জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশন ও বাংলাদেশ
গত ২৯ মে ২০২০, প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও আন্তর্জাতিকভাবে
পালিত হল জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা দিবস। তখনই ভেবেছিলাম বিষয়টি নিয়ে একটু লেখালেখি করব,
কিন্তু একটু দেরী হয়ে গেল এই যা! সনদ অনুযায়ী, জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য হল দুটি,
যথাঃ বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা বজায় রাখার মধ্য দিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। এই লক্ষ্যটা নির্দিষ্টেরও
কিন্তু একটা কারণ ছিলো। জাতিসংঘ অনেক দিক দিয়ে পূর্ববর্তী জাতিপুঞ্জের লিগাছি হিসেবেই
প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। জাতিপুঞ্জ(League of Nations) প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল সকল ধরণের
যুদ্ধ থেকে সরে এসে শান্তি অর্জনকে প্রাধান্য দেয়া। কারণ, প্রথম মহাযুদ্ধের যে ধ্বংসাত্মক পরিণতি
তা ইউরোপিয়ানদের আর কোন যুদ্ধে জড়ানোর সাহস জোগায়নি।
কিন্তু,
যদি যুদ্ধ না হয় এর মানে এই নয় যে সেখানে শান্তি থাকবে। অনেকক্ষেত্রে যুদ্ধ বা সংঘাত
ছাড়াও একটা বদ্ধ বা অশান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি হতে পারে। উল্লেখ্য, দুই মহাযুদ্ধের মধ্যবর্তীকালীন
সময়ে কোন যুদ্ধ না হলেও, সেসময়ে কোন রাষ্ট্রই শান্তিতে ছিলো না। রাশিয়ার অক্টোবর বিপ্লব,
গ্রেট ডিপ্রেশন, ফ্যাসিবাদের উত্থান ও বিকাশ, সীমান্ত সমস্যা ইত্যাদি সকলের মাঝেই একটা
দুশ্চিন্তার ছাপ এটে দিয়েছিলো। শান্তি রক্ষার্থে যে নিরাপত্তার প্রয়োজন- তা হতে পারে
সামরিক, সামাজিক বা অর্থনৈতিক- সেগুলোকে জাতিপুঞ্জ
তেমনটা মূল্যায়ন করে নি। যাইহোক, ইয়াল্টা সম্মেলনের ফলে যে নতুন আন্তর্জাতিক সংস্থা
জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠা সে কিন্তু প্রথম থেকেই এই নিরাপত্তাকেই বেশি জোর দিয়েছে। আর্থ-সামাজিক
শান্তি ও নিরাপত্তা অর্জনে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাকে তার উইং হিসেবে প্রত্যায়ণ
প্রদান করেছে, এবং সামরিক সংঘাতগুলোকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধানের জন্য একটা সামরিক
শাখা হিসেবে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা বাহিনীর শুভ সূচনা করেছে।
জাতিসংঘ সনদের ৪৩, ৪৪ ও ৪৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী
আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বিধানে জাতিসংঘের
নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশ অনুসারে শান্তিরক্ষা মিশন প্রেরণ করা হয়ে থাকে। বিরোধপূর্ণ
ভুমিতে এই বাহিনী নানাবিধ কাজ করে থাকে, উদ্দেশ্য একটাই থাকে কিভাবে বিরোধ প্রশমনের
মাধ্যমে অঞ্চলজুরে নিরাপত্তা ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায়। যাইহোক, আমাদের আজকের আলোচনায়
আমরা শান্তি রক্ষা বাহিনীর লক্ষ্য, কার্যাবলি সম্পর্কে জানবো-পাশাপাশি বাংলাদেশ কিভাবে
এই মিশনে যোগ দিল, এবং এই প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর অবদান কতটুকু এবং কিভাবে
শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশ সহায়তা করছে তা দেখার চেষ্টা করবো।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনঃ
অন্তঃরাষ্ট্রীয় বা আন্তঃরাষ্ট্রীয়, যেকোন বিরোধ
নিষ্পত্তিকরণে জাতিসংঘের সনদ অনুযায়ী সামরিক উইং হিসেবে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন পরিচালিত হয়ে থাকে। এই মিশনের
তত্ত্বাবধায়নের দায়িত্বে থাকে শান্তিরক্ষী বাহিনী। উল্লেখ্য, কোন একটা সংঘাত হলেই কিন্তু
সেখানে শান্তিরক্ষী বাহিনীর আন্ডারে মিশন শুরু হয় না, সেক্ষেত্রে কয়েকটি শর্ত বিবেচনার
প্রয়োজন দেখা দেয়। যেমনঃ
● শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রেরণ বিষয়ক যাবতীয় ক্ষমতার অধিকার রাখবে জাতিসংঘের
নিরাপত্তা পরিষদ;
● নিরাপত্তা পরিষদ থেকে যে বিবাদমান রাষ্ট্রে মিশন পরিচালনার প্রস্তাব রাখা
হবে, সেই দেশের প্রত্যক্ষ সম্মতি থাকতে হবে;
●
এই মিশনগুলোয় জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো
স্ব-ইচ্ছায় তাদের সেনাবাহিনী প্রেরণ করবে, এবং সেক্ষেত্রে প্রত্যেক সৈনিক তার নিজ দেশের
ইউনিফর্ম পরিধান করবে। ইত্যাদি
জাতিসংঘের সনদের ৪৩, ৪৪, ও ৪৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী
এই মিশন পরচালনার অধিকার নিরাপত্তা পরিষদকে দেয়া হয়েছে, যদিও সার্বিক তত্ত্বাবধায়নের
দায়িত্ব বর্তাবে জাতিসংঘের মহাসচিবের উপর। যাইহোক, ১৯৪৮ সালে মধ্যপ্রাচ্যে যাত্রা শুরু
করে প্রায় এই ৭০ বছর যাবত এই মিশন পরিচালিত হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে। জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো
বার্ষিক চাঁদা প্রদান করে থাকে এই মিশনগুলোকে চলমান রাখতে।
জাতিসংঘের একটি কার্যকর ক্ষেত্র হিসেবে এই শান্তিরক্ষী
মিশন বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তা অর্জনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছে। ১৯৮৮
সালে এই দায়িত্ববোধের জন্য জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রম শান্তিতে নোবেল পুরস্কার
লাভ করেন। শান্তিরক্ষী বাহিনী মূলত সরাসরি কোন ধরণের সশস্ত্র সংঘাতে জড়ায় না। তাদের
মূল দায়িত্বই থাকে দেশের জনগণের জান-মালের হেফাজতের ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষা নীতি অবলম্বন
করা। তারা সবসময়ই দুই বা ততোধিক সংঘাতে লিপ্ত দলের মধ্যে একটি বোঝাপোড়া, যুদ্ধবিরতি,
উত্তেজনা প্রশমন, চুক্তি স্বাক্ষরে আন্তর্জাতিক নিশ্চয়তা প্রদান করা ইত্যাদি গুরুদায়িত্ব
পালন করে থাকেন। শান্তিরক্ষী বাহিনীতে সামরিক বাহিনীর পাশাপাশি পুলিশ, বিভিন্ন মানবাধিকার
সংস্থা, দাতব্য প্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক ও বিশেষজ্ঞেরা কাজ করে থাকেন। সকলের
দায়িত্ব বা কর্তব্যের কেন্দ্রে থাকে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায়ে সহায়তা করা।
শান্তিরক্ষা মিশন ও বাংলাদেশঃ
বাংলাদেশ সবসময়ই বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তার
কথা বলেছে, এবং এগুলো অর্জনে সমন্বিত প্রচেষ্টাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। বাংলাদেশ সংবিধানের
২৫ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বাংলাদেশ যেকোন আন্তঃরাষ্ট্রীয় বিরোধ নিরসনে শান্তিপূর্ণ পন্থা
অবলম্বনের উপর জোর দিয়েছে, এবং এক্ষেত্রে জাতিসঙ্ঘের সনদকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়ার
কথা বলেছে। যেহেতু শান্তিরক্ষী মিশন জাতিসংঘের সনদের আদলে পরিচালিত হয়, বাংলাদেশ তাই
শুরুর দিক থেকেই চেষ্টা চালিয়েছে এই মিশনে অংশ নিয়ে বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা অর্জনে
অংশীদার হতে। কিন্তু যুদ্ধ পরবর্তী যুগটা বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে ছিলো
ডিপ্লোমেটি স্বীকৃতি ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় সদস্যপ্দ আদায়ের যুগ; ভঙ্গুর আর্থ-সামাজিক
যুগ এবং সামরিক শক্তির ভিত্তি শক্তের যুগ।
বেশ
অনেকগুলো কারণে বাংলাদেশ প্রথম থেকেই শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দিতে চেয়েছে। যথাঃ
● সাংবিধানিকভাবেই
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জোরদারে প্রয়োজনীয় প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখাকে
সমর্থন প্রদান করেছে।
● আন্তর্জাতিক
রাজনৈতিক ব্যবস্থায় যে নৈরাজ্য (Anarchy) বিরাজমান সেখান থেকে নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ
পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও স্বার্থ আদায়ের চেষ্টা করা।
● বাংলাদেশের
অর্থনীতির এক বিরাট অংশজুড়ে আছে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স। শান্তিরক্ষী বাহিনীকে তাদের
দায়িত্ব পালনের জন্য জাতিসংঘ অনেক পরিমাণে আর্থিক সাহায্য করে থাকে। এই টাকার সম্পূর্ণটা
বাংলাদেশর অর্থনীতিতে যোগ হয় এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে দারুণ প্রভাবিত করে।
● আন্তর্জাতিক
সম্পর্কে বাংলাদেশের একটি ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি করা। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ শান্তিরক্ষা
মিশনে সৈন্য প্রেরণ করার দিক দিয়ে প্রথম স্থানে রয়েছেন। পাশাপাশি যেসকল মিশনগুলোয় বাংলাদেশ
কাজ করেছে ও করছে, সব জায়গায় বাংলাদেশ নিজেকে অনেক সাবলীল, শান্তিপ্রিয় ও বন্ধুপ্রতিম
দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে। এটা আসলেই একটা বড় পাওয়া যা বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী
বাহিনী তাদের নিজ যোগ্যতা ও গুণে অর্জন করতে পেরেছে।
●
এছাড়াও, বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী ও পুলিশ-
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের মাধ্যমে আধুনিক মিলিটারি ট্রেনিং, প্রযুক্তিগত জ্ঞানার্জন,
ক্রাইসিস মেনেজমেন্ট, শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার দক্ষতা অর্জন করতে পারছে। ইত্যাদি।
যদিও
১৯৪৮ সালে শান্তিরক্ষা মিশন শুরু হয়, বাংলাদেশ ১৯৮৮ সালে ইরাক ইরান যুদ্ধের একদম শেষের
পর্যায়ে এই মিশনে যোগ দেন। এ পর্যন্ত বাংলাদেশ প্রায় ৬৯ টি মিশনে অংশ গ্রহণ করেছে,
এক্ষেত্রে কয়েক হাজার সৈন্য শান্তি রক্ষী বাহিনীতে যোগ দেন, এবং অনেকে মারা যান। নিচে কয়েকটি মিশনের নাম উল্লেখ করা
হল যেখানে বাংলাদেশ সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছে।
● ONUMOZ-
মোজাম্বিক (১৯৯২ সাল থেকে);
● UNAVEM-
এংগোলা (১৯৯১ সাল থেকে);
● UNMIH-
হাইতি (১৯৯৪ সাল থেকে)
●
UNATC- কম্বোডিয়া (১৯৯২ সাল থেকে) ইত্যাদি।
শান্তিরক্ষা
মিশনে বাংলাদেশের অর্জনঃ
জাতিসংঘের
শান্তিরক্ষা মিশনগুলো বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক কমিউনিটির
কাছে, বিশেষত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টির দরুন ইতিবাচক ও প্রশংসনীয় স্থানে পৌঁছে দিয়েছে। মিশনগুলো থেকে বাংলাদেশের অর্জন অনেক, যেমনঃ
· বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিজেকে সু-শিক্ষিত, দক্ষ, দায়িত্ববান ও মানবিক শান্তিরক্ষী বাহিনী ও বাংলাদেশকে একটি শান্তিপ্রিয় ঠিকানা হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি অর্জনে সফল হয়েছে।
·
আন্তঃমহাদেশীয় পারস্পরিক
সম্পর্ক উন্নয়নের একটি ইতিবাচক ভিত্তি গড়ে তুলেছে। আমরা দেখেছি এই মিশনগুলো,
আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ককে আরো জোরালো
করেছে।
·
বৃহত শক্তিগুলোর আধুনিক
সামরিক শক্তির সাথে বাংলাদেশ পরিচিত হতে পেরেছে, আধুনিক যুদ্ধকৌশল ও নিরাপত্তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারছে। এগুলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে
দেশে-বিদেশে একটি মার্জিত, আধুনিক
ও দক্ষ বাহিনী হিসেবে পরিচিতি লাভ করিয়েছে। এছাড়াও, মিশনের ইতিবাচক ভাবমূর্তির কল্যাণে,
বাংলাদেশ বৃহৎ শক্তি গুলোর সাথেও তাদের সম্পর্ককে জোর দার করতে পারছে।
· একটা বড় অংকের আর্থিক সাহায্য বাংলাদেশ শান্তিরক্ষী বাহিনী কিন্তু পেয়ে থাকে যা পরবর্তীতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। যদিও, তৃতীয় বিশ্বের দেশ হওয়ায় মিশনে আর্থিক সহায়তা ও অন্যকিছু সুযোগ সুবিধায় একটা বৈষম্য লক্ষণীয়। এই পদ্ধতিগত বৈষম্য দূরীকরণে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা কাজ করছে। ইত্যাদি।
উপসংহারঃ
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশন, জাতিসংঘের সবচেয়ে
বৃহৎ ও দৃষ্টিগোচর কার্মক্ষেত্র। বৈশ্বিক শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থায়িত্ব রক্ষার্থে
একটি সমন্বিত ও সহযোগিতাপূর্ণ বিনিয়োগ। এই মিশনগুলো গত ৭০ বছর যাবত বিভিন্ন বিরোধপূর্ণ
ভূখণ্ডে লাখো মানুষকে বেচে থাকতে সাহায্য করছে, রাষ্ট্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি একটি স্থায়ী
ও শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক অবস্থা বজায় রাখতে চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু এই মিশনগুলোর
ব্যবহারিক দিকগুলো অনেকাংশে রাজনৈতিক ধারার উপর নির্ভর করে। সামাজিক নিরাপত্তা ও বিরোধ
মিমাংসায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্য পূরণে স্থানীয় রাজনৈতিক সমর্থন আদায় অনেকটাই
অপরিহার্য হয়ে পরে। বাংলাদেশ সাংবিধানিকভাবে একটি শান্তিপ্রিয় রাষ্ট্র হওয়ায়, স্বাধীনতার প্রথম যুগের পর থেকেই এই মিশনগুলোতে
অংশগ্রহণ করছে। তৃতীয় বিশ্বের দেশ হওয়ায় কিছু পদ্ধতিগত সমস্যা
বাদে, বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্য এই মিশনগুলো নিজেদের
ইতিবাচক দিকগুলো আন্তর্জাতিক কমিউনিটির কাছে তুলে ধরার একটা অন্যতম প্রধান প্লাটফর্ম। এবং বাংলাদেশ এই ক্ষেত্রে
অনেকটাই সফল হয়েছে।




No comments