তিস্তার পানি সংকট ও বাংলার কৃষকের অস্তিত্বের লড়াই
তিস্তার পানি সংকট ও বাংলার কৃষকের অস্তিত্বের লড়াই
ভূমিকা
মানবসভ্যতার ইতিহাসে পানি বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। কিন্তু, একইসঙ্গে পানি জাতি, গোষ্ঠী ও দেশের মধ্যে পানি নিয়ে বহু বাদ-বিবাদও তৈরী হয়েছে। ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে পানি নিয়ে বিভিন্ন জাতির মধ্যে বিরোধের অন্ত নেই। যেমন: খ্রিষ্টপূর্ব ২৫০০ সালে সুমেরীয় শহর লাগাশ ও উম্মার মধ্যে টাইগ্রিস নদীর পানি নিয়ে সংঘর্ষ বাঁধে, যা পরবর্তিতে শান্তিচুক্তির মাধ্যমে সমাধান করা হয়েছিল। বর্তমান সময়ে, দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে চলমান বিতর্কটাও যেন দুই দেশের মধ্যে এক জমজমাট "পানির-প্যাঁচ!”।
আন্তর্জাতিক নদী “তিস্তা”-র উৎপত্তি মূলত হিমালয়ের সিকিম অঞ্চল থেকে। যা পরবর্তিতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে এবং রংপুর অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে গেছে। বাংলাদেশে প্রবেশের পর, তিস্তা ব্রহ্মপুত্রের সঙ্গে মিলিত হয় এবং অবশেষে পদ্মা ও মেঘনার সাথে যুক্ত হয়ে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে পতিত হয়। নদীটির অববাহিকা আনুমানিক ১২ হাজার ১৫৯ বর্গকিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত, যা ভারত ও বাংলাদেশের তিন কোটিরও বেশি মানুষের জীবন-জীবিকার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এর মধ্যে, দুই কোটিরও বেশি মানুষ বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমানার মধ্যে তিস্তার অববাহিকায় বসবাস করে। অন্যদিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ৪০ লাখ এবং সিকিমের প্রায় ৫০ লাখ মানুষও এই নদীর ওপর নির্ভরশীল। তিস্তা যে শুধু একটি নদী তা নয় বরং দুই দেশের মানুষের জীবন, কৃষি, এবং আবেগের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত একটি বিতর্কিত বিষয়।
তিস্তার পানি সংকট ও বাংলার কৃষকের অস্তিত্বের লড়াই
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের কৃষি বিশেষ করে শুষ্ক মৌসুমে প্রধানত তিস্তা নদীর পানির ওপর নির্ভরশীল। তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ নিয়মিত না থাকলে সেচের জন্য প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহ করা কঠিন হয়ে পড়ে, যা কৃষির ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে বোরো ধান চাষের জন্য পর্যাপ্ত পানি না পেলে এই সময়টাতে কৃষকরা চরম বিপাকে পড়েন।
অন্যদিকে, তিস্তা পানি বন্টন চুক্তি নিয়ে সুষ্ঠ সমাধানের অভাবে বাংলার কৃষকেরা প্রতিনিয়ত ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। প্রতি বছর শুষ্ক মৌসুমে ভারতের উজানে পানি প্রত্যাহার করার ফলে তিস্তায় পানির প্রবাহ কমে যায়, ফলে কৃষিকাজের জন্য প্রয়োজনীয় সেচের পানি পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এই সংকটের ফলে কৃষি উৎপাদন ও অর্থনৈতিক ক্ষতি উল্লেখযোগ্যহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে তিস্তা অববাহিকার পানি সংকটের কারণে বোরো ধান উৎপাদন প্রায় ৪৫% কমে গেছে।
তিস্তার পানি সংকটের কারণে প্রতি বছর আনুমানিক ১২২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতি হচ্ছে। এই ক্ষতির ফলে কৃষকদের জীবনযাত্রার মান ব্যহত হচ্ছে এবং অর্থনৈতিক স্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। বাংলাদেশে প্রায় ৪০% লোক খাদ্য উৎপাদনের জন্য কৃষির ওপর নির্ভরশীল, তাই খাদ্য উৎপাদন হ্রাস পাওয়ায় খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে খাদ্য মূল্যের উর্ধগতি নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয়সীমাকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এছাড়া অভ্যন্তরীণ খাদ্য উৎপাদন কমে গেলে আমদানি নির্ভরশীলতা বাড়ে, যা দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত এক সমীক্ষায় দেখা যায়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গজলডোবা ব্যারাজ নির্মাণের আগে বাংলাদেশে ডালিয়া সীমান্তে তিস্তার গড় বার্ষিক পানির প্রবাহ ছিল ৬ হাজার ৭১০ কিউসেক (ঘনফুট প্রতি সেকেন্ড)। কিন্তু ১৯৯৫ সালে গজলডোবা ব্যারাজ চালু হওয়ার পর এই প্রবাহ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়ে ২ হাজার কিউসেকে নেমে এসেছে। শুষ্ক মৌসুমে, তিস্তার পানির প্রবাহ আরও বেশি সংকুচিত হয়ে সর্বনিম্ন ১ হাজার ৫০০ কিউসেক থেকে ২০০-৩০০ কিউসেকে নেমে যায়। ফলে তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্পের মাধ্যমে যতটুকু পানি সরবরাহ সম্ভব হয়, তা মোট সেচের চাহিদা পূরণ করতে অক্ষম। এর ফলে, কৃষকরা বিকল্প উৎস যেমন ভূগর্ভস্থ পানির দিকে ঝুঁকতে বাধ্য হচ্ছে ফলস্বরূপ তিস্তা অববাহিকার ভূগর্ভস্থ পানির স্তর গত এক দশকে প্রায় ১০ মিটার নিচে নেমে গেছে। সেই সাথে দীর্ঘমেয়াদে কৃষকদের উপর আরো অর্থনৈতিক চাপ বৃদ্ধির আশঙ্কা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
প্রবাহহীন তিস্তা: পরিবেশগত বিপর্যয়ের আশঙ্কা
তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় এর আশেপাশের অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য প্রতিনিয়ত ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পানির অভাবে মাছের প্রজনন প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে, যার ফলে অনেক মাছের প্রজাতি বিলুপ্তির ঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়া নদীতে স্বাভাবিক প্রবাহ না থাকায় মাছের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাচ্ছে। এই সংকট শুধু জলজ প্রাণীকুলের জন্যই বিপজ্জনক নয়, বরং যারা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে, যেমন স্থানীয় মৎস্যজীবী, তারাও কঠিন অবস্থার মুখোমুখি হচ্ছেন। মাছের পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণে তাদের আয়ের সুযোগ সংকুচিত হচ্ছে, যা তাদের অর্থনৈতিক জীবনকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। একই সাথে সুপেয় পানির অভাবে নদী কেন্দ্রীক পরিবারগুলোর পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে, বিশেষ করে নারী, শিশু ও বয়স্করা। এই পরিস্থিতি শুধু পরিবেশগত বিপর্যয় কিংবা স্বাস্থ্যগত সমস্যার সৃষ্টি করছে না, বরং স্থানীয় জনগণের জীবনযাত্রার মানকেও প্রভাবিত করছে।
অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য চ্যালেঞ্জ
তিস্তার পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের অভাবে বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। নদীর পানির স্বাভাবিক প্রবাহ না থাকার কারণে কৃষি, জলসম্পদ এবং স্থানীয় জনগণের জীবনযাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। প্রথমত, কৃষি খাতে পানির সংকট বিশেষভাবে লক্ষণীয়, শুষ্ক মৌসুমে প্রয়োজনীয় পানি না পাওয়ার ফলে ফসলের উৎপাদন কমছে, যা কৃষকদের আয়ের উৎস সংকুচিত করছে এবং তাদের জীবনযাত্রার মান হ্রাস পাচ্ছে। দ্বিতীয়ত, মাছের সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণে মাছ ধরার পরিমাণ হ্রাস পাচ্ছে, যা খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি স্থানীয় মৎস্যজীবীদের জীবনযাত্রায়ও গভীর প্রভাব ফেলছে।
এছাড়া, তিস্তার পানির অভাবের কারণে দিন দিন বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে স্বাস্থ্যগত সমস্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুপেয় পানি পেতে সমস্যা হওয়ায় পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে, যা জনগণের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে। এই পরিস্থিতি কেবল কৃষি ও মৎস্য খাতকেই নয়, বরং স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্য এবং সামাজিক সংহতিতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
আন্তর্জাতিক পানি আইন ও তিস্তা নদীর বণ্টনের সমাধান
বর্তমান বিশ্বে আন্তর্জাতিক নদী ব্যবস্থাপনা ও পানি শেয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে একটি কার্যকরী চুক্তির প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে তিস্তা নদীর মতো আন্তঃসীমান্ত নদীগুলোর ক্ষেত্রে, যেখানে একাধিক দেশের স্বার্থ ও নীতির সঙ্গতি বজায় রাখা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে, ন্যায্য ও কার্যকর পানিবণ্টন নিশ্চিত করার জন্য আন্তর্জাতিক আইন ও সমাধানের প্রয়োগ অত্যন্ত জরুরি।
জাতিসংঘের পানি অববাহিকা কনভেনশন (১৯৯৭) আন্তর্জাতিক নদী ব্যবস্থাপনার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হিসেবে বর্তমানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই কনভেনশনের অধীনে, রাষ্ট্রগুলোকে একে অপরের স্বার্থের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে নদীর পানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সমন্বয় সাধন করতে হবে।
কনভেনশনের ৮.১ ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, "পানি অববাহিকার রাষ্ট্রগুলোকে সহযোগিতা করতে হবে সার্বভৌম সমতা, পারস্পরিক উপকারিতা, এবং সদিচ্ছার ভিত্তিতে।" এটি জলবায়ু পরিবর্তন, জলবণ্টন এবং ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে একটি সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে। উক্ত কনভেনশনের অনুসারে তিস্তার পানির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি গঠন অপরিহার্য যাতে করে উভয় দেশের কৃষি ও অর্থনীতি লাভবান হতে পারে। সেই সাথে এই সমস্যা মোকাবেলার জন্য একটি সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ অপরিহার্য, যা বন্যা ও খরা মোকাবেলায় কার্যকর হবে। এক্ষেত্রে নিম্নক্তো চুক্তিগুলো দৃষ্টান্ত হিসেবে কাজ করতে পারেঃ
১. মেকং নদী চুক্তি (১৯৯৫)
এই চুক্তি মেকং নদীর অববাহিকার পাঁচটি দেশের (থাইল্যান্ড, লাওস, কম্বোডিয়া, মিয়ানমার এবং ভিয়েতনাম) মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সদস্য দেশগুলোকে একসঙ্গে কাজ করে নদীর পানি ব্যবস্থাপনা করতে হবে এবং পানির ন্যায্য বণ্টন নিশ্চিত করতে হবে।
২. দহর নদী চুক্তি (২০০১)
নেপাল ও ভারতের মধ্যে দহর নদী নিয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এতে নদীর পানি বণ্টন এবং সেচের জন্য পানি সরবরাহের বিষয়ে সমঝোতা করা হয়েছে, যা দুই দেশের কৃষকদের জন্য উপকারে এসেছে।
তিস্তা নদীর পুনর্জীবনের পথে
তিস্তার হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজন একটি দীর্ঘমেয়াদী, টেকসই ও সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা। এর মাধ্যমে নদীর প্রবাহ পুনরুদ্ধার এবং পানি বণ্টনের ন্যায্য সমাধান নিশ্চিত করা সম্ভব, যা এই অঞ্চলের সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এক্ষেত্রে নিম্নক্তো পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা যেতে পারেঃ
১. বর্ষার পানি সংরক্ষণে কার্যকর উদ্যোগ
বাঁধের সুবিধা পেতে হলে বছরের সকল সময় নিয়মিত পানির সরবরাহ নিশ্চিত করা জরুরি। এর জন্য বর্ষাকালে পানি সংরক্ষণ করা অত্যাবশ্যক। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ বর্ষার অতিরিক্ত পানি ধরে রাখার জন্য একটি বৃহৎ জলাধার নির্মাণ করতে পারে, যা শুষ্ক মৌসুমে পানি সংকট মোকাবিলা এবং আকস্মিক বন্যা থেকে গ্রামবাসীদের সুরক্ষা প্রদান করবে। ২০১৬ সালে চীনা কোম্পানি "পাওয়ার চায়না"-র পক্ষ থেকে বাংলাদেশে প্রায় ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রকল্পের আওতায় তিস্তা নদীর পুনর্বাসন এবং জলাধার নির্মাণের প্রস্তাব দিলেও ভারত তার নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে এই প্রকল্পে সম্মতি দেয়নি, কারণ এটি ভারত সীমান্তের খুব কাছাকাছি অবস্থিত। ফলে বিভিন্ন কূটনৈতিক কারণের বাংলাদেশের পক্ষে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।
২. পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি
গত দশকজুড়ে বাংলাদেশ ও ভারত সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে যেখানে উভয় দেশ অর্থনীতি, রাজনীতি, সংস্কৃতি, শিক্ষা, গবেষণা এবং প্রশিক্ষণের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে একসাথে কাজ করছে। তবে জলবিষয়ক তথ্যের আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে দুই দেশই এখনও পিছিয়ে রয়েছে। ২০১০ সালে যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) ৩৭তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও, মন্ত্রিপর্যায়ের কোনো বৈঠক হয়নি, যা হতাশাজনক। সেজন্য, দুই দেশের মধ্যে পানিবণ্টন সমস্যা নিয়ে নিয়মিত আলোচনা চালিয়ে যাওয়া আবশ্যক। পানির সমস্যা মোকাবিলায় একটি সুদৃঢ় রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ও কৌশল তৈরি করা এবং আন্তঃসীমান্ত পানিবণ্টন বিষয়ে সমন্বিত গবেষণা পরিচালনা করা এখন সময়ের দাবি।
উপসংহার
তিস্তার পানি বণ্টনের বিষয়টি বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি মূল অংশ। উভয় দেশের জন্য একটি ন্যায্য ও কার্যকর চুক্তি দেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সহযোগিতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে। তিস্তার পানি নিয়ে একটি সম্মত চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষদের জীবনমান উন্নয়ন, সামাজিক স্থিতিশীলতা, এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। সুতরাং, তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য। তাই বাংলাদেশের জন্য জরুরি যে, সরকারের পাশাপাশি উভয় দেশের জনগণ ও সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সহায়তায় একটি ন্যায্য ও কার্যকর চুক্তি বাস্তবায়নের নিমিত্তে কাজ করে যাওয়া, যা দীর্ঘমেয়াদে উভয় দেশের উন্নয়ন ও মানুষের কল্যাণে সহায়ক হবে।
লিখেছেন-
শমরিতা বড়ুয়া
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়


No comments