বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান (Multinational Corporations-MNCs): প্রেক্ষাপট ও সমালোচনা
বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান (Multinational Corporations-MNCs): প্রেক্ষাপট ও সমালোচনা
Multinational Corporations-MNCs বা বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক রাজনীতির অর্থনীতি (International Political Economy- IPE) বিষয়ক পন্ডিতদের বরাবরই অবাক করেছে। এই পন্ডিতদের অধিকাংশই বৈশ্বিক অর্থনীতিতে MNCs- এর ভূমিকা, অবদান, ও প্রভাবকে অস্বীকার করেন। তবে, তারা বৈশ্বিক অর্থনীতিতে MNCs- এর বিকাশের/ বিবর্তনের ইতিহাসকে গুরুত্ব দেন।
এই লেখায় বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানকে সহজে এবং সংক্ষেপে পাঠকদের সামনে উপস্থানের চেষ্টা করা হয়েছে। পাশাপাশি, MNCs বিকাশের প্রেক্ষাপট এবং MNCs- কে ঘিরে চলমান বিতর্কের সারাংশও লেখাটিতে উল্লেখিত হয়েছে।
বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান (Multinational Corporations-MNCs) কী?
সাধারণভাবে বললে, বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান বা MNCs এক ধরণের বেসরকারি উৎপাদন প্রতিষ্ঠান। এই বেসরকারি উৎপাদন প্রতিষ্ঠান দুইয়ের অধিক রাষ্ট্রে তার উৎপাদন/ ব্যবসায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করে। MNCs- এর এই বহুজাতিক উৎপাদন/ ব্যবসায়ীক কর্মশালার প্রাথমিক ও প্রধান উদ্দেশ্য আর্থিকভাবে মুনাফা লাভ।
বিনিয়োগ, পণ্য উৎপাদন ও বিক্রি, সেবা প্রদান প্রভৃতি MNCs- এর কর্মশালার অংশ। অর্থাৎ, এই কর্মশালা বাস্তবায়নে MNCs দুইয়ের অধিক রাষ্ট্রে তার প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে। যেমনঃ Unilever Company পৃথিবী বিখ্যাত একটি প্রসাধনী প্রতিষ্ঠান। যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানাধীন হলেও, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে Unilever কোম্পানির শাখা রয়েছে। বাংলাদেশে Unilever Bangladesh নামে এই MNC টি তার কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
প্রতিটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের (MNCs) একটি শিকড় থাকে। 'শিকড়' দিয়ে প্রতিষ্ঠানের মালিকানা স্থান বা রাষ্ট্রকে বুঝানো হয়। মালিকানা স্থানের/ রাষ্ট্রের নিয়ম-নীতি মেনেই প্রতিটি MNCs যাত্রা শুরু করে।
উদাহরণ হিসেবে যদি আপনি Coca-Cola, McDonald, Strasburg, বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম Facebook, YouTube, Tweeter ইত্যাদির কথা বলেন তারা প্রতিটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান। তাদের 'শিকড়' মালিকানা সুত্রে যুক্তরাষ্ট্রে এবং এই প্রতিষ্ঠানগুলো যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ম-নীতি মেনেই তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে।
তবে, অনেক পন্ডিতেরা MNCs-কে 'footloose harbingers' বলে সম্বোধন করেন। কারণ, মালিকানা রাষ্ট্রের কাছে জবাবদিহি/ আইন মানার ক্ষেত্রে MNCs ততটা বাধ্য থাকে না (অনেকক্ষেত্রে রাজস্ব বিবেচনায় মালিকানা রাষ্ট্রে MNCs সেই সুবিধা পায়) এবং যে রাষ্ট্রে MNCs নতুন করে প্রবেশ করে সেখানকার আইন বিধিও MNCs- এর জন্য একটু ছাড় দেয়।
যেমনঃ বাংলাদেশের টেলিকমিউনিকেশন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সরকার ছাড় দেয়। আবার, নির্বিঘ্নে পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের লক্ষ্যে ইপিজেড গঠনের মাধ্যমে MNCs কে বাংলাদেশ সরকার সুযোগ করে দেয়।
উৎপাদন প্রতিষ্ঠান কেন বহুজাতিক (MNCs) হয়?
উৎপাদন প্রতিষ্ঠান কেন মালিকানা রাষ্ট্রের বাহিরেও অন্য রাষ্ট্রে যায় বা বহুজাতিক হয় তার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। যেমনঃ
১. উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল, শ্রম বাজার প্রভৃতি খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে, উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের মালিকানা রাষ্ট্রে এই প্রয়োজনের সব নাও পাওয়া যেতে পারে- আবার পাওয়া গেলে উৎপাদন খরচ, বিক্রি ও মুনাফায় হিসেবে তা লাভজনক/ ইতিবাচক যদি না হয় তবে সক্ষমতা থাকলে উৎপাদন প্রতিষ্ঠানটি বহুজাতিক হওয়ায় প্রচেষ্টা চালায়।
২. কিছু MNCs আছে যারা খনন কার্যের সাথে জড়িত। অর্থাৎ, তারা প্রাকৃতিক খনিজ সম্পদ নিয়ে ব্যবসা করে। যেমন ধরুন যুক্তরাষ্ট্রের Aramco, রাশিয়ার Gazprom ইত্যাদি। এই MNC- গুলো বিভিন্ন খনিজ সম্পদ যেমন সোনা, তেল, তামা, হীরা ইত্যাদি উত্তোলন করে বাজারজাত করে বিশ্বব্যাপী।
৩. সেবাদানকারী MNCs যেমনঃ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, Amazon, Alibaba, Microsoft, Dolittle ইত্যাদি স্থানীয় বাজারের চাহিদা বিশ্লেষণ করে কোন একটি দেশে তার প্রতিষ্ঠান খোলে এবং প্রতিষ্ঠানের কাজ চালায়। যেমনঃ বাংলাদেশের দৃষ্টিতে ফেসবুক।
৪. কিছু বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান উৎপাদনের সাথে জড়িত থাকে। সেক্ষেত্রে তারা প্রাথমিকভাবে দক্ষ শ্রমিক অথবা সস্তায় শ্রমকে শ্রমকে প্রাধান্য দেয়। আবার, এই উৎপাদক MNCs ঐ দেশকেও প্রাধান্য দেয় যেখানে পণ্য সেবায় MNCs-কে বিভিন্ন সুবিধা দেওয়া হয়। বিশেষ করে, শুল্ক ও করের হার কমিয়ে দিয়ে এবং তার উৎপাদিত পণ্য সহজে বাজারজাত করনে।
বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের (MNCs) প্রেক্ষাপটঃ
বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান (Multinational Corporations-MNCs) কোন নতুন আবিষ্কার নয়। ঐতিহাসিকভাবে সপ্তদশ শতক থেকেই এই ধরণের বহুজাতিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বা কোম্পানির সূচনা ঘটে।
ইউরোপীয়ান সাম্রাজ্যবাদী শক্তি নিজেদের ক্ষমতা লড়াইয়ে এগিয়ে থাকতে বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানিকে উপনিবেশ তৈরির জন্য বহিঃবিশ্বে পাঠাতেন। যেমনঃ বৃটিশ ইন্ডিয়া কোম্পানি, ডাচ ইন্ডিয়া কোম্পানি ইত্যাদি।
সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠায় এই কোম্পানিগুলো অনেক বড় ভূমিকা রাখে। যেমনঃ ভারতীয় উপহাদেশের কথা চিন্তা করুন। এখানে পর্তুগীজ কোম্পানি প্রথমে বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে আসে। তারই ধারাবাহিকতায় আসে ফরাসি, ওলান্দাজ, ডাচ, এবং সর্বশেষে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি।
ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৭৫৭ সালে নবাব সিরাজ উদ্দৌলাকে পরাজিত করে এবং ভারতীয় উপমহাদেশে উপনিবেশ স্থাপন করে। এভাবেই, উপনিবেশিক যুগে সাম্রাজ্যবাদীরা উপনিবেশ থেকে প্রচুর সম্পদ অর্জন করে। যেমনঃ ব্রিটিশ উপনিবেশের পূর্বে ভারতের সম্পদের পরিমাণ ছিলো পৃথিবীর মোট সম্পদ/ জিডিপ-এর ২৭ শতাংশ। ব্রিটিশরা যখন চলে যায় তখন ভারতীয় উপমহাদেশের জিডিপি ছিলো মাত্র দুই শতাংশ। বস্তুত, ঔপনিবেশিক সময়ে সম্পদ ও শক্তি একে অন্যের পরিপূরক ছিলো।
উনিশ শতকের শেষার্ধে গিয়ে General Electric এবং Singer Sealing Machine-এর কোম্পানি/ প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করে। এই তালিকায় প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী ইউরোপের নতুন কিছু প্রতিষ্ঠান যুক্ত হয়। কিন্তু, এই প্রতিষ্ঠানগুলো কাঁচামাল, শ্রমসহ নানা প্রয়োজনে লাতিন আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য, এবং আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে তাদের প্রতিষ্ঠানের শাখা স্থাপন করে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর উৎপাদন প্রতিষ্ঠানগুলো পুরোদমে বহুজাতিক হওয়া শুরু করে। তারা নিজেদের উৎপাদন প্রতিষ্ঠানের সুবিধার্থে প্রয়োজনীয় দেশে নিজেদের প্রতিষ্ঠানের শাখা স্থাপন করে, এবং শ্রমের সহজলভ্যতার জন্য বড় আকারে বিনিয়োগ করা শুরু করে।
তবে এই সময়কার বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দুইটি প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। যথাঃ
(ক) যে প্রতিষ্ঠানগুলো প্রাকৃতিক সম্পদ খনন ও আহরণ কাজে নিয়োজিত- তারা অধিকহারে বিনিয়োগ করা শুরু করে। তবে, সেক্ষেত্রে শর্ত থাকে যে ঐ সম্পদ আহরণ প্রক্রিয়ায় অন্য যেকোন রাষ্ট্রীয় বা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান চেয়ে খনন কাজে নিয়োজিত উৎপাদন প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ থাকবে সবচেয়ে বেশি।
(খ) যে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো উৎপাদন ও সেবা কার্যে নিয়োজিত তারা পণ্য ও সেবা বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে দেয়। তবে, এই প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে শুল্ক কর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনেক ক্ষেত্রে বড় বিনিয়োগের শর্তানুযায়ী এই প্রতিষ্ঠানদের বিভিন্ন রাষ্ট্র শুল্ক মুক্ত বা হ্রাস সুবিধা দেয়।
তবে, ঔপনিবেশিক শিকল ভাঙা (Decolonized) স্বাধীনতা প্রাপ্ত নতুন দেশে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো পুঁজি ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে প্রধান নিয়ামক হয়ে দাঁড়ায়। নতুন রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক বিকাশ, রপ্তানি সক্ষমতা বৃদ্ধি, এবং শিল্পোন্নয়নের দরকারে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগকে তারা সাদরে গ্রহণ করে।
কিন্তু, নতুন স্বাধীন হওয়া দেশগুলোয়, বিশেষত লাতিন আমেরিকা ও এশিয়ার কিছু দেশের সমাজতান্ত্রিক দলের ক্ষমতায় আসীন হওয়ায় এই MNCs-এর জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। ১৯৬০-৭০ এ লাতিন আমেরিকার সমাজতান্ত্রিকদের ভাষায় MNCs গুলো তাদের স্থানীয় উৎপাদন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে এবং কোন অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বয়ে আনতে পারে নি।
ফলে, তারা বৈদেশিক বিনিয়োগের একটি বড় অংশ উৎপাদনে ব্যবহার না করে স্থানীয়ভাবে জনগনের দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজে লাগাতে শুরু করে। এছাড়াও, এই রাষ্ট্রের সমাজতান্ত্রিক শাসনে শর্ত দেওয়া হয় যে MNCs- এর বার্ষিক মুনাফার অর্ধেক স্থানীয় শিল্প-কারখানা বিকাশে ব্যবহার করতে হবে।
বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান (Multinational Corporations-MNCs) নিয়ে সমালোচনাঃ
বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের (MNCs) প্রভাব রাজনীতিতে কীভাবে পরে আন্তর্জাতিক রাজনীতির অর্থনীতিবিদের (IPE) কাছে তা সবসময় ধোয়াশা হয়ে রয়েছে। সন্দেহের বশে তারা MNCs ও সরকারের মাঝে সমাঝোতার প্রকৃতি/ গোপনীয়তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
বিশেষজ্ঞদের ভাষায়, অনেকক্ষেত্রে MNCs মালিকানা রাষ্ট্র (Home Country) ও যে রাষ্ট্রে তার কার্যাবলী চলছে (Host Country)- উভয়ের মাঝে অবস্থান করে। এখানে, মালিকানা রাষ্ট্রের সুবিধা নিয়ে হোস্ট রাষ্ট্রের উপর প্রভাব বিস্তার করে। আবার, যখন হোস্ট রাষ্ট্র, MNCs- এর দেওয়া শর্ত মানতে চায় না, বা যখন স্থানীয় পর্যায়ে শিল্প প্রতিষ্ঠান বিকাশে ভর্তুকী কমানোসহ নানা ক্ষেত্রে MNCs দেওয়া শর্ত হোস্ট রাষ্ট্র মানতে চায় না, তখন অনেকক্ষেত্রে মালিকানা রাষ্ট্রের সাহায্য নিয়ে MNCs তার হোস্ট রাষ্ট্রের উপর প্রভাব বিস্তার করে।
MNCs নিয়ে সমালোচনায় অন্য একোটি কারণ হোস্ট রাষ্ট্র MNCs-কে যে পরিমাণ সুবিধা দেয় (যেমনঃ শুল্ক হার কমিয়ে দেওয়া, উৎপাদন ও সেবার ক্ষেত্রে দরকারী কাঠামোগত উন্নয়ন ইত্যাদি) তার বিপরীতে হোস্ট রাষ্ট্র তেমন কোন লাভ পায় না। হয়তো কর্মসংস্থান কিছুটা হলেও বৃদ্ধি পায়। তবে, এই উৎপাদনে যে পরিমাণে শ্রম শোষিত হয়, যে পরিবেশ দূষণ হয়, যে হারে শিশু শ্রম ও লিঙ্গ বৈষম্যের শিকার হতে হয় প্রভৃতি সে তুলনায় MNCs থেকে পাওয়া রাজস্ব অতি-সামান্য।
এছাড়াও, অনেক বেসরকারি সংস্থা MNCs কে শোষণমূলক প্রতিষ্ঠান বলে উল্লেখ করে। যেমনঃ আফ্রিকার খনিতে খনিজ সম্পদ উত্তোলনে নিয়োজিত বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের শোষণ, শিশু শ্রম, পরিবেশ দূষণ। সম্পদের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় স্থানীয় বিভিন্ন বাহিনীর সাথে যোগসুত্র স্থাপন- এমনকি গৃহযুদ্ধের ইন্ধন জোগানো। এছাড়াও, লাতিন আমেরিকায় Nike, America Movil, Vale, Latam ইত্যাদি কোম্পানিকে নিয়ে দীর্ঘদিনের সমালোচনা MNCs-এর গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের আগ্রাসন, অবৈধ দখলদারিত্ব ও স্থাপনা নির্মাণ প্রভৃতিতে অনেক MNCs-এর সহযোগিতার কথা মিডিয়ার সাহায্যে সামনে চলে আসছে। যেমন: Coca-Cola, McDonald, Strasbourg ইত্যাদি কে ইসরায়েলের আগ্রাসন চালিয়ে যাওয়া ও অবৈধ স্থাপনার ক্ষেত্রে সাহায্যকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয় দীর্ঘদিন যাবত। আমরা দেখি এরই প্রেক্ষিতে এই পণ্যগুলোকে বৈশ্বিকভাবে বয়কট করার ডাক দেওয়া হয়।
উপসংহার:
বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের আর্থিক প্রভাব একটা রাষ্ট্রের উপর ততটা পরে না যতটা MNCs ঘিরে বয়ান তৈরি হয়। কিছু কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিপরীতে শ্রম শোষণ, পরিবেশ দূষণ, সম্পদের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রভৃতি MNCs এর সমালোচনাকে আরও স্পষ্ট করে। এছাড়াও, বিনিয়োগের নামে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া বিভিন্ন সুযোগ সুবিধাও স্থানীয় পর্যায়ে শিল্প-প্রতিষ্ঠানের বিকাশের পথকে স্লথ করে দেয়। (সংক্ষেপিত)
ভাবানুবাদকঃ
বদিরুজ্জামান
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
মূল লেখকঃ
Susan K. Sell
The George Washington University Washington, D.C., United States.
মূল বই:
International Encyclopedia of Political Science
Editor: Bertrand Badie


No comments