোনো জায়গায় যেতে পারবে না এবং সবকিছুতে থাকবে কড়াকড়ি। ভয়াবহ ভাইরাস, অপর্যাপ্ত পরিকল্পনা ও অদক্ষ নেতৃত্বের কারণে মানবতা এখন সবচেয়ে ভয়ংকর পথের দিকে এগোচ্ছে"।
সিঙ্গাপুরের বিশ্লেষক কিশোর মাহবুবানি মনে করেন," বৈশ্বিক অর্থনীতিকে মৌলিকভাবে পাল্টে দেবে না মহামারী করোনা ভাইরাস। তবে এটি অর্থনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আসবে, যা এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। মহামারী করোনা ভাইরাসের পর যুক্তরাষ্ট্রকেন্দ্রিক বিশ্বায়নের পরিবর্তে চীনকেন্দ্রিক বিশ্বায়ন শুরু হবে"।
ল্যাটিন আমেরিকার বিশ্লেষক শ্যানন ও’নেইল মনে করেন," করোনা ভাইরাসের কারণে বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদন অনেক কমে যাওয়ার কারণে মুনাফাও কমে যাবে। এমনকি করোনা ভাইরাসের প্রকোপ শেষ হওয়ার পরও এই অবস্থা থাকতে পারে। এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে, কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন কমে গেছে। এ পরিস্থিতিতে ভবিষ্যতে চাকরি হারাতে পারে অনেক মানুষ। যদিও এখনই নিশ্চিতভাবে কিছুই বলা যাচ্ছে না"।
মার্কিন রাজনৈতিক বিশ্লেষক জোসেফ নিইয়ে জুনিয়রের দৃষ্টিতে," করোনা ভাইরাসের পর মার্কিন শক্তিকে নতুন কৌশলে এগোতে হবে। ২০১৭ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহৎ শক্তির প্রতিযোগিতার জন্য নতুন একটি জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলের ঘোষণা দেন। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে ট্রাম্পের সেই কৌশল ব্যর্থ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক ক্ষমতা থাকলেও একক কোনো কৌশলে যে দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয় তা বুঝতে পেরেছে মার্কিন প্রশাসন"।
জোফেস নিইয়ে জুনিয়র বলেন, "আন্তঃদেশীয় হুমকি যেমন কোভিড-১৯ কিংবা জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকে শুধু নিজেদের কথা ভাবলে চলবে না। এক্ষেত্রে অন্যদের শক্তিগুলো বিবেচনায় নিতে হবে এবং তবেই সফলতা পাওয়া যাবে। করোনা ভাইরাসের কারণে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে- বিশ্বজুড়ে আমরা কৌশলগুলো সমন্বয় করতে ব্যর্থ হচ্ছি"।
মার্কিন কূটনৈতিক রিচার্ড এন হাস মনে করেন, "করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বজুড়ে পরিচয় মিলবে অনেক ব্যর্থ রাষ্ট্রের। অনেক রাষ্ট্রই এই সংকট থেকে বের হয়ে আসতে হিমশিম খাবে। অবশ্য এর পাশাপাশি শক্তিশালী কিছু দেশেরও দেখা পাওয়া যাবে। তবে সবমিলিয়ে বৈশ্বিক ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়বে। এই ব্যবস্থাকে পরবর্তী অবস্থানে নিতে ভেঙে দিয়ে গড়ে তোলা হবে নতুন অবকাঠামো"।
তবে কিছু কিছু গবেষকের মতে বিশ্বব্যবস্থায় দ্বিমেরুকরণ এবং দেখা দিতে পারে দ্বিতীয় স্নায়ুযুদ্ধ। 
করোনা বিশ্বায়ন ধারণায় আঘাত হানবে।একই সঙ্গে নয়া উদারবাদ বিশ্বরাজনীতিকে দুর্বল করে দেবে। এবং পুঁজিবাদ ও লোকরঞ্জনবাদকে নতুনভাবে শক্তিশালী করবে। করোনার ব্যাপক বিস্তারের পুঁজিবাদ সক্রিয়ভাবে ভূমিকা রাখছে। মুনাফামুখী প্রবণতাই করোনা বিস্তারের অন্যতম কারণ।বর্তমানে ভেক্সিন রাজনীতি তো বহুল চর্চিত। শুরুতেই দ্রুত কলকারখানা, অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হলে প্রাদুর্ভাব অনেকটাই কমানো সম্ভব হতো। কিন্তু মুনাফানির্ভর অর্থনীতিতে যদিও তা অসম্ভব হয়ে পরে? এখানে লাভ-ক্ষতির অঙ্ক আছে। মানুষের মৃত্যু নিয়ে পুঁজিপতিদের খুব বেশি ভাবনা নেই। বছর শেষে ব্যালেন্স শিটে টান না পড়লেই হয়। তাই তো কলকারখানা বন্ধ করতে নানা টালবাহানা করেছেন সরকারগুলো শুরুর দিকে। এছাড়াও সাময়িক লকডাওনে সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার সমূহ বারবার অবহেলিত হয়েছে। জনবান্ধব না, ব্যবসায়ী বান্ধব সরকারের সংখ্যাই বেশি বিশ্বে। যে কারণে ব্যাপক হারে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন।তবে নিঃসন্দেহ বলা যায় করোনা পরবর্তী বিশ্বেও প্রাকৃতিক পরিবেশের বিষয়টি অবহেলিত রয়ে যাবে।
করোনা পরবর্তী যেমন বিশ্ব কামনা করিঃ
করোনা পরবর্তী একটি মানবিক বিশ্বের আকাঙ্ক্ষা থাকলেও উপনিবেশিক শক্তি গুলো নতুন করে জেগে উঠতে চাইবে আর তৃতীয় বিশ্বের রাষ্ট্র সমূহ অবহেলিত থাকবে সবসময়। তাদের দরকার বস্তুনিষ্ঠ গবেষনা যাতে তাদের নিজেদের অর্থনৈতিক মুক্তি লাভ করতে পারে,তারা নিজেরা নিজেদের মুক্তিদাতা হতে হবে।বিগত ১০০ বছরের ইতিহাস বলে,অক্ষশক্তি কিংবা মিত্রশক্তি কেউ তাদের রাষ্ট্রের স্বার্থ ব্যতিত বিশ্বস্বার্থের কথা চিন্তা করে কিছু করেনি।তাই,করোনা পরবর্তীতে ঋণ গ্রহন,কিংবা যেকোনো চুক্তির সময় খেয়াল রাখতে হবে,ক্ষমতা টিকিয়ে রাখারা জন্য রাষ্ট্রের স্বর্বভৌমত্বের জন্যে হুমকি না হয়।এছাড়াও প্রতিটি রাষ্ট্রের জন্য মৌলিক শিক্ষা ব্যবস্থা কামনা করি,যার মাধ্যমে মস্তিষ্কের মুক্তি মিলবে।প্রতিটি শিশু তার সকল অধিকার ভোগ করতে পারবে।ধনী-গরিবে বৈষম্য তুলনামূলক করে আসবে। পুঁজিবাদী দাস কিংবা সম্পদহীনতার হাত থেকে মানুষ রক্ষা পাবে। প্রতিটি মানুষ মানুষের মতো সম্মান এবং আত্বমর্যাদা নিয়ে বেঁচে থাকবে।ন্যাটোর মতো সংস্থাগুলো বিলুপ্ত হবে এবং বৈশ্বিক সাংস্কৃতিক জোটগুলো শক্তিশালী হয়ে উঠবে এবং মানুষের অধিকার এবং সম্মান বাড়ানো নিয়ে প্রতিযোগিতা হবে,সেই কামনা করি।
💜💜💜💜
নাম:রোমানা আক্তার
বিভাগ:আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ
ব্যাচ:৪৮ তম আবর্তন
মেইল:romanaakter54504@gmail.com


No comments