Header Ads

Header ADS

কোয়াড (QUAD) কী চীনের উত্থান রুখতে পারবে?

   

কোয়াড (QUAD) একটি চার রাষ্ট্রের সমন্বয়ে গঠিত সামরিক জোট, যা ২০০৭ সালে কার্যক্রম শুরু করে। কিন্তু মন্থর গতির কার্যক্রমের জন্যে ২০০৮ সালের পরে কোয়াডের তেমন কার্যকারিতা দেখা যায়নি। 

এরপর, সবশেষ ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে বেশ কয়েকবার আলাপ-আলোচনার পর কোয়াড আবারও পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সংস্থাটির সদস্য রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ভারত ও অস্ট্রেলিয়া- এই চারটি দেশের মধ্যকার সামরিক জোট, বিভিন্ন নিরাপত্তা চুক্তি সহ একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে সংস্থাটি। 


কোয়াড (QUAD) কি, কেন, এবং কোয়াড প্রতিষ্ঠার ইতিহাসঃ

QUAD এর পূর্ণরূপ হচ্ছে "Quadrilateral Security Dialogue" যা চার রাষ্ট্রের সমন্বয়ে গঠিত একটি সামরিক জোট; একে সংক্ষেপে ''QSD'' ও বলা হয়।

২০০৪ সালে ভারত মহাসাগরে ভয়াবহ সুনামির পর ত্রাণ, মানবিক সহায়তা সহ দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে সাহায্যের জন্য চার রাষ্ট্র একত্রে অনানুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করে। কিন্তু জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে, শক্তিশালী এই চার রাষ্ট্রের মিলিত কার্যক্রমকে একটি জোট তৈরির সুযোগ হিসেবে দেখেন। মূলত তাঁরই উদ্যোগে ২০০৭ সালে কোয়াড প্রথমবারের মতো সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। 

কোয়াডকে বলা হতো "সমুদ্র উপকূলীয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জোট"। 

কিন্তু, চীন এশিয় অঞ্চলে মার্কিনীদের উপস্থিতি কখনই ভালোভাবে মেনে নেয়নি। চীনের কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক চাপের জেরে অস্ট্রেলিয়া কোয়াড থেকে বেরিয়ে পড়ে। 

অন্যদিকে, আফগান যুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ান সেনার উপস্থিতি সহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বেশকিছু যৌথ সামরিক চুক্তি থাকায়, যুক্তরাষ্ট্রের চাপে ২০১০ সালে আবারও অস্ট্রেলিয়া কোয়াডে যুক্ত হয়। মার্কিন প্রশাসনও চীনের অস্ট্রেলিয়ার ওপর খবরদারি সহজভাবে মেনে নেয়নি।

ফলে, কোয়াড সংস্থাটি ধীরে ধীরে পুরোপুরি সামরিকীকরণের দিকে ঝুঁকতে থাকে।

বর্তমানে সংস্থাটি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল, অর্থাৎ- ভারত মহাসাগরের পূর্বাঞ্চল, প্রশান্ত মহাসাগর, পূর্ব চীন সাগর, ও দক্ষিণ চীন সাগরে মুক্ত বাণিজ্য, ও সমুদ্রযোগে যাতায়াতের ক্ষেত্রে কোনপ্রকার রাজনৈতিক এবং সামরিক প্রভাব থেকে মুক্ত রাখার চেষ্টা করছে। অনানুষ্ঠানিকভাবে বলা যায়, এই এশীয় অঞ্চলে চীনের রাজনৈতিক, বাণিজ্যিক ও সামরিক আধিপত্য খর্ব করতেই কোয়াডের সামরিক জোট তৈরি ও এই অঞ্চলে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।

২০১৭ সালে ফিলিপাইনে, প্রথমবারের মত কোয়াডের আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হয়। 

পরবর্তীতে ২০২২ সালের ২৪শে মে, জাপানের রাজধানী টোকিও তে কোয়াডের দ্বিতীয় সামিট অনুষ্ঠিত হয়। 

কোয়াডের পরবর্তী সামিট ২০২৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার উদ্যোগে হওয়ার কথা।

সংস্থাটির কার্যক্রম বর্তমানে বিভিন্ন মিটিং, সামিট, সদস্য রাষ্ট্রের তথ্য আদান প্রদান এবং মিলিটারি ড্রিলের মাধ্যমে হয়ে থাকে।


 ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তারের রাজনীতি ও চীনের প্রভাবঃ 

সমুদ্রে আধিপত্যঃ

দক্ষিণ চীন সাগর, চীনের বাণিজ্যিক র‍্যুটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক অঞ্চল। এই অঞ্চল দিয়েই চীন মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, ল্যাটিন আমেরিকা সহ পৃথিবীর নানা প্রান্তে ব্যবসা-বাণিজ্য, পণ্য পৌছানো এমনকি যে কোনপ্রকার সামুদ্রিক যাতায়াত সম্পন্ন করে থাকে। পশ্চিম অংশে চীনের কোন সামুদ্রিক বন্দর বা সমুদ্রের সাথে যোগাযোগ না থাকায় নৌপথে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে চীনকে পাড়ি দিতে হয় দক্ষিণ চীন সাগর হয়ে সিঙ্গাপুর-মালেয়শিয়ার সরু সিঙ্গাপুর প্রণালী এবং মালাক্কা প্রণালী। ধারণা করা হয়, বিশ্ববাণিজ্যের প্রায় ৩০% শতাংশ আসে এই অঞ্চলের নৌপথ দিয়ে।

কিন্তু শুধু বাণিজ্যিক পথ হিসেবেই নয়, দক্ষিণ চীন সাগর পৃথিবীর অন্যতম প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদের উৎস। 

দক্ষিণ চীন সাগরে শুধুমাত্র তেলের পরিমাণই ১১ বিলিয়ন ব্যারেল। এছাড়া, প্রাকৃতিক গ্যাসের পরিমাণ ১৯০ ট্রিলিয়ন কিউবিক ফুট। পৃথিবীর অন্তত ১০% মাছের উৎস দক্ষিণ চীন সাগর।

চীনের অন্যকোথাও সমুদ্রবন্দর না থাকায়, স্বাভাবিকভাবেই এই অঞ্চলে চীনের বাণিজ্যিক স্বার্থে দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের কার্যক্রম চোখে পড়ার মত।  

কিন্তু, প্রাথমিকভাবে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে আন্তর্জাতিক আইন নিয়ে।

জাতিসংঘের "UN Convention on the law of the sea (1982)" অনুযায়ী, প্রতিটি উপকূলীয় রাষ্ট্র উপকূল থেকে সমুদ্রের ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত বাণিজ্যিক অঞ্চল হিসেবে দাবি করতে পারবে যা "Exclusive Economic Zone (EEZ)" নামে পরিচিত। অন্যদিকে একই আইনে, উপকূল হতে সমুদ্রের মাত্র ১২ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত হচ্ছে রাজনৈতিক সমুদ্রসীমা।

এখানে বলে রাখা ভালো, রাজনৈতিক সমুদ্রসীমায় ঐ দেশের নৌবাহিনী ব্যতীত কোন সাধারণ নাগরিক, বাণিজ্যিক জাহাজ কিংবা অন্যদেশের জাহাজ চলাচল পুরোপুরি নিষিদ্ধ। রাজনৈতিক সমুদ্রসীমা এবং বাণিজ্যিক সমুদ্রসীমার বাইরের বাকি অংশ "আন্তজার্তিক জলসীমা" আইনের অন্তর্ভুক্ত। এর অধীনে, পৃথিবীর যে কেউ আন্তজার্তিক জলসীমায় প্রবেশ করতে পারবে।

চীন দাবি করে দক্ষিণ চীন সাগর ঐতিহাসিকভাবেই দেশটির অংশ। চীনের দাবি অনুযায়ী, ১৫শতকের শুরু থেকেই চীন এই সাগর শুধুমাত্র নিজেদের কাজের জন্য ব্যবহার করে আসছে, যার বর্তমান নাম দিয়েছে "9 or 11 Dash Line". চীনের এই দাবী অনুযায়ী, তাইওয়ান ও দক্ষিণ চীন সাগরের সম্পূর্ণ অংশের দাবীদার কেবলমাত্র চীন। 

ফলে এ অঞ্চলে অন্যান্য উপকূলীয় রাষ্ট্রের ওপর চীনের পেশিশক্তির সরাসরি প্রভাব পড়ছে। 

সমস্যা আরো গুরুতর হতে শুরু করে, যখন চীন নিজস্ব অর্থায়নে চীনের বাণিজ্যিক সমুদ্রসীমা এমনকি আন্তজার্তিক জলসীমায় "মানবনির্মিত দ্বীপ তৈরি শুরু করে।"  

দক্ষিণ চীন সাগরের মাঝামাঝি স্থানে অবস্থানকৃত "Spratly Islands" এর দাবীদার ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন এবং চীন। কিন্তু চীন এই দ্বীপপুঞ্জগুলোর অধিকাংশই দখল করেছে অন্যান্য দেশের কাছ থেকে৷ পরবর্তীতে এই দ্বীপগুলোতে চীনা সামরিক নৌ ঘাঁটি তৈরি করায়, মার্কিন প্রশাসন ক্রমাগত নৌবহর পাঠিয়ে দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে রাখছে।

চীনের মানবনির্মিত দ্বীপগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো "Fiery cross island". এটি চীনের একটি সামরিক ঘাঁটি। যেখানে চীন ১০,০০০ ফুট এয়ারস্ট্রিপ, এডভান্সড র‍্যাডার স্টেশন, মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম এবং প্রায় ২শত সেনা মোতায়েন করেছে। অথচ ২০১৪ সালের আগে এই দ্বীপের কোন অস্তিত্বই ছিলো না। 

সিআইএ এর তথ্য অনুযায়ী, চীন আন্তর্জাতিক জলসীমা এবং বাণিজ্যিক সমুদ্রসীমার আইন লঙ্ঘন করে এরকম আরো ৬টি মানবনির্মিত দ্বীপ তৈরি করেছে এবং সেখানে সামরিক নৌ ঘাঁটি তৈরি করেছে।


চীনের ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড (BRI) প্রকল্পঃ

চীনের আরেকটি বড় প্রকল্প হচ্ছে ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড ইনিশিয়েটিভ। যা কিনা চীনকে বিশ্বের অন্তত ৭০টি দেশের সাথে স্থলপথ, রেলপথ ও নৌপথে যুক্ত করবে। ইতিমধ্যেই, পাকিস্তানের গোয়াদার বন্দরে চীনের বাণিজ্যিক করিডর, ও শ্রীলঙ্কার হাম্বানতোতা বন্দর চীন লিজ নিয়েছে। এতে চীনের সাথে অন্যান্য দেশের বাণিজ্য, চীনের এশীয় অঞ্চলে আধিপত্য, সামরিক ঘাঁটি, ও চীনের রাজনৈতিক ও সামরিক প্রভাব বৃদ্ধি পাবে। ২০১৫ সালে বিআরআই এর একটি প্রজেক্টে বাংলাদেশও এর অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়ে যা "Bangladesh China India Myanmar economic corridor" (BCIM) নামে পরিচিত। 

এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আফগানিস্তান ছেড়ে আসা, পাকিস্তানের জনগণের মার্কিন বিরোধী মনোভাব, মিয়ানমারে সেনা ক্যু ও চীনের প্রত্যক্ষ প্রভাব ইত্যাদি কারণে যুক্তরাষ্ট্র কোয়াডকে খুবই শক্তভাবে নিয়েছে।


 কিভাবে কোয়াড মার্কিন বলয় ও চীনকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে?

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং এর নিজের ভাষ্য অনুযায়ী, "কোয়াড চীনের ভবিষ্যৎ লক্ষ্যের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি"। 

এর একটি বড় কারণ হচ্ছে, এশীয় অঞ্চলে চীনের অন্যান্য আঞ্চলিক প্রতিপক্ষও কোয়াডের মাধ্যমে মার্কিন বলয়ের অধীনে চলে এসেছে। চীনের উত্থানের পূর্বে দক্ষিণ চীন সাগরের নিয়ন্ত্রণ ছিলো জাপানের হাতে। জাপান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে আঞ্চলিক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলায় চীনের হুমকির মুখে পড়েছে। 

ফলে কোয়াড জাপানের জাতীয় নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক সংঘর্ষ এড়ানোর ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে৷

অন্যদিকে, চীনের আরেক প্রতিপক্ষ ভারত দীর্ঘদিন যাবত নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ছিলো। কেননা, পার্শ্ববর্তী দেশ পাকিস্তানে চীনের বাণিজ্যিক করিডর, শ্রীলঙ্কায় চীনা সমুদ্রবন্দর, মায়ানমারে চীনের একচ্ছত্র প্রভাব, সেভেন সিস্টার্স রাজ্যগুলোতে চীনের উস্কানি ও সীমান্ত সংঘাত- ইত্যাদি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার জন্যে বেশ হুমকিস্বরূপ। এক্ষেত্রে কোয়াডের মত সামরিক জোট অন্তত ভারতকে মার্কিন, অস্ট্রেলিয়ান, ও জাপানের যৌথ সামরিক সহায়তার আশ্বাস দেবে।

অন্যদিকে, চীন 'কোয়াড' কে এশিয়ান 'ন্যাটো' হিসেবে চিহ্নিত করছে। এবং এর যথেষ্ট কারণও রয়েছে।

স্নায়ুযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপে সমাজতন্ত্র রোধে NATO এবং, ইন্দো-চীনে SEATO গঠন করেছিলো। মার্কিন প্রভাবের জন্য এই অঞ্চলে ভিয়েতনাম যুদ্ধ সহ বেশকিছু তিক্ত ইতিহাসও আছে।

যেহেতু চীনের ইন্দো-চীন অঞ্চলে স্নায়ুযুদ্ধকালীন সময় থেকেই বেশ প্রচ্ছন্ন প্রভাব আছে, তাই চীন কোনভাবেই এই অঞ্চলে মার্কিন উপস্থিতি চায়না।

সাম্প্রতিক সময়ে চীন-মার্কিন দ্বন্দ্ব দিনদিন উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। ২০১৫ সালে বেইজিং প্রশাসন দক্ষিণ চীন সাগরকে 'Air identification zone' ঘোষণার হুমকি দিয়েছে। অর্থাৎ দক্ষিণ চীন সাগরে কোনপ্রকার আকাশযান চলাচল করতে চীনের অনুমতি নিতে হবে। চীনা প্রশাসন এটি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করলে মার্কিন-চীন দ্বন্দ্ব সংঘর্ষে রূপ নিতে পারে। 

২০১৫ থেকে আজ পর্যন্ত দক্ষিণ চীন সাগরে টহলরত অবস্থায় মার্কিন ও চীনা নৌবহরের অন্তত ২০টিরও বেশি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষগুলো কেবল ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া বলেই এখনও সরাসরি সংঘর্ষে জড়ায়নি কোন রাষ্ট্র। তবে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে যে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।


বাংলাদেশের ওপর কোয়াডে যোগদানের ব্যাপারে কূটনৈতিক চাপঃ 

২০২১ সালের মে মাসে বাংলাদেশের কূটনৈতিক অঙ্গনে কোয়াডে যোগ দেয়া, না দেয়া নিয়ে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি আমন্ত্রণ না থাকলেও, ভারতীয় কূটনৈতিক মহল থেকে বাংলাদেশকে কোয়াডে যোগদানের ব্যাপারে অবহিত করা হয়।

১০ই মে, চীনের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশকে হুমকিস্বরূপ বলেন, "কোয়াডে যোগদান করলে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের চরম অবনতি হবে।"

সুযোগ পেয়ে বাংলাদেশও এর কড়া প্রতিবাদ করে। 

অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের মুখপাত্র নোড প্রাইস চীনা বক্তব্যের জেরে বলেন, "যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করে, এবং মনে করে বাংলাদেশের কোন পররাষ্ট্রনীতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে কোনপ্রকার চাপ প্রয়োগ করা উচিত নয়।"

বর্তমানে, এখনও বাংলাদেশ কোয়াডে যোগদান করেনি, এবং দুই বলয়ের মাঝেই ভারসাম্য বজায় রেখে চলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। 

তবে ২০২১ থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্কে তিক্ততা চলে এসেছে চরমে। 




মুহাম্মদ ইরফান সাদিক

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ,

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়


No comments

Theme images by rajareddychadive. Powered by Blogger.