Header Ads

Header ADS

চীন নাকি আমেরিকা - কে হবে বিশ্বের পরবর্তী সুপারপাওয়ার

 চীন নাকি আমেরিকা - কে হবে বিশ্বের পরবর্তী সুপারপাওয়ার?


মেরিকা ১৭৭৬ সালে স্বাধীন হলেও বিংশ শতাব্দীতে এসে আমেরিকার দ্বারা বিশ্বনেতৃত্বদানের সূচনা ঘটে। বর্তমানে প্রায় সকল দেশই বিনাতর্কে আমেরিকা বিশ্বের সুপারপাওয়ার হিসেবে স্বীকৃত। সামরিক, ভূ-রাজনীতি, গোয়েন্দা, শিল্প, শক্তি, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি এবং প্রযুক্তি সবক্ষেত্রেই এর শক্তি ব্যাপক। 


চীন নীরবে বহুদিন যাবৎই বিশ্বে নেতৃত্ব দেয়ার স্বপ্ন দেখেছে এবং খুবই নিভৃতে তারা তাদের এই স্বপ্নপূরণে দূরদর্শিতার সাথে সুপরিকল্পিত পন্থায় অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেছে। "তথ্যপ্রযুক্তিই এ যুগের নতুন শক্তি"- এটা বুঝে নিজ দেশকে সারা বিশ্বের থেকে অনেকটাই আলাদা করে রেখেছে। অর্থাৎ নাগরিকদের তথ্যচুরি ঠেকাতে বহির্বিশ্বের অনেক ওয়েবসাইট ও অ্যাপ্লিকেশনই তাদের দেশে নিষিদ্ধ, যেমন, Google, Facebook ইত্যাদি। বরং তারা এসবেরই বিকল্প অর্থাৎ একই সুবিধা দিতে সক্ষম ওয়েবসাইট ও অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে দিচ্ছে নাগরিকদের, এতোটাও ছোট ডিটেইলসও তারা মজবুত নিয়ম করে মেইনটেইন করেছে আর নিজ ঐতিহ্যগুলোকে কখনো অবহেলা করেনি, কখনো আত্মবিশ্বাস হারায়নি। 


দেশের প্রতিটি আনাচে কানাচে চীনারা ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটিরশিল্পের বিপ্লব ঘটিয়েছে। এবং এর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন সুবিখ্যাত কোম্পানি ও ব্র্যান্ড তৈরিও থেমে থাকেনি। তারা যতোটা জানতো তা কাজে লাগিয়েছে, এবং যা জানতো না তা জানতে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। আমেরিকাসহ বিভিন্ন উন্নতদেশে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে চীনা নাগরিকগণ নিজদেশে ফিরে গেছে, দেশের আরো ছাত্রকে সেসব শিক্ষা প্রদান করেছে। জ্ঞানার্জন ও সেই জ্ঞান নিজদেশে কাজে লাগানোর এই যে দেশপ্রেমী প্রচেষ্টা সেটা কিন্তু ভাবতে সহজ হলেও করতে সহজ নয়। আমরা বাংলাদেশ কিন্তু এই সহজ কাজটা করতে ক্রমাগতই ব্যর্থ হচ্ছি, এই "ব্রেইন ড্রেইন"-এর দায় নাগরিক ও সরকার দুপক্ষেরই, আর এর সমাধান করতে হবে সরকার প্রশাসনকেই। তবে তাদের গৃহীত কার্যক্রম দেখে কোনোমতেই মনে হয় না এই ব্যাপারটাকে বাংলাদেশ সরকার তেমন বেশি গুরুত্ব নিয়ে কখনো ভেবে দেখেছে। চীনের এই উন্নতির পেছনে মূল চালিকাশক্তি এই শিক্ষিত পরিশ্রমী মানবসম্পদ। নাগরিকের দক্ষতা ও পরিশ্রম সাথে সরকারের সর্বোচ্চ সাহায্য সহযোগিতা- ফলাফলে মাত্র এক যুগের ব্যবধানে Top 500 Global Brand 2020 লিস্টে চীনের বিশাল উল্লম্ফন:-

Year / Country

United States of America

China

2009

176

12

2020

204

72


শুরুতে নেতৃত্বের স্বপ্ন চেপে রেখে চীন "কথা কম, কাজ বেশি" নীতিতেই চলেছে। কিন্তু এখন চীন বিশ্বকে আর ‘মৌন সম্মান’ দিতে রাজি নয়, তারা সরাসরিই এখন ঢুকে পরেছে "ইমার্জিং সুপারপাওয়ার" হিসেবে বিশ্ব রাজনীতি নিয়ন্ত্রণকারী কুশীলবের তালিকায়। আর "পটেনশিয়াল সুপারপাওয়ার" হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া, ভারত ও ব্রাজিল। তবে এই লেখা শুধু মূল দুই শক্তি চীন ও আমেরিকাকে নিয়েই।


বিশ্বের সুপারপাওয়ার হতে কতোটা মরিয়া চীন- সেটা একদম পরিষ্কার। চীন সরকার যেকোনো মূল্যেই হোক বিশ্বে আধিপত্য বিস্তার করার উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নিয়ে কাউকেই সন্দেহ করতে ছাড়েনি। নিজ দেশের জনগণের বাকস্বাধীনতা দমন করছে, প্রতিবেশি হংকংয়ের নাগরিকদের অধিকারকে একপ্রকার স্বৈরাচারী পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রণ করেছে এবং আগ্রাসীভাবে কৌশলে প্রতিবেশি দেশগুলোর বিভিন্ন অঞ্চল দখল করেছে, যার মাঝে ভারতের তিব্বত অঞ্চল অন্যতম। চীন এখন আগ্রাসীভাবে দক্ষিণ চীন সাগর এবং সেনকাকু দ্বীপে একটি ভূখণ্ডের অধিকার দাবি করছে। চীন সরকার আরো বলছে যে, তাইওয়ান চীন ভূখণ্ডেরই একটি অংশ।


আবার চীন পাকিস্তান, নেপাল, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা এবং অন্যান্য ক্ষুদ্র ও দুর্বল দেশগুলির উপর ঋণের পরিমাণ বাড়িয়ে এসব অঞ্চলেও আধিপত্য প্রয়োগের চেষ্টা করছে, যাতে এই দেশগুলি ভবিষ্যতে ঋণ শোধ করতে না পারে। ফলাফলে হতে পারে শ্রীলঙ্কার মতো অবস্থা- যে দেশের হাম্বানতোতা সমুদ্রবন্দর ৯৯ বছরের জন্য চলে গেছে চীনের নিয়ন্ত্রণে।


চীনের এই পদ্ধতি এবং লক্ষ্য দেখে আজকের চীনা সরকার এবং হিটলারের জার্মানির মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য দেখছে না অনেকেই। বিশ্বের বেশ কিছু দেশের মতে, হিটলারের উচ্চাকাঙ্ক্ষা যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণ হয়েছিল- তা বিশ্লেষণ করার সাথেসাথে বর্তমান চীনের উচ্চাকাঙ্ক্ষা তুলনা করাও সমান প্রয়োজনীয়।


তবে চীন সমর্থকরা দাবি করছেন যে, মার্কিন সরকারও বিশ্বের উপর কর্তৃত্ব করার চেষ্টা করছে, যার প্রমাণ হলো- তারা তাদের আধিপত্য বাস্তবায়নের জন্য ভিয়েতনাম, ইরাক, আফগানিস্তান এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি দেশে সশস্ত্র সেনা প্রেরণ করেছে।  অবশ্য মার্কিন সরকার দাবি করে, সত্য ন্যায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যই তাদের নিকট মুখ্য। কারণ আমেরিকান সরকার মনে করে যে, 'বিশ্বের সকল মানুষের প্রতিই তার কর্তব্য রয়েছে।'


খোলাদৃষ্টিতে, চীন অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রেই তার বিরোধীদের নির্মম নির্মূলকরণে বিশ্বাসী এবং জবরদস্তি বা বল প্রয়োগ করে অন্যান্য দেশের অঞ্চল দখল করতে চায়। আর মার্কিনিদের মতে, আমেরিকা সরাসরি মানবাধিকারকে দমন করার মতো পদক্ষেপ নেয় না বা অন্য দেশের অঞ্চল 'সরাসরি' দখল করায় লিপ্ত হয় না।


মার্কিনীরাও 'বাকস্বাধীনতা এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতির স্বাধীনতা বিশ্বের সমস্ত অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত হওয়া উচিত'- এই আকাঙ্ক্ষাকে গোপন করেনি। অনেক সময় আমেরিকা নিজ উদ্যোগে 'তাদের চিহ্নিত' বিভিন্ন সর্বগ্রাসী স্বৈরাচারী সরকার, ধর্মীয় উগ্রবাদী এবং সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছে এবং আমেরিকান সৈন্যরা বেশ উচ্চ মূল্যই দিয়েছে। কিন্তু নিরপেক্ষদৃষ্টিতে ভাবলে প্রশ্নটা থেকেই যায়, "সারাবিশ্বের সকল দেশের সবার শান্তি নিশ্চিত করার জন্য নিজ উদ্যোগে অন্য কোনো স্বাধীন দেশে ঢুকে এই ন্যায়প্রতিষ্ঠার পুলিশি দায়িত্ব বা অধিকার কে দিয়েছে আমেরিকাকে?"


তবুও, বিশ্বজনগণের সামনে যদি নেতা হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনকে বেছে নেয়ার অপশন থাকে তবে এটিই মনে হয় যে- আমেরিকার দ্বারা বিশ্ব আধিপত্য - চীন কর্তৃক বিশ্ব আধিপত্যের চেয়ে কম খারাপ।


কারণ মার্কিন নাগরিকরা সরকারের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করার, মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার অধিকার রাখে এবং যদি শাসকগোষ্ঠী তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করে তবে প্রতি চার বছরে একবার তাদের নিজ ভোটাধিকার প্রয়োগ করে ক্ষমতার পরিবর্তন করতে পারে। এই জাতীয় প্রক্রিয়া দ্বারা মার্কিন বিবেক অনেকাংশে অক্ষত থাকে এবং মার্কিন সরকার জনগণের মতামতের চাপে ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। অন্যদিকে, চীনের সর্বগ্রাসী শাসন ব্যবস্থা রয়েছে এবং তিনি যদি চীনা প্রেসিডেন্টের সমালোচনা করেন বা চীন সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তবে কোনও নাগরিক চীনে টিকে থাকতে পারবেন না। ফলে স্পষ্টতই এটি চীনের একনায়কতান্ত্রিক স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থা, যা শাসনব্যবস্থার একটি খারাপ রূপ হিসাবেই অভিহিত।


এটা মানতেই হবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিগত কয়েক দশক ধরেই বিশ্বের পরাশক্তি (সুপারপাওয়ার)। অবশ্যই, আপাতত বিশ্বের বেশকিছু মতামত দ্বারা মার্কিন সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনাই করা হয়েছে, তবে আমেরিকান বিশেষজ্ঞদের মতে, "এই সমালোচকদের বেশিরভাগই ধর্মীয় উগ্রবাদী গোষ্ঠী এবং কমিউনিস্ট শক্তির অন্তর্ভুক্ত, যাদের অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক নীতি নিজ জনগণের ভোগ্যপণ্য সরবরাহেও পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।" তবে নিরপেক্ষভাবে দেখলে, এসব সমালোচনার পেছনে মার্কিন সরকার ও প্রশাসনের অদক্ষতা, লোভ ও ক্ষমতা প্রদর্শনের বাড়াবাড়িও অনেকটাই দায়ী- যেটা সারাবিশ্বের মাঝে নিজেদেরকে সুপ্রিম ভাবতে থাকা আমেরিকানদের চোখে পরে না, বা, তারা এ কথাটা স্বীকার করে নিতে একদমই অনিচ্ছুক।


পরিস্থিতির নিরপেক্ষ বিশ্লেষণ করে এবং চীন ও আমেরিকার আধিপত্যের আকাঙ্ক্ষা নিরপেক্ষভাবে তুলনা করলে, এই দুই দেশের 'লক্ষ্যের' মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্যও নেই। দুটো দেশ একই ধরণের, অতিরিক্ত উচ্চাকাঙ্ক্ষী- অন্য দেশের উপর ভয়ংকর প্রভাব বিস্তারকারী- সাহায্য করার নাম নিয়ে সুঁচ হয়ে ঢোকে আর ফলা হয়ে বের হয়। দুই দেশের কোনোটার নেতৃত্বই "শান্তিপ্রিয় দেশগুলোর" কাম্য না, কিন্তু বাস্তবে আমাদের পৃথিবীতে কোনো না কোনো এক দেশের আধিপত্য থাকবেই- সেটাই হয়ে গেছে দুর্লঙ্ঘ্যনীয়। তাই এটা এড়ানোরও কোনো উপায় আমাদের নেই।


আমেরিকা এবং চীন হয়তো এক নতুন কোল্ড ওয়ার (স্নায়ুযুদ্ধ) এর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে যেটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে ইউএস এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যকার 'ভূ-রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার' কোল্ড ওয়ারের তুলনায় বিশ্বের জন্য আরও বেশি ক্ষতির কারণ হতে পারে। দুই দেশের আন্তঃনির্ভরশীলতার কারণে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন এর কোল্ড ওয়ারের বিষয়টি 'সম্ভাব্য খুব মারাত্মক' হতে পারে, বলে জানিয়েছেন ঝুঁকি পরামর্শক কগনোসেন্টি গ্রুপের প্রধান নির্বাহী অ্যালান ডুপন্ট। "প্রথম কোল্ড ওয়ার এ যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে প্রাথমিক প্রতিযোগিতা ছিল একটি ভূ-রাজনৈতিক যুদ্ধ। উভয় দেশেরই বাণিজ্য এবং আর্থিক দৃষ্টিকোণ থেকে খুব বেশি কিছু করার ছিল না।" কিন্তু এখন এদের ক্ষমতা আরও অনেক বেশি, অনেক বেশি কিছু করার সামর্থ্য এদের আছে। ডুপন্ট এর মতে বাড়তি আতঙ্ক বা ভয়টা এখানেই। যদিও দুটোই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ হওয়ায় "টোটাল ওয়ার" বা সরাসরি সংঘাতে জড়ানোর সম্ভাবনা বেশ কম। কিন্তু প্রক্সি ওয়ারের সম্ভাবনা একদম উড়িয়ে দেয়া যায় না।


২০১৩ সালে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক এই দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপের দিকে গেছে। দুই দেশই ২০১৮ সাল থেকে একে অপরের উপর বেশ কয়েকটি নতুন শুল্ক চাপিয়ে দিয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী এক ঝুঁকিপূর্ণ বাণিজ্য যুদ্ধে (ট্রেড ওয়ার) পরিণত হয়েছে।


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-চীন এর প্রতিদ্বন্দ্বিতা একটি 'অত্যন্ত গুরুতর' বৈশ্বিক প্রভাব ফেলতে পারে বলে কিছু বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন। সম্প্রতি, মার্কিন-চীন উত্তেজনা আরও খারাপের দিকে মোড় নিয়েছিল- যখন ট্রাম্প প্রশাসন বেইজিংকে 'করোনা ভাইরাস মহামারি' সম্পর্কে বিশ্বকে সতর্ক না করার জন্য এবং এর প্রকোপের মাত্রা গোপন করার জন্য বেইজিংকে দোষারোপ করেছিল। বেইজিং অবশ্য সেসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। কিন্তু সন্দেহ ও সম্পর্কের অবনতির রেশটা উভয় দেশের মনে ঠিকই রয়ে গেছে।


কে হবে পরবর্তী সুপারপাওয়ার?

'কৌশলগত পূর্বাভাস' হুবহু বিজ্ঞান নয়। বিশেষত যখন এতে এমন ঘটনার সাথে জড়িত থাকে যার আচরণটি বিভিন্ন ভেরিয়েবল দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। যেগুলোর হয়তো কোনো একটা তুচ্ছ ভেরিয়েবলের সামান্য পরিবর্তনই 'বাটারফ্লাই ইফেক্টের' মত করে ফলাফলে বিশাল পরিবর্তন এনে দিতে পারে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে প্রায় ১৭ মিলিয়ন মানুষ নিহত ও আরো প্রায় ৩০ মিলিয়ন মানুষ আহত বা নিখোঁজ হয় - এতোটা ক্ষয়ক্ষতির প্রত্যক্ষ সূচনাটা করেছিল "মাত্র একটা গুলি" যেটা কিনা খুন করেছিল আর্চডিউক ফ্রান্সিস ফার্ডিনান্ডকে! পৃথিবী আজ কেমন হতো যদি এই গুলিটা না ছোঁড়া হতো?


সুতরাং, বিশ্ব আধিপত্যের ভবিষ্যত অনুমান করা একটি প্রায় অসম্ভব কাজ। আমরা ভবিষ্যৎ জানি না, বা ভবিষ্যৎ আমাদের ভাবনামত চলে না। এমনকি কোনটা হলে ভাল হয় সেটাও আমরা আগেভাগেই ভেবে রাখতে পারি না, কারণ বর্তমানের রাজনীতিতে কেউই কারো স্থায়ী শত্রু বা স্থায়ী মিত্র নয়, সবাই নিজ জাতীয় স্বার্থের হিসাবমতই চলে। 


"আমেরিকা বা চীন"- সুপারপাওয়ার এর আসনে কে বসবে?- সেটা "ভবিষ্যৎ সময়ই" বলে দেবে। তবে মহাবিশ্বের পৃথিবী নামক এক ক্ষুদ্র গ্রহের এক অতিক্ষুদ্র দেশের অতি নগণ্য এক নাগরিক হিসেবে আশা করব- যেইই থাকুক বিশ্বনেতৃত্বে, বাংলাদেশ তার নিজ মূলমন্ত্রেই আসীন থাকুক- "Friendship towards all, malice towards none." আমার প্রিয় দেশ ও আমার প্রিয় বাসগ্রহ- দুটোর জন্যই রইল আন্তরিক শুভকামনা।


রেফারেন্স:

https://brandirectory.com/rankings/global/2020/charts

https://bn.m.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%A8_%E0%A6%A1%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B0

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Potential_superpowers

http://www.slguardian.org/2020/05/what-difference-between-chinese.html?m=1

https://amp.scmp.com/week-asia/opinion/article/3006892/if-china-thinks-its-overtaking-us-any-time-soon-heres-wake-call

https://www.cnbc.com/2020/06/26/us-china-cold-war-tensions-could-spread-throughout-the-world-expert.html

No comments

Theme images by rajareddychadive. Powered by Blogger.