Header Ads

Header ADS

বঙ্গোপসাগর ও আঞ্চলিক রাজনীতিতে বাংলাদেশ।

style="text-align: left;">বঙ্গোপসাগর ও আঞ্চলিক রাজনীতিতে বাংলাদেশ।


বঙ্গোপসাগরের রাজনৈতিক সীমানা 

বঙ্গোপসাগর পৃথিবীর বৃহত্তম উপসাগর যা দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভূ-রাজনীতিতে অন্যতম প্রধান নিয়ামক হিসাবে কাজ করে থাকে। বঙ্গোপসাগরের সুবিশাল জলরাশি এবং এতে বিদ্যমান বিপুল সামুদ্রিক সম্পদ, একে কেন্দ্র করে আবর্তিত বৈশ্বিক বাণিজ্য, এবং এর উপকূল ঘেঁষা ও পার্শ্ববতী রাষ্ট্রগুলোর বঙ্গোপসাগর-কেন্দ্রিক আঞ্চলিক রাজনীতিতে বঙ্গোপসাগরের গুরুত্ব ও ভূমিকা সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বঙ্গোপসাগরের এই ক্রমবর্ধমান প্রভাবশালী অবস্থান দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক রাজনীতিতে বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব বাড়িয়ে দিচ্ছে। 


ভারত মহাসাগরের উত্তরে অবস্থিত ত্রিভুজাকৃতির এই উপসাগরটির ভৌগোলিক স্থানাঙ্ক  ১৫° উত্তর ও ৮৮° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ এবং এর আয়তন প্রায় ২১ লাখ ৭২ হাজার বর্গ কিলোমিটার, সর্বোচ্চ গভীরতা ১৫,৪০০ ফুট ও গড় গভীরতা ৮,৪০০ ফুট। বঙ্গোপসাগরের পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিমে রয়েছে ভারত এবং উত্তরে বাংলাদেশ; পূর্বে মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড এবং দক্ষিণে শ্রীলঙ্কা ও ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা প্রণালী অবস্থিত। 


সামুদ্রিক সম্পদ সমৃদ্ধ এ উপসাগর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম ধারক হিসাবে কাজ করে থাকে। বিভিন্ন প্রকার সামুদ্রিক সম্পদের পাশাপাশি রয়েছে প্রাকৃতিক তেল-গ্যাসসহ বিপুল সম্পদের প্রাচুর্যতা।বাংলাদেশের উৎপাদিত মৎস্য সম্পদের প্রায় ১৮% আসে বঙ্গোপসাগর হতে।  US Dept. of the Interior এর Geological Survey এর মতে, শুধু অগভীর সমুদ্রেই ৮.৫ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ রয়েছে। 


এছাড়াও বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের অন্যতম প্রধান জলপথ হলো বঙ্গোপসাগর।  বঙ্গোপসাগর-কেন্দ্রিক বাণিজ্য পরিচালনায় নিয়োজিত রয়েছে চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দর। তার সাথে যুক্ত হচ্ছে পটুয়াখালীতে নির্মিতব্য পায়রা নামের গভীর সমুদ্রবন্দর। বাংলাদেশের মত বঙ্গোপসাগর ঘেঁষা অন্য দেশগুলোও বঙ্গোপসাগর-ভিত্তিক বাণিজ্য পরিচালনার জন্য সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করেছে। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বন্দরঃ ভারতের কলকাতা,চেন্নাই, বিশাখাপটম, পন্ডিচেরি; মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন ইত্যাদি।


বঙ্গোপসাগর ঘেঁষা বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক রাজনীতিতে বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামকে পরিণত করেছে। বাংলাদেশকে প্রদান করা এ গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানের পিছনে যেসব কারণ অনুঘটক হিসাবে কাজ করছে,তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলোঃ

১. বাংলাদেশের প্রতিবেশী হিসাবে চীন-ভারতের অবস্থান। 

২. বঙ্গোপসাগর কেন্দ্রিক চীনের বাণিজ্য। 

৩. জাপানের বাণিজ্যিক স্বার্থ

৪. ছোট ও নিরপেক্ষ দেশ হিসাবে নেপাল ও ভূটানের কাছে বাংলাদেশের প্রাধান্য। 

৫. পরাশক্তির আগমণ ও রাজনৈতিক কৌশলে বাংলাদেশের প্রাধান্য বৃদ্ধি। 


মোটাদাগে এই কয়টি কারণ আলোচনা করলে আঞ্চলিক রাজনীতিতে বঙ্গোপসাগরের অবস্থান বাংলাদেশের প্রাধান্য বৃদ্ধিতে কিরূপ প্রভাব ফেলে চলেছে তা স্পষ্ট হওয়া সম্ভব। 


উপরে উল্লেখিত সবগুলো কারণ  দুটি ভাগে বিভক্ত করে আলোচনা করলে গৃহীত বিষয়টুকু হয়ত কিছু সহজ হয়ে উঠবে। যার একটি অংশ হলো - অর্থনৈতিক বা বাণিজ্যিক,  আর অপরটি রাজনৈতিক।


## বাণিজ্যিক দিকগুলোর মধ্যেঃ

প্রথমত, প্রতিবেশী ভারত ও চীনের বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশ কেন্দ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকান্ড অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। বাংলাদেশের স্থল ও সমুদ্রপথের জন্য ভারতের কাছে বাংলাদেশের প্রাধান্য দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে ভারত তার উত্তরাঞ্চলের প্রদেশগুলোর সাথে কেন্দ্রের বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক যোগাযোগ বৃদ্ধিতে বাংলাদেশকে প্রয়োজন। আর এ প্রয়োজনের তাগিদেই ২০১৮ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্বাক্ষরিত " Agreement on the Use of Chittagong and Mongla Port for Movement of Goods to and from India" চুক্তির ভিত্তিতে বাংলাদেশের সাথে ভারত ট্রান্সশীপমেন্ট চুক্তি কার্যকর করে।


দ্বিতীয়ত, পৃথিবীর দ্বিতীয় জ্বালানি চাহিদাসম্পন্ন দেশ চীনের ৮০% ভাগ জ্বালানীশক্তি মালাক্কা প্রণালী দিয়ে আমদানি করা হয়। যার কারণে বঙ্গোপসাগর ও তার প্রতিবেশী দেশগুলো চীনের কাছে বিশেষ প্রাধান্য পেয়ে থাকে। তাই চীন বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী দেশগুলোতে সহজ ঋণ ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে চলেছে। যার অন্যতম অংশীদার হলো বাংলাদেশ। তাছাড়া চীন তার "মেরিটাইম সিল্করোড" বাস্তবায়নেও বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরের সুবিধা কাজে লাগাতে আগ্রহী।


তৃতীয়ত, বিশাল আয়তনের দেশ চীন তার স্থলবহুল এলাকা (বিশেষ করে চীনের দক্ষিণ- পশ্চিম) হতে কোনো পণ্য সমুদ্রপথে কোথাও রপ্তানি করতে চাইলে প্রথমে সমুদ্রের নিকটবর্তী স্থানে নিয়ে যেতে হয়; যা চীনের জন্য সময় ও অর্থব্যয় সাপেক্ষ ব্যাপার। তাই চীন এক্ষেত্রে বঙ্গোপসাগর ঘেঁষা বন্ধভাবাপন্ন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সমুদ্রপথ ব্যবহার করতে চাইবে। আর তার জন্য চীনের সাথে মিয়ানমারের সীমান্ত সংযোগ থাকলেও মিয়ানমারের পাশাপাশি বিকল্প সহায়ক রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশকেও চীনের প্রয়োজন। 


চতুর্থত, দক্ষিণ এশিয়ার তুলনামূলক ছোট ও নিরপেক্ষ রাষ্ট্রগুলোর কাছেও বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক প্রাধান্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারতের পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার নেপাল ও ভূটান এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অর্থনৈতিক পরাশক্তি জাপান বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ব্যবহারে আগ্রহ প্রকাশ করে আসছে। যার অন্যতম ইঙ্গিত হলো, বাংলাদেশের তৃতীয় সমুদ্রবন্দর "পায়রা সমুদ্রবন্দর" নির্মাণের একটা বড় অংশ আসবে জাইকা থেকে। এবং সব ঠিকঠাক থাকলে ২০২৩ সালে ভূটান ও নেপাল পায়রা বন্দরটি তাদের বাণিজ্যের অন্যতম মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার শুরু করতে পারবে।


## রাজনৈতিক দিকসমূহঃ ভূ-রাজনৈতিক আলোচনায় অর্থনীতি অন্যতম নিয়ামক হলেও এক্ষেত্রে রাজনৈতিক দিকগুলোই মূখ্য হয়ে প্রকাশিত হয়। অর্থনৈতিকভাবে সক্ষম বেশ কয়েকটি দেশ রয়েছে যেগুলো শুধুমাত্র তাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে আঞ্চলিক বা আন্তর্জাতিক কোনো রাজনৈতিক  অঙ্গনে প্রভাব ফেলতে পারে নি। কেননা, রাজনৈতিক অঙ্গনে রাজনৈতিক দিকগুলোই মূখ্য ও মূল প্রভাবক।


এক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক রাজনীতিতে বঙ্গোপসাগরের উপস্থিতি ও বাংলাদেশের প্রাধান্য বৃদ্ধিতে যেসব রাজনৈতিক নিয়ামক বা কারণগুলো রয়েছে, সেই সবগুলোই কোনো না কোনোভাবে ভারত ও চীনের অভ্যন্তরীণ ও জাতীয় স্বার্থের সাথে জড়িত। 


প্রথমত, বাংলাদেশের প্রতিবেশী হিসাবে দুই আঞ্চলিক শক্তি চীন ও ভারতের অবস্থান। স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে আবির্ভূত হবার পর থেকেই ভারতের অন্যতম রাজনৈতিক স্বপ্ন হয়ে দাঁড়ায় দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরাশক্তি হিসাবে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠা করা। যার ফলে বরাবরের জন্যই বাংলাদেশকে ভারতের প্রয়োজন। এছাড়া ভারতের অভ্যন্তরীণ সমস্যা হিসাবে চিহ্নিত উত্তরাঞ্চলের প্রদেশগুলোতে চলমান মাদক পাচার,সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন দমন ও কেন্দ্রের সাথে উত্তরাঞ্চলকে বাণিজ্যিক দিকের পাশাপাশি রাজনৈতিকভাবে একীভূত করতে হলে বাংলাদেশের স্থলসীমার সাথে সাথে সমুদ্রপথও ভারতের কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ। 


দ্বিতীয়ত,  ভারত চায় দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক রাজনীতিতে চীনকে প্রতিহত করে আঞ্চলিক শক্তিতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে, আর অন্যদিকে চীন চায় বাংলাদেশকে তাদের পক্ষে কাজে লাগিয়ে ভারতকে প্রতিহত করার পাশাপাশি বঙ্গোপসাগর পরবর্তী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সাথে যোগাযোগ আরোও ত্বরন্বিত করা ও রাজনৈতিক প্রভাব প্রতিষ্ঠা করা। তাই এইটুকু স্পষ্ট যে, এ অঞ্চলে আঞ্চলিক শক্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সমর্থন ও পক্ষ লাভ করার বিষয়টি ভারতের চেয়ে চীনের তুলনামূলকভাবে বেশিই।


তৃতীয়ত, পশ্চিমাশক্তির আগমণ ও পশ্চিমাদের চীনবিরোধী রাজনীতি। দীর্ঘ ২০ বছরের আফগান অভিযানের আনুষ্ঠানিক ইতি ঘটল এ বছর। মার্কিনীরা এখন মধ্যপ্রাচ্যের চেয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাজনীতিতে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠছে। এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পূর্ব থেকেই বঙ্গোপসাগরে নৌঘাঁটি স্থাপনে আগ্রহ প্রকাশ করে আসছে। 


অন্যদিকে, এ বছরের ১৪ জুন,ব্রাসেলসে ন্যাটোর ৩১ তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে ন্যাটো চীনকে প্রতিহত করার ব্যাপারটিকেই প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হিসাবে উল্লেখ করে। ন্যাটোর বর্তমান মহাসচিব জেনস্ স্টলটেইনবাগ চীনকে প্রতিহত করার জন্য ন্যাটোভুক্ত সকল সদস্যরাষ্ট্রকে জোটগতভাবে কাজ করার আহ্বান করেন। এছাড়া ১১-১৩ জুন, ২০২১ যুক্তরাজ্যের কর্নওয়ালে অনুষ্ঠিত জি-৭ এর শীর্ষ সম্মেলনে জি-৭ ভুক্ত নেতাগণ চীনকে প্রতিহত করার পদক্ষেপ হিসাবে চীনের 'Belt and Road Initiative(BRI)' এর বিপরীতে "Build Back Better World (B3W)" পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। সুতরাং মার্কিনীদের এ অঞ্চলের রাজনীতিতে আগ্রহ,ন্যাটো চীন বিরোধী কৌশল ও চীন বিরোধী এজেন্ডা বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের গুরুত্ব আরো বাড়িতে দিতে পারে।



ভারত-চীনের মধ্যকার দ্বন্দ্বই হোক কি আঞ্চলিক পরাশক্তি অর্জনই হোক, বা পশ্চিমাদের চীনকে প্রতিহত করার জন্য ন্যাটোর কৌশল গ্রহণ ও বাস্তবায়ন,হোক তা আশিয়ানভুক্ত দেশগুলোতে প্রভাব বিস্তার নিয়ে মার্কিনীদের সাথে চীনাদের রাজনৈতিক লড়াই, অথবা নিছক বাণিজ্য বৃদ্ধিজনিত জাতীয় স্বার্থ উদ্ধারের লক্ষ্য; দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক রাজনীতিতে বাংলাদেশ ও বঙ্গোপসাগরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এবং তা ক্রমবর্ধমান হারে বৃদ্ধি পেতে থাকবে।


সুতরাং বঙ্গোপসাগর তার ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশকে এ অঞ্চলের ভূ-রাজনীতিতে যে সুবিধাজনক অবস্থান প্রদান করেছে, আমাদের কাজ হবে সেই সুবিধাটুকুর যথাযথ সদ্ব্যবহার করা। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পর্যায়ের সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে। অধিকতর কৌশলী আচরণের মাধ্যমে চীন-ভারত দ্বন্দ্বে উভয় দেশ হতে প্রদেয় সুবিধা গ্রহণ করতে হবে। চীন-পশ্চিমাদের আন্তঃলড়াই হতেও আদায় করে নিতে হবে সুকৌশল সুবিধাটুকু।যাতে করে কোনো পক্ষই একচেটিয়া ভাবে বাংলাদেশকে তাদের পক্ষ অথবা বিপরীত পক্ষ হিসাবে ধরে নিতে না পারে; সেদিকে সজাগ থাকতে হবে ও প্রয়োজনীয় নীতি গ্রহণ করতে হবে।


শাহ আলম

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়




তথ্যসূত্রঃ

১. http://www.worldatlas.com/aatlas/infopage/baybengal.htm

২. Chowdhury, Sifatul Quader (২০১২)। "Bay of Bengal"। Islam, Sirajul; Jamal, Ahmed A.। Banglapedia: National Encyclopedia of Bangladesh (Second সংস্করণ)। Asiatic Society of Bangladesh।

৩. Bangladesh Foreign Policy; Realities, Priorities and Challenges; Harun ur Rashid.

৪. বিশ্ব রাজনীতির ১০০ বছর; তারেক শামসুর রেহমান।

৫. পত্রিকা;

     (১) দৈনিক প্রথম আলো 

     (২) দৈনিক সমকাল

     (৩) মাসিক কারেন্ট আফেয়ার্স।







No comments

Theme images by rajareddychadive. Powered by Blogger.