টেঁকসই উন্নয়ন (Sustainable Development) কী আদতেই টেঁকসই!
টেঁকসই উন্নয়ন (Sustainable Development) কী আদতেই টেঁকসই
বর্তমান প্রেক্ষাপটে 'Sustainable Development বা টেঁকসই উন্নয়ন' একটি বহুল চর্চিত ধারণা বা কনসেপ্ট। তবে, বহুল ব্যবহৃত হওয়ার পাশাপাশি কনসেপ্টটি কিছু কিছু ক্ষেত্রে দুর্বোধ্য ও বিতর্কিত। লেখক বা বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে 'টেঁকসই' ধারণাটির যথাযথ ব্যবহার নিয়ে মতানৈক্য সুস্পষ্ট।
তবে, মোটাদাগে, যেকোন উন্নয়ন প্রেক্ষাপটে টেঁকসই উন্নয়ন ধারণাটি তিনটি বিষয়কে প্রাধান্য দেয়ার কথা বলে। যথাঃ
১. উন্নয়ন কাজের স্বাভাবিকত্ব বজায় রাখা;
২. উন্নয়ন কাজে ব্যবহৃত প্রাকৃতিক ও অন্যান্য সম্পদের (Resources) যথাযথ ব্যবহার করা; এবং
৩. উন্নয়ন কাজের প্রভাব যেন পরিবেশের ক্ষতির কারণ না হয়ে ওঠে সে দিকে গুরুত্ব প্রদান করা।
'Sustainable Development বা টেঁকসই উন্নয়ন' ধারণাটির প্রেক্ষাপট
জাতিসংঘের সহযোগি সংস্থা হিসেবে ১৯৮৩ সালে World Commission on Environment and Development (WCED) যাত্রা করে। WCED-এর প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ছিলেন নরওয়ের অধিবাসী গ্রো হারলেম ব্রান্টল্যান্ড (Gro Harlem Brundtland)। তার নাম অনুসারে WCED-কে অনেকে ব্রান্টল্যান্ড কমিশন হিসেবেও ডাকতে শুরু করে। এই কমিশন-ই টেঁকসই উন্নয়ন ধারণাটিকে আন্তর্জাতিক রূপ দেয়।
১৯৮৭ সালে, ব্রান্টল্যান্ড কমিশন জাতিসংঘে একটি রিপোর্ট জমা দেয়। সেখানে উল্লেখ করা হয় বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বা প্রবৃদ্ধিকে টেঁকসই করতে হলে অর্থনৈতিক কার্যাবলির সাপেক্ষে বা সাথে পরিবেশগত নিরাপত্তা বা সচেতনার সমন্বয় করতে হবে।
টেঁকসই উন্নয়ন বলতে কি বুঝাবে?
Sustainable development is a development that meets the needs of the present generation without compromising the ability of future generations to meet their needs.
এই রিপোর্টে, ব্রান্টল্যান্ড কমিশন টেঁকসই উন্নয়নের সংজ্ঞায়নে বলে- টেঁকসই উন্নয়নে দুইটি বৈশিষ্ট্য অবধারিত। যথাঃ
(ক) রাষ্ট্রের বর্তমান চাহিদা পূরণে রাষ্ট্রের আওতাধীন সম্পদের যথাযথ ব্যবস্থার রাষ্ট্র নিশ্চিত করবে; এবং
(খ) বর্তমানের চাহিদা বা প্রয়োজন মিটাতে গিয়ে যেন আগত জেনারেশনের সম্পদ ব্যবহারের সক্ষমতাকে অনিশ্চিত বা ক্ষতিগ্রস্ত না করা হয় রাষ্ট্রের উন্নয়ন নীতি তা নিশ্চিত করবে।
অর্থাৎ, বর্তমানের উন্নয়ন ধারাবাহিকতাকে যখন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম প্রয়োজনীয় সম্পদের সাহায্যে টেনে নিয়ে যেতে পারবে- তখনই সেই উন্নয়নটি টেঁকসই হবে।
সংজ্ঞায় 'চাহিদার (Needs)' কথা বলা হয়েছে, তবে সে 'চাহিদা' বলতে কি বুঝাবে তা নির্দিষ্ট করা হয়নি। অর্থাৎ, ব্যক্তি, সংস্কৃতি, রাজনীতি, রাষ্ট্র ইত্যাদিভেদে চাহিদা ভিন্ন হবে। এক রাষ্ট্রের চাহিদা যা হবে, অন্য রাষ্ট্রের চাহিদা তা নাও হতে পারে।
এছাড়াও, সময় বা প্রেক্ষাপট অথবা রাষ্ট্রের সক্ষমতার ভিত্তিতে 'চাহিদার' ভিন্নতা তৈরি হতে পারে। একইভাবে, উন্নয়নের সংজ্ঞায়নও নির্দিষ্ট নয়- তাই রাষ্ট্র বা সমাজভেদে উন্নয়নকে বিভিন্ন লেন্সে সংজ্ঞায়ন করা হয়।
টেঁকসই উন্নয়ন ধারণাটি যতই দুর্বোধ্য হোক, ধারণাটির ব্যবহার যতই অস্পষ্টতা বা বুঝের অভাব দেখা দিক, বিভিন্ন লবি গ্রুপ এই কনসেপ্টকে আন্তর্জাতিকীকরণের প্রচেষ্টা চালাতে শুরু করে। এই প্রচেষ্টার প্রথম পদক্ষেপ, ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে আয়োজিত রিও বা ধরিত্রী সম্মেলন।
এই ধরিত্রী সম্মেলনে UN Conference on Environment and Development (UNCED)- প্রথম সদস্যদেশের সামনে টেঁকসই উন্নয়ন ধারণাটি উপস্থাপন করা হয়। কিন্তু, সেই সম্মেলনেও টেঁকসই উন্নয়ন ধারণাটির তাত্ত্বিক ও প্রায়োগিক উভয়দিক অস্পষ্ট থেকে যায়।
মজার ব্যাপার হল, টেঁকসই (Sustainable) ধারণাটি নিজেই বিভিন্ন অর্থ বহন করে। যেমন যখন আমরা কোন কিছুর টেঁকসই রূপের কথা বলি, আমরা আসলে ঐ বস্তু/ জিনিস/ প্রেক্ষাপটের একটি কাঙ্ক্ষিত অবস্থা কল্পনা করি। অথবা এভাবে বলা যায়, আসলে আমরা সেই কাঙ্ক্ষিত অবস্থায় যেতেই চাই না- অর্থাৎ, আমরা কোন পরিবর্তনের পক্ষে নই।
এই দৃষ্টিভঙ্গি বা মানসিক আকাঙ্ক্ষা থেকে টেঁকসই ধারণাটি ভিন্ন ভিন্ন অর্থ প্রদান করে যা অনেকক্ষেত্রে স্ববিরোধীও হতে পারে। সাথে সাথে ধারণাটির ব্যবহারিক যৌক্তিকতাও আলাদা হতে পারে। কিন্তু সে ব্যবহারিক দিক অনেকাংশেই বিতর্কের জন্ম দেয়।
আবার, প্রেক্ষাপট বিবেচনায়ও টেঁকসই ধারণাটির অস্পষ্টতা তৈরি করে। যেমনঃ টেঁকসই পরিবেশ বা টেঁকসই অর্থনীতি। যখন মানবসৃষ্ট কোন কাজ- উন্নয়ন বা অন্য কোন কিছু প্রাকৃতিক বাস্তুসংস্থান ও প্রাকৃতিক পরিবেশের কোন ক্ষতি করবে না সেখানে টেঁকসই পরিবেশ কথাটি যথাযথ বুঝাবে।
সেক্ষেত্রে পরিবেশে প্রাপ্ত সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার বুঝাতে প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার কতটুকু হবে তা নির্ধারণ করার প্রসঙ্গটি আসে- এবং সেখানেই বিতর্কটি তৈরি হয়। বর্তমানে অবকাঠামোগত উন্নয়নের সাপেক্ষে পরিবেশগত টেঁকসই উন্নয়নের প্রশ্ন বিতর্কটি অনেকেই তুলছেন।
কিন্তু, মজার ব্যপার, টেঁকসই অর্থনীতির কথা যদি বলি সেক্ষেত্রে অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে বা টেঁকসই করতে প্রাকৃতিক পরিবেশ বাস্তুসংস্থান বা প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহারের দিকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। কারণ টেঁকসই উন্নয়ন সবসময় অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি/ প্রবৃদ্ধিকে প্রাধান্য দেয়- প্রাকৃতিক সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে। অর্থাৎ, টেঁকসই অর্থনীতি শুধু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকেই গুরুত্ব দেয়, পরিবেশ সংরক্ষণের দিকটি সেখানে তেমন প্রাধান্য দেওয়া হয় না।
টেঁকসই উন্নয়ন যে নীতিকে প্রাধান্য দেয়
তাত্ত্বিক দিক বিবেচনায় টেঁকসই উন্নয়ন কনসেপ্টটির শক্তির জায়গা হল টেঁকসই উন্নয়ন পরিবেশগত, অর্থনৈতিক, এবং সামাজিক বিষয়গুলোকে সমন্বয়ের কথা বলে। তবে প্রায়োগিক ক্ষেত্রে টেঁকসই উন্নয়ন ধারণার বাস্তবায়নে তিনটি নীতিকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়। যথাঃ
ক) টেঁকসই উন্নয়নকে মানব জীবন ও মানব কল্যাণে সহায়ক হতে হবে;
খ) পরিবেশ রক্ষায় বিশেষত দীর্ঘমেয়াদে প্রাকৃতিক সম্পদের মজুতকে নিশ্চিত করতে হবে; এবং
গ) প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারের বর্তমান প্রজন্মের যতটুকু থাকবে- ভবিষ্যৎ প্রজন্মও যেন ততটুকু বা সমান অধিকার পাওয়া নিশ্চিত হবে।
টেঁকসই উন্নয়নকে ঘিরে অনেক গবেষণা হয়েছে- যাদের প্রধান দিক ছিলো, অর্থনীতির সাথে পরিবেশের সমন্বয়- অর্থাৎ, পরিবেশ রক্ষা, প্রাকৃতিক সম্পদের কার্যকরি ব্যবহার, প্রাকৃতিক সম্পদের অপচয় বা দুষণ রোধ সাপেক্ষে কিভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বা কার্যাবলিকে বজায় রাখা যায়।
তাত্ত্বিক বিবেচনায় বাজার অর্থনীতিতে যে পণ্য তৈরি হয়- তার মূল্য নির্ধারণে অবশ্যয়ই পরিবেশের একটা অংশ থাকবে। কেননা এই পণ্যটির কাঁচামাল থেকে শুরু করে- অপচয় পর্যন্ত পরিবেশ সেখানে জড়িত থাকে। যদিও, খনিজ পদার্থের ক্ষেত্রে পণ্যের মূল্য নির্ধারণ অনেকটা জটিল। কারণ খনিজের মূল্য নির্ধারণে সমস্যা রয়েছে।
টেঁকসই উন্নয়ন নিয়ে এত বিতর্ক কিসের?
টেঁকসই উন্নয়ন সংক্রান্ত বিতর্ক তখনই শুরু হয় যখন রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা বা অর্জনকে সংখ্যাতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করা হয়। যেমনঃ একদম প্রথমে WCED ধরিত্রী সম্মেলনে যে রিপোর্ট দেয় সেখানে উল্লেখ করা হয় বিশ্বের অর্থনৈতিক কার্যক্রম যদি আগামী পঞ্চাশ বছরের মধ্যে পাঁচ থেকে দশগুণ বৃদ্ধি করা হয় সেক্ষেত্রে উন্নয়নকে টেঁকসই করা সম্ভব। WCED' এখানে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির খোশামুদি করেছে সংখ্যাকে পুঁজি করে।
একটু চিন্তা করলেই স্পষ্ট হবে যে WCED এক্ষেত্রে টেঁকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি পরিবেশগত দিককে গুরুত্ব দেয়নি। উপরুন্তু, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাওয়ার আবশ্যকীয়তা জ্ঞাপন করে WCED পরোক্ষভাবে, এই প্রবৃদ্ধি অর্জনে রাষ্ট্র যে পরিবেশগত ক্ষতি বা দূষণ চালাতে পারে, তার এক ধরনের পরোক্ষ ইঙ্গিত প্রদান করে।
তবে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সাথে টেঁকসই উন্নয়নকে এক সূতায় গাঁথতে প্রাথমিকভাবে দুইটি সমস্যা সামনে চলে আসে। একদিকে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে রাষ্ট্রকে তার অর্থনীতির ধারাবাহিকতাকে বজায় রাখতে হয় বিশেষত বৃদ্ধির চেষ্টা চালাতে হয়, আবার, অন্যদিকে এই প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে যে উন্নয়ন হয় তাকে টেঁকসই উন্নয়ন হিসেবে চিহ্নিত করতে পরিবেশ রক্ষার দিকে গুরুত্ব দিতে হয়।
কিন্তু রাষ্ট্রের প্রাথমিক লক্ষ্য যখন প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং প্রবৃদ্ধি অর্জনে ধারাবাহিক অর্থনীতি বজায় রাখা, তখন প্রাকৃতিক সম্পদের সুষম ব্যবহারের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা অর্থাৎ, পরিবেশ বিবেচনায় সম্পদের সুষম বন্টনের সুযোগ অনেক সীমিত হয়ে যায়। উল্লেখ্য, ধারাবাহিক অর্থনৈতিক কার্যক্রম প্রাকৃতিক সম্পদ ও প্রাকৃতিক পরিবেশকে ক্ষতি করেই হয়ে থাকে।
GNP, GDP ও টেঁকসই উন্নয়ন
এছাড়াও Gross National/ Net Product (GNP) বা মোট জাতীয় উৎপাদন বিবেচনায়ও টেঁকসই উন্নয়ন ধারণাটিকে ভিন্নভাবে দেখা যায়।
মোট দেশজ উৎপাদন বা Gross Domestic Product (GDP) বলতে বুঝায় দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদিত পণ্য ও সেবা মূল্যকে বুঝায় যার থেকে প্রাপ্ত আয় কিছুটা দেশে থাকে আবার কিছুটা দেশের বাহিরে যায় বিদেশি কোম্পানি, বিনিয়োগ বা ব্যক্তি মালিকানার কারণে, এবং মোট জাতীয় উৎপাদন বা Gross National/ Net Product (GNP) বলতে বুঝায় দেশের বা দেশের বাহিরে থেকে যখন প্রকৃত অর্থ দেশের অর্থনীতিতে যুক্ত হয়।
এই GNP বা GDP উভয় বিবেচনায় একটি রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অবস্থাকে নিরূপণ করা হয়। সেক্ষেত্রে যদি Gross National/ Net Product (GNP)-এর কথা ধরি, এখানে জাতীয় উৎপাদন বৃদ্ধিতে দেশের প্রাকৃতিক সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারের কথা বলা হয়।
GNP পরিসংখ্যানে উপরের দিকে থাকতে অর্থাৎ রাষ্ট্রকে আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক সম্পদের অপচয় বা প্রাকৃতিক পরিবেশের ক্ষতিকে কোন বিবেচ্য উপাদান হিসেবে ধরা হয় না।
সুতরাং, সরিষার মধ্যে ভুত তো এখানে! অর্থাৎ, রাষ্ট্রকে আন্তর্জাতিক পরিক্রমায় নিজেকে শক্তিশালী করতে তাকে অর্থনৈতিকভাবে সক্ষম হতে হবে। এজন্য রাষ্ট্রকে তার ধারাবাহিক অর্থনৈতিক কার্যাবলি বজায় রাখতে হবে এবং স্বাভাবিকভাবে সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে তাকে প্রাকৃতিক সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অধিকার সেখানে কোন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নয়। এভাবেই অর্থনৈতিক উন্নয়ন টেঁকসই হয়ে উঠছে না বা হয়ে ওঠার সিস্টেমটাই তৈরি হয় নি।
সমাপ্তিঃ
যাহোক, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে টেঁকসই উন্নয়নের চ্যালেঞ্জকে বর্তমানে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোয় রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিকে প্রথাগত GDP ও GNP- এর আলোকে না দেখে, সামাজিক ও পরিবেশগত মানদন্ডকেও GDP ও GNP পরিসংখ্যানে যুক্ত করার বিষয়টি প্রাধান্য পাচ্ছে। এর ফলে GDP ও GNP-কে Green GDP ও Green GDP হিসেবে দেখানোর কথা বলা হয়। Green GDP ও Green GNP উভয়ই অর্থনৈতিক উন্নয়নকে টেঁকসই করার ক্ষেত্রে সচেষ্ট ভূমিকা পালন করতে পারে।
ভাবানুবাদকঃ
বদিরুজ্জামান
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
মূল বই:
International Relations: The Key Concepts
By- Martin Griffith, Tarry O'Callagahan & Steven C. Roach
International Relations: The Key Concepts
By- Martin Griffith, Tarry O'Callagahan & Steven C. Roach


No comments