Header Ads

Header ADS

যে কারণে আরব লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়?



আরব রাষ্ট্রগুলোর মধ্যকার কমন স্বার্থগুলোকে প্রচারণার লক্ষ্যে ১৯৪৫ সালে আরব লীগ প্রতিষ্ঠিত হয় যেহেতু সংগঠনটি সদস্য দেশগুলোর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে তৈরি হয়েছিলো, সেহেতু আরবীয় সংস্কৃতি, সামাজিক সখ্যতা রাজনৈতিক সহবস্থানের মাধ্যমে সমন্বিত নিরাপত্তা (Collective Security) নিশ্চিতকরণই ছিল আরব লীগের প্রধান উদ্দেশ্য আরব লীগের সদস্য দেশগুলোর ছিলো সূদুর মধ্যপ্রাচ্যের ইরাক থেকে শুরু করে পশ্চিমে মরক্কো দক্ষিণ-পূর্বের সুদান লিবিয়া পর্যন্ত বর্তমানে আরব লীগের সদস্য সংখ্যা ২২ (২১ টি রাষ্ট্র PLO) যথাঃ মিশর, ইরাক, লেবানন, সৌদি আরব, সিরিয়া, জর্ডান, ইয়ামেন, আলজেরিয়া, বাহরাইন, কমোরস, জিবুতি, কুয়েত, লিবিয়া, মৌরি তানিয়া,  মরক্কো, ওমান, কাতার, সোমালিয়া, তিউনিসিয়া, এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত

যদিও পিএলও একটি সার্বভৌম দেশ নয়, তবুও এর প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই পি এল আরব লীগের স্থায়ী সদস্যের মর্যাদা পেয়ে আসছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারটি হল, ফিলিস্তিনের আত্ম-নিয়ন্ত্রণাধিকাকের ব্যাপারে সব দিক দিয়ে এই লীগের সদস্য দেশগুলো পি এল কে সর্বাত্মক সহায়তা করার চেষ্টা করেছে, যদিও কিছুক্ষেত্রে ব্যাতিক্রমও লক্ষ করা গেছে  বস্তুত, অনেক আরব নেতারা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন ইসরায়েল- ফিলিস্তিন সংকটের পূর্ণ সমাধান না হওয়া পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয় আবার অনেকের কাছে আরব নেতাদের এই বক্তব্যকে একটা ধোয়াশাপূর্ণ প্রতিশ্রুতি মনে হয়েছে কারণ এই কথার মাধ্যমে পরোক্ষভাবে তারা ইসরায়েল রাষ্ট্রের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব আইনগত বৈধতা দিতে চাইছেন

কাঠামোগত ভাবে আরবলীগ একটি কাউন্সিলের আদলে গড়ে উঠেছে যেখানে বিভিন্ন বিষয়ে রেজুলেশন পাশ করানো হয়, রেজুলেশনের পক্ষে বিপক্ষে ভোট দেয়া হয় পাশাপাশি অর্থনৈতিক সহযোগিতার দিককে বেশি জোর দেয়া হয় আরব লীগের প্রাত্যহিক কাজগুলো সেক্রেটারিয়েট জেনারেলের তত্ত্বাবধানে হয়ে থাকে, এবং প্রতিটি সদস্যদেশ পারস্পরিক সার্বভৌমত্বের অধিকারে কোনরূপ হস্তক্ষেপ না করার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এই দিক থেকে আরব রাষ্ট্রগুলোর সংবিধানগুলোও স্বাধীন, তাদের সবারই স্বীকৃত রাষ্ট্রধর্ম রাষ্ট্রভাষা দাপ্তরিক ভাষা যথাক্রমে ইসলাম আরবি এভাবেই আরবলীগের মাধ্যমে সকল আরব রাষ্ট্র নাগরিকদের নিয়ে একটি মাত্র আরব রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখা হয়

এই স্বপ্ন দেখার পিছনে কাজ করেছে প্যান-আরব ধারণাটি ১৯৫০-৬০ এর দশকে মিশরের প্রেসিডেন্ট জামাল আব্দেল নাসের তার ক্যারিশমাটিক নেতৃত্বের গুণে আরবে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন আরব সমাজতন্ত্রকে তিনি একটি পরিশীল শক্তিশালী কাঠামোয় রূপ দিতে চেয়েছিলেন এই সমাজতন্ত্রের মাধ্যমে আরবের এলিটদের দাপট কমিয়ে সমতার ভিত্তিতে সমাজ গঠনের স্বপ্ন তিনি দেখেছিলেন, পাশাপাশি এই সমাজতন্ত্রকে তিনি মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী হস্তক্ষেপের বিপরীতে বড় অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে মরিয়া ছিলেন

কিন্তু আরবের তেল সমৃদ্ধ দেশগুলো OPEC এর সদস্য হওয়ায় কর্পোরেট দুনিয়ার সাথে তাদের যোগসূত্র বাড়তে থাক এবং তারা পশ্চিমা ক্রেতা দেশগুলোর উপর অনেকটাই নির্ভরশীল হয়ে পরে এছাড়াও আরব দেশগুলোকে আমেরিকার বিভিন্ন আর্থিক সাহায্য উন্নয়ন পরিকল্পনায় আমেরিকার অংশগ্রহণ, আরব ভূখণ্ডে আমেরিকান সামরিক স্থাপনা তৈরির সুযোগ করে দেয়

 

 

 

 অনুবাদকঃ বদিরুজ্জামান 

মূল বইঃ International Relations Key Concepts 

 

 

 


 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 


No comments

Theme images by rajareddychadive. Powered by Blogger.