তুরস্ক- যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ কোন দিকে?
style="text-align: left;"> তুরস্ক- যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ কোন দিকে?
![]() |
| জো বাইডেন ও এরদোয়ান |
গত এক দশক যাবত তুরস্ক-যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত সম্পর্ক কেমন যেন ঠিক জমে উঠছে না। স্নায়ুযুদ্ধ ও যুদ্ধপরবর্তী এই দীর্ঘ সময়ে সামান্য কয়েকটি ঘটনা বাদে, তুরস্ক- যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে বর্তমানের মতন এতটা ভাঁটা পড়েনি। এমনকি তুরস্কের সেনাবাহিনী কর্তৃক সাইপ্রাস দখলের ঘটনায় তখনকার যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি লিন্ডেন জনসন শুধু মুখেই খানিক হুমকি-ধামকি দিয়েছিলেন তুরস্ককে এরূপ সামরিক হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকতে। কিন্তু এরদোয়ান তুরস্কের ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর থেকেই সম্পর্কে একধরনের অস্থিরতা দেখা যায়। এই অচল অবস্থার সুচনা হয় বারাক ওবামা যখন কুর্দিদের সামরিক ও রাজনৈতিক দল পিকেকে (PKK) কে সামরিক ও আর্থিক দিক দিয়ে সহায়তা শুরু করে। কিন্তু এরদোয়ান সরকার ক্ষমতায় বসেই PKK কে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে, এবং ধারণা করা হয় ২০১৬ সালে ঘটে যাওয়া তুরস্কে ব্যার্থ সামরিক অভ্যুত্থানের পিছনে সবচেয়ে বড় হাত ছিলো এই PKK'র।
যাইহোক, স্নায়ুযুদ্ধ কালে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য নীতির কেন্দ্রীয় চরিত্রে ছিলো মিশর ও ইরাক, কিন্তু সেই তুলনায় তুরস্কের উপস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সম্পর্কে তেমন প্রাধান্য পায়নি। কিন্তু স্নায়ুযুদ্ধ-উত্তর বিশ্বরাজনীতিতে, বিশেষত একবিংশ শতাব্দীর শুরুতেই ভেঙে পড়া সোভিয়েত ইউনিয়নের মূলনায়ক রাশিয়ার রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসেন ভ্লাদিমির পুতিন। পুতিনের রাজনৈতিক বিচক্ষনতার দরুন রাশিয়া ধীরে ধীরে তার বৈদেশিক বিস্তার নীতিতে প্রবেশ করতে থাকে। সিরিয়া, ইরাক ও লিবিয়া সংকটের সুযোগে রাশিয়া মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে শক্তভাবে নিজের অনুপ্রবেশ ঘটায়। পাশাপাশি বলকান ও বাল্টিক অঞ্চলে রাশিয়ার দীর্ঘদিনের উচ্চাকাঙ্খা তো রয়েছেই।
যাইহোক, একবিংশ শতাব্দীর নতুন ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণে তুরস্ককে যুক্তরাষ্ট্র তার মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরেশিয়ান রাজনীতির কেন্দ্রীয় চরিত্রে রাখতে চাচ্ছে। তুরস্কের ভৌগলিক ও ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব, এবং সিরিয়া, লিবিয়া সংকটে তার শক্ত অবস্থান তাকে আঞ্চলিক দাবা খেলায় শক্তিশালী খেলোয়াড়ে পরিনত করেছে। তুরস্কের এই শক্তিমত্তার পরিচয় পাওয়া যায় সাম্প্রতিক আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যকার নাগার্নো কারাবাখ যুদ্ধে তুরস্কের ড্রোন প্রযুক্তির ব্যবহার যেভাবে আজারবাইজানকে যুদ্ধে সহজেই জয়ী করে তা থেকে।
তুরস্কের একটি স্বাধীন ও শক্তিশালী আঞ্চলিক খেলোয়াড় হিসেবে উত্থান তুরস্কের সামনে দুইটি পথ খুলে দেয়। যথাঃ
প্রতিবেশী ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে সহযোগিতা ও কৌশলগত সম্পর্কের জোরদার করার সুযোগ তৈরি হওয়া; এবং
পুরাতন মিত্্রদের সাথে দরকষাকষির জন্য এক শক্ত অবস্থান তৈরি হওয়া।
যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্কের গুরুত্বপূর্ণ ভূ-কৌশলগত অবস্থান ও ন্যাটোতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সামরিক শক্তির অংশগ্রহণের জন্য তুরস্ককে তার কার্যকর মিত্র হিসেবে পেতে মরিয়া। কিন্তু কিছু ঘটনা সময়ের আবর্তনে উভয়ের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরো অচল করে দিচ্ছে।
সম্পর্কে অচলতার কারণঃ
যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তুরস্কের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক খারাপের দিকে যেতে শুরু করার অনেকগুলো কারণের মধ্যে অন্যতম কারণ হল রাশিয়ার কাছ থেকে তুরস্কের S-400 আকাশ নিরাপত্তা সিস্টেম ক্রয় করা। এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণে তুরস্ক এই গোটা অঞ্চলে তার আধিপত্য বিস্তারের একধাপ এগিয়ে যাবে, এবং সম্ভাব্য যেকোনো সামরিক হুমকি মোকাবিলায় অনেকাংশেই সক্ষমতা অর্জন করবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের মাথাব্যথার কারণ হলো, এই সামরিক ও প্রযুক্তিগত সম্পর্কের হাত ধরে রাশিয়া এই অঞ্চলে তার কৌশলগত স্বার্থ হাসিল করতে পারে, এবং মধ্যপ্রাচ্যে বর্তমান রাশিয়ার যে শক্ত অবস্থান তা আরো দৃঢ় করবে তুরস্ক-রাশিয়া ও ইরান জোট। তাই, তুরস্কের এস-৪০০ সামরিক অবকাঠামোকে যুক্তরাষ্ট্র শুধু প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ হিসেবে না দেখে, রাজনৈতিক কুট-কৌশলের অংশ হিসেবেই দেখছে। ফলে, প্রথম থেকেই তুরস্ককে রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের ব্যাপারে কড়া সমালোচনা করে আসছে এবং এমনকি তুরস্কের উপর বিভিন্ন প্রতীকী অবরোধও আরোপ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র আবার সেই অবরোধকে বিভিন্ন কোড অনুযায়ী সাজিয়েছে, যেমন "Countering Russian Influence in Europe and Eurasia- CAATSA", ফলে ইউরেশীয় দেশ হিসেবে তুরস্ককে বেশি চাপ দেয়া হচ্ছে রাশিয়ার সাথে সামরিক সম্পর্ক বিস্তার রোধে। এরকম অবরোধের পিছনে অন্য কারণটা হল, তুরস্কের দেখাদেখি এই অঞ্চলের অন্যান্য রাষ্ট্রগুলো বিশেষত গালফভুক্ত দেশগুলো যেন রাশিয়ার সাথে কোনরূপ সামরিক সম্পর্কে না জড়ায়। যদিও আমরা জানি, সৌদি আরব বেশ কিছুদিন যাবত তুরস্কের মত রাশিয়ার কাছ থেকে এ ধরনের প্রযুক্তি ক্রয়ের চিন্তা করছে, কিন্তু সৌদি আরবের উপর যুক্তরাষ্ট্রের একটা প্রভাব থাকার দরুন হয়তো সৌদি প্রশাসন এ বিষয়ে শক্ত অবস্থান নিতে পারছে না। কিন্তু তুরস্ক সে সিদ্ধান্ত নিতে একধরনের বাধ্যই হয়েছে, কারণ তুরস্ক মধ্যপ্রাচ্য সংঘাতে দীর্ঘদিন নিজের আকাশ নিরাপত্তা সংকটে ভুগছে, এবং সেক্ষেত্রে তুরস্কের প্রথম পছন্দই ছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্যাট্রিয়ট মিসাইল সিস্টেম ক্রয় করা, কিন্তু সেগুলো কেনার অনুমতি তুরস্ককে দেয়া হয়নি৷ ফলে তুরস্ক এই গ্যাপ পূরণে স্বাভাবিকভাবেই অপর সামরিক প্রযুক্তির মহাশক্তি রাশিয়ার সাথে যুক্ত হতে বাধ্য হয়েছে।
সম্পর্কে ফাটলের অন্যতম প্রধান কারণ, বিশেষত এরদোয়ান সরকার ক্ষমতায় আসার পর, যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক উত্তর সিরিয়া ও তুরস্কের সক্রিয় রাজনৈতিক দল কুর্দিস্তান শ্রমিক দল (পিকেকে) কে সমর্থন ও বিভিন্নভাবে সহায়তা প্রদান। এরদোয়ান ক্ষমতায় বসেই এই সীমান্তবর্তী রাজনৈতিক দলটিকে সরাসরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সাথে তুলনা করেন এবং তুরস্কের সার্বিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সম্ভাব্য হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেন। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে তুরস্কে ঘটে যাওয়া ব্যার্থ সামরিক অভ্যুত্থানের পিছনে এই পিকেকের কিছু প্রধান নেতৃবৃন্দদের পরোক্ষ মদদ ছিলো বলে তুরস্কের গণমাধ্যম বিশ্বব্যাপী প্রচারণা চালায়। কিন্তু তুরস্ক যতই পিকেকে কে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে উল্লেখ করছে, যুক্তরাষ্ট্র ঠিক ততই যেন দলটির প্রতি তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে। ফলে সম্পর্ক উন্নয়নের কোন ছবি আমাদের কাছে স্পষ্ট হচ্ছে না।
এই অস্থিরতার আগুনে যেন ঘি ঢালতে চাইলেন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্রের কোন প্রেসিডেন্ট যেটি করেনি, তুরস্কের ক্ষেত্রে বাইডেন সেই শক্ত অবস্থানে যাচ্ছেন- অর্থাৎ তুরস্কের বিরুদ্ধে আর্মেনিয়া গণহত্যার দীর্ঘদিনের অভিযোগকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগানের মুখে এই গনহত্যার দুঃসহ কাহিনী ফুট্ব উঠেছিলো, কিন্তু তা ছিলো শুধু বক্তব্য, কিন্তু জো বাইডেন এই অনুসিদ্ধান্তকে বাস্তবে রূপায়িত করতে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি প্রদান করেন।
তুরস্ক বরাবরের মতন সমালোচনা সহকারে এই গণহত্যার অভিযোগকে প্রত্যাখ্যান করেছে। কিন্তু এরদোয়ান সরকার এটা স্বীকার করেছেন যে ১ম বিশ্বযুদ্ধের ঐ অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে হত্যাকাণ্ড অবশ্যই হয়েছে, কিন্তু তা গনহত্যার পর্যায়ে যায়নি। এছাড়াও, এরদোয়ান সেই সংঘাতে হতাহত সবার প্রতি শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন, পাশাপাশি প্রতিবেশি দেশ হিসেবে আর্মেনিয়ার সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র মুলত আইনি শব্দ "গনহত্যা" ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিকট তুরস্ককে আন্তর্জাতিক আইনের বিরুদ্ধচারী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চান। বিশেষত এই গনহত্যাকে পুজি করে বর্তমান আফগানিস্তানের তালেবানদের সাথে একটি চুক্তির পরিবেশ তৈরিতে তুরস্ককে যুক্তরাষ্ট্র ব্যবহার করতে চাচ্ছেন।
আঞ্চলিক রাজনীতিতে তুরস্কঃ
তুরস্ক বাস্তববাদী রাজনীতি (Realpolitik) তে নিজেকে খাপ খাওয়াতে আঞ্চলিক অন্যান্য বৃহৎশক্তিগুলোর সাথে তার সম্পর্ক দৃঢ় করার চেষ্টা করছে। রাশিয়ার সাথে তুরস্কের পুরনো শত্রু-ভাবাপন্ন মনোভাব অনেকটাই কাটিয়ে উঠার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, বিশেষত লিবিয়া ও সিরিয়া সংঘাতকে যেহেতু রাশিয়া একধরনের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে, তাই রাশিয়ার সাথে কৌশলগত সম্পর্ক তুরস্ককে উত্তর সিরিয়া ও লিবিয়ার উপর প্রাধান্য বিস্তারে সুযোগ সৃষ্টি করে দিবে। পাশাপাশি বর্তমান আফগানিস্তানের ডিফ্যাক্টো তালেবান সরকারের সাথে রাশিয়ার এক ধরনের সখ্যতা গড়ে উঠছে, তাই তালেবানদের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখতেও তুরস্ক-রাশিয়া জোট কার্যকরী ভুমিকা রাখবে। এছাড়াও, শুধু ড্রোন প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্পূর্ণ নাগার্নো কারাবাখের যুদ্ধকে তুরস্ক আর্মেনিয়ার হাত থেকে আজারবাইজানের হাতে নিয়ে আসেন। সামরিক প্রযুক্তি ও কৌশলগত এই উৎকর্ষ সাধন তুরস্ককে শক্তিশালী আঞ্চলিক শক্তির প্রতিযোগিতায় এগিয়ে রাখছে।
তুরস্ক ককেসাস ও বলকান অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীল অবস্থা আনয়নের ক্ষেত্রে পূর্বের মিনস্ক চুক্তি থেকে সরে এসে Six Caucasus নামে নতুন এক প্লাটফর্ম তৈরীর প্রস্তাব রাখে যার সদস্য হবে তুরস্ক, আজারবাইজান, জর্জিয়া, ইরান, আর্মেনিয়া ও রাশিয়া। এছাড়াও, তুরস্ক বর্তমান ইউক্রেন সংকট নিরসনেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এগুলোর সাথে সাথে তুরস্ক তার প্রতিবেশি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে সম্পর্ক জোরদার করনে উদার গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার প্রচলন ঘটানোর চেষ্টা চালাচ্ছে এবং মহাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সবসময়ই কৌশলগত সম্পর্ক বজায় রাখতে চেয়েছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে জো বাইডেনের হুট করে আর্মেনিয়ান গনহত্যাকে কুটনৈতিক স্বীকৃতি প্রদান করা সমগ্র রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরো ঘোলাটে করে তুলবে।
যাইহোক, তুরস্ক-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক বিশ্লেষকদের মতে গত মাসে জো বাইডেনের তুরস্ক সফর হয়তো দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের এই জটিলতা নিরসনে অনেকাংশেই কাজ করবে, অন্তত যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তা ভাবা হচ্ছে। কিন্তু এরদোয়ান সরকারের সময়ে বিগত যেকোনো সময়ের চেয়ে তুরস্কে যুক্তরাষ্ট্র-বিরোধী জনমত বেড়েই চলেছে, এবং আর্মেনিয়া গণহত্যার দায়ে তুরস্ককে দায়ী করে বাইডেন যেন আগুনে ঘি ঢাললেন। জনরোষের চাপে বাইডেনের এই স্বীকৃতিকে প্রত্যাখ্যান জানাতে তুরস্কের চারটি প্রধান দলই সমর্থন প্রদান করে তুরস্কের আইনসভায় রেজুলেশন পাশ করেছে। হয়তো বাইডেন ভেবেছিলেন এই গনহত্যা স্বীকৃতি প্রদানের মাধ্যমে এরদোয়ান সরকারকে রাজনৈতিকভাবে চাপে ফেলা যাবে, কিন্তু তুরস্কের সাধারণ মানুষের কাছে সবসময়ই যে এই অভিযোগটি সেনসেটিভ টপিক তা হয়তো বাইডেন আন্দাজ করতে পারেন নি বা কৌশলে এরিয়ে গেছেন।
যাইহোক, বাইডেনের এই সিদ্ধান্ত ভবিষ্যত মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরেশিয়ান ভু-রাজনীতিতে হয়তো যুক্তরাষ্ট্্রের শক্তিশালী মিত্রের সমর্থন মিলবে না, এবং বর্তমানের আঞ্চলিক শক্তি তুরস্কের সাথে অন্য আঞ্চলিক শক্তি ইরান ও রাশিয়ার সখ্যতা আরো দৃঢ হতে পারে। সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের পুরনো সেই জৌলুশ- অর্থাৎ হেজেমনিক আধিপত্য কায়েমের জায়গাটা অনেকাংশেই সংকীর্ণ হয়ে আসতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের বিশ্বাস।
মুল লেখকঃ
গুলনার আইবেত
অধ্যাপক, তুরস্ক জাতীয় প্রতিরক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়
তুরস্ক
অনুবাদকঃ
বদিরুজ্জামান
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
মুল লিংকঃ
https://rusi.org/explore-our-research/publications/commentary/turkey%E2%80%93us-relations-where-now


No comments