জাতিসত্তা বা নৃগোষ্ঠী গঠনের ছয় উপাদান
জাতিসত্তা বা নৃগোষ্ঠী (Ethnicity):
![]() |
| Ethnic Groups |
জাতিসত্তা বা নৃগোষ্ঠী (Ethnicity) হল একটি বহুমূখী ধারণা, যা সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিক বৈশিষ্ট্যগুলির উপর ভিত্তি করে মানুষকে পৃথক পৃথক গোষ্ঠীতে বিভক্ত করে থাকে। এটি প্রাচীন গ্রীক শব্দ Ethnos থেকে এসেছে যার অর্থ মানুষ বা জাতি। এটি সময়ের সাথে সাথে বিকশিত হয়েছে, বিশেষ করে বিংশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে জাতিসত্তা ধারণাটি প্রাধান্য পেয়েছে।
জাতিসত্তা হল ইতিহাস এবং সংস্কৃতির উপর ভিত্তি করে গঠিত সমষ্টিগত ধারণা, যা অভ্যন্তরীণ জনসংহতি তৈরি এবং একটি জনগোষ্ঠীকে অন্যদের থেকে আলাদা করে থাকে। এটি একটি সামাজিক -সাংস্কৃতিক গঠন, যা ভাষা, পোশাক, ধর্ম, সামাজিক মিথস্ক্রিয়া, খাদ্যাভাস ইত্যাদি বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করে থাকে।
নৃগোষ্ঠী বা জাতিসত্তার একক কোনো সংজ্ঞা নেই। Anthony D. Smith প্রাক-আধুনিক জাতিগত সম্প্রদায়গুলিকে বর্ণনা করার জন্য Ethnie শব্দটি ব্যবহার করেন। তিনি তার আলোচনায় একটি জাতিগোষ্ঠীর মাঝে ৬ টি বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করেছেন। এই বৈশিষ্ট্যগুলোর আলোকে পৃথিবীর অসংখ্য জাতিগোষ্ঠীকে একে অন্যের থেকে আলাদা করা যায়।
জাতিগত গোষ্ঠীর বৈশিষ্ট্যসমূহঃ
১। সমষ্টিগত নাম (Collective Name)
একটি জাতিগোষ্ঠীকে সনাক্ত করা বা অন্যের থেকে আলাদা করার ক্ষেত্রে সে গোষ্ঠীর নাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অর্থাৎ, জাতিগত গোষ্ঠীগুলির প্রত্যেকের আলাদা/ স্বতন্ত্র নাম রয়েছে যা তাদের পরিচিতি তৈরি করে এবং অন্যান্য গোষ্ঠী থেকে আলাদা করে। নামকরণের ক্ষেত্রে জনসংখ্যার সংস্কৃতি এবং সামাজিক কাঠামোর বর্ণনার চেয়ে ঐতিহাসিক বিষয় বেশি ভূমিকা রাখে। যেমন- শতাব্দী, সহস্রাব্দ বছর আগে ইহুদিরা বিচ্ছিন্ন ছিল কিন্তু তারা ইসরাইলের ভূমিকে আধ্যাত্মিক কেন্দ্র হিসেবে দেখেছিল। ইসরায়েলে ফিরে আসার যে চেতনা তারা শত বছর ধরে জিইয়ে রেখেছিলো তা তাদের নামকরণকে স্বার্থক করেছে। অর্থাৎ, তারা ইহুদি এবং ঐতিহাসিকভাবে তারা জেরুজালেমের অধিবাসী এই বয়ান থেকেই তাদের মাঝে ইহুদি জাতিগোষ্ঠী ধারণাটি বিকশিত হয়েছে।
আবার, যুগোস্লাভিয়াতে জাতীয়তা এবং ধর্মীয় বিষয় ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিল। বসনিয়ার মুসলমানরা ইসলামের বিশ্বাস এবং অনুশীলনগুলিকে মেনে না চলা সত্ত্বেও 'মুসলিম' নামটিকে একটি জাতিগত পদবি হিসেবে গ্রহণ করেছিল। সাধারণভাবে, সমষ্টিগত নামগুলি জাতিগত সম্প্রদায়গুলির আলাদা পরিচয় বহন করে, অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখে এবং তাদের বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা প্রদান করে।
সমষ্টিগত নামের উদাহরণ হিসেবে আমরা বাঙালিদের কথা বলতে পারি। বাঙালিরা বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের জুড়ে থাকা একটি বৃহৎ জাতিগোষ্ঠী। বাঙালি শব্দটি এমন লোকদের বোঝায় যারা বাংলা ভাষায় কথা বলে এবং অভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে। এছাড়া হান জাতিগোষ্ঠী চীন ও বিশ্বের বৃহত্তম জাতিগোষ্ঠী, যারা সংখ্যায় প্রায় ১.৩ বিলিয়নের বেশি। হান নামের উৎপত্তি হান রাজবংশ থেকে। পশ্চিম আফ্রিকার নাইজেরিয়ায় বসবাসকারী ইউরুবা এবং নিউজিল্যান্ডে বসবাসকারী মাউরি জাতিগোষ্ঠীর নামও উল্লেখযোগ্য।
২। অভিন্ন পৌরাণিক/ কল্পকথা (A Common Myth)
কেন আমরা সবাই একই রকম? আমরা কেন এক সম্প্রদায়? এই প্রশ্নগুলোর উত্তরে বলা হয়, যেহেতু আমরা একই স্থান থেকে নির্দিষ্ট সময়ে এসেছি এবং একই পূর্বপুরুষের বংশধর তাই আমরা ঐক্যবদ্ধ ও একই অনুভূতিসম্পন্ন। এক্ষেত্রে অভিন্ন পৌরাণিক কাহিনী ও উপকথা তাদেরকে একই সম্প্রদায়ভুক্ত করে তোলে। এটি তাদেরকে একত্রিত করে এবং একত্রে বসবাস করার এবং সংস্কৃতির ধারণাগুলিকেও একত্রিত করে। যেমন: ইহুদিরা বাইবেলের পিতৃপুরুষ আব্রাহাম, আইজ্যাক এবং জ্যাকবের কাছে তাদের বংশের সন্ধান করে। অভিন্ন পূর্বপুরুষ ইহুদি পরিচয়ের একটি মৌলিক দিক যা ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য দ্বারা সমর্থিত।
আবার মধ্যপ্রাচ্যের বৃহৎ নৃগোষ্ঠী কুর্দিরা বিশ্বাস করে তাদের পূর্ব পুরুষ হযরত ইব্রাহিম আঃ এর স্ত্রী হাজেরা থেকে এসেছে, এবং তারা প্রাচীন কাল থেকেই মধ্যপ্রাচ্যের পাহাড়ি জনপদের আদিবাসী। আবার, জাপানি পৌরাণিক কাহিনীতে বিশ্বাস করা হয়েছে যে তারা সূর্যদেবী আমেতারসুর বংশধর। এই পৌরাণিক কাহিনী জাপানি সাম্রাজ্যিক ঐতিহ্যের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ। আবার, বাঙালিরা মনে করে তাদের আগমন ঘটেছে অস্ট্রোলয়েড, মঙ্গোলীয় ও দ্রাবির জাতের সংমিশ্রণে। তাই তারা এক ও অভিন্ন।
৩। অভিন্ন ইতিহাস (A Common History)
জাতিগত গোষ্ঠীগুলি তাদের ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতাগুলির একটি সম্মিলিত স্মৃতির অধিকারী যার মধ্যে রয়েছে – অভিবাসন, যুদ্ধ এবং উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলি। এটি প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চলে। এটি আগত প্রজন্মকে একত্রিত করে,অভিন্ন ভাবতে শেখায়। পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতার ঐতিহাসিক বিবরণ লিখিত বা মৌখিকরূপে তারা প্রকাশ করে। ইতিহাস হচ্ছে একটা গল্প যার বর্ণনা মানুষের মাঝে প্রশান্তি বা শোক বয়ে আনে।
যেমনঃ ১৮৪৫-১৮৫২ সালের দুর্ভিক্ষ আইরিশ ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, যা ব্যাপক অনাহার, দেশত্যাগ এবং ক্ষতির গভীর অনুভূতির দিকে পরিচালিত করে। আইরিশরা সাহিত্য ও সঙ্গীত চর্চার মাধ্যমে এইসব স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ যার ফলে বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিল, এটি বাংলাদেশের এবং বাঙালিদের জাতীয় ও জাতিগোষ্ঠীর পরিচয়ের ভিত্তি। পশ্চিম পাকিস্তানি শাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম, সংঘটিত গণহত্যা এবং চূড়ান্ত বিজয় সম্মিলিত স্মৃতিতে গভীরভাবে গেঁথে আছে। আবার, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন বাঙালিদের মাঝে স্বতন্ত্র চেতনা তৈরি করেছিলো বা এখনো করে যে তারা পশ্চিম পাকিস্তানিদের থেকে আলাদা।
১৯১৫ সালের আর্মেনিয়ান গণহত্যা, যেখানে ধারণা করা হয় অটোমান সাম্রাজ্যের দ্বারা আনুমানিক ১.৫ মিলিয়ন আর্মেনিয়ান নিহত হয়েছিল। এই গণহত্যার স্মৃতি আর্মেনিয়ান পরিচয়কে রূপ দেয় এবং প্রতি বছর ২৪ শে এপ্রিল এ দিবসটি তারা স্মরণ করে। দাসত্বের ইতিহাস, নাগরিক অধিকারের জন্য সংগ্রাম এবং জাতিগত বৈষম্যের বিরুদ্ধে চলমান লড়াই আফ্রিকান আমেরিকান পরিচয়ের কেন্দ্রবিন্দু। মুক্তির ঘোষণা, নাগরিক অধিকার আন্দোলন এবং মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের মতো ব্যক্তিত্বকে গভীরভাবে স্মরণ করা হয় এবং সম্মান করা হয়।
৪। অভিন্ন/ স্বতন্ত্র সংস্কৃতি (Common Culture)
সংস্কৃতি দ্বারা একটি জাতিগোষ্ঠী অন্যদের থেকে আলাদা হয়ে থাকে। ভাষা ও ধর্মের পাশাপাশি প্রথা, প্রতিষ্ঠান, আইন, লোককাহিনী, স্থাপত্য, পোশাক, খাদ্য, সঙ্গীত, শিল্পকলা, বর্ণ ও শারীরিক বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি পার্থক্য বাড়াতে পারে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে ঐক্য ভাষা বা ধর্মের ভিত্তি করে নয়, বরং বর্ণ, দুর্ভোগ, দাসত্বের দুঃস্মৃতি এবং কুসংস্কার এর কারণে। কৃষ্ণাঙ্গরা তাদের আফ্রিকান জাতিগত ঐতিহ্যের অনেকটাই হারিয়েছে এবং সাংস্কৃতিকভাবে প্রায় আমেরিকান হয়ে গেছে, কিন্তু তাদের মাঝে শ্বেতাঙ্গ জাতিগত সংস্কৃতি বাদ দিয়ে তাদের নিজস্ব সংস্কৃতির জন্য আকাঙ্খা রয়েছে।
বাঙালিদের ক্ষেত্রে বাংলা হল বাংলাদেশে সরকারি এবং সর্বাধিক কথ্য ভাষা। এটি বাঙালিদের সাংস্কৃতিক পরিচয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক যা সাহিত্য, কবিতা এবং শিল্পকলার মাধ্যমে উদযাপিত হয়। তাছাড়া বাঙালি সংস্কৃতির মধ্যে বিভিন্ন ধরনের উৎসব রয়েছে। যেমন- পহেলা বৈশাখ, দুর্গাপূজা এবং ইদ। বাউল গান এবং লোকনৃত্যের মতো ঐতিহ্যবাহী সংগীত ও নৃত্যশৈলী বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ।
ভারতীয় সংস্কৃতির ক্ষেত্রে সংস্কৃতিকে ভারতীয় বৈচিত্র্য দ্বারা চিহ্নিত করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে অসংখ্য ভাষা, ধর্ম এবং ঐতিহ্য। দীপাবলি এবং হোলি উদযাপনের মতো হিন্দু রীতিগুলো অনেক ভারতীয়দের মাঝেও বিরাজমান, পাশাপাশি শাস্ত্রীয় সংগীত এবং ভরতনাট্যমের মতো নৃত্যের জন্য গভীর উপলব্ধি রয়েছে।
৫। একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের সাথে সংযুক্তি (A Common Territory):
জাতিগোষ্ঠীর একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক এলাকার সাথে শক্তিশালী সংযোগ বা টান থাকে। এটিকে তারা পবিত্র ভূমি, পিতৃভূমি বা মাতৃভূমি হিসেবে ধারণ করে অর্থাৎ ভৌগোলিক কেন্দ্রবিন্দু হিসাবে বিবেচনা করে। যদি কোন ব্যক্তি নিজ অঞ্চলের বাহিরে অবস্থান করে অথবা নানা কারণে তাদের জন্মভূমি হারিয়ে ফেলে বা ফিরতে পারেনা, তখন কিন্তু তাদের জাতিগোষ্ঠী পরিচয় শেষ হয়ে যায় না। জাতিসত্তা পৌরাণিক কাহিনী, স্মৃতি, মূল্যবোধ এবং প্রতীকের বিষয়, বস্তুগত সম্পদ বা রাজনৈতিক ক্ষমতার বিষয় নয়। এগুলো উপলব্দি বা ধারণ করতে একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের প্রতি সে ব্যক্তির টান অনুভূত হয় এবং সে বিচারে তার জাতিসত্তা গড়ে ওঠে।
তবে, জাতিগত গোষ্ঠীর পক্ষে একটি স্বদেশ অন্যদের সাথে বিনিময় করাও সম্ভব। যেমন- তুর্কী সম্প্রদায়গুলি, যারা দশম এবং ত্রয়োদশ শতাব্দীতে মধ্য এশিয়া থেকে আনাতোলিয়ায় স্থানান্তরিত হয়েছিল। আরবরা তাদের উপদ্বীপ ছেড়ে দূরবর্তী দেশগুলিতে বসতি স্থাপন করেছিল।
উদাহরণ হিসেবে কুর্দিস্তানের কথাও বলা যায়। তুরস্ক, ইরান, ইরাক এবং সিরিয়ার কিছু অংশ বিস্তৃত একটি অঞ্চল “কুর্দিস্তানের” সাথে কুর্দিদের একটি শক্তিশালী সংযুক্তি রয়েছে। একটি স্বাধীন রাষ্ট্র না থাকা সত্ত্বেও কুর্দিরা এই ভৌগোলিক এলাকার সাথে আবদ্ধ একটি স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক পরিচয় বজায় রাখে।
ইহুদিদের ক্ষেত্রে, ইসরায়েলের ভূমিতে ইহুদিদের সম্পর্ক বাইবেলের ইতিহাস এবং ধর্মীয় তাৎপর্যের মধ্যে নিহিত। এই সংযুক্তিটির সাথে ইহুদি পরিচয়ের একটি কেন্দ্রীয় দিক রয়েছে যা ১৯৪৮ সালে আধুনিক ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে চূড়ান্ত হয়েছিল।
৬। সংহতির অনুভূতি (Common Solidarity):
একটি জাতিগোষ্ঠীর মাঝে জাতীয় পরিচয় এবং সংহতির অনুভূতি থাকতে হবে। একটি নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর সদস্যরা সাধারণত একটি শক্তিশালী বোধ এবং পারস্পরিক সমর্থন অনুভব করে যা সামাজিক সংহতি এবং গোষ্ঠী পরিচয় বৃদ্ধি করে।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পরে আবির্ভূত একটি শক্তিশালী জাতীয় পরিচয় দ্বারা বাঙালিদের মধ্যে সংহতির বোধ জোরদার হয়। এই ঐক্য জাতীয় ঘটনা ও সংকটের পাশাপাশি সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা মোকাবেলার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স্পষ্ট হয়।
ভারতের পাঞ্জাবের শিখদের তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস এবং অনুশীলনের দ্বারা শক্তিশালী সম্প্রদায় এবং পারস্পরিক সমর্থনের প্রতি শক্তিশালী অনুভূতি রয়েছে। অমৃতসরের গোল্ডেন টেম্পল বিশ্বব্যাপী শিখদের আধ্যাত্নিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।
Anthony D. Smith উপরিউক্ত ৬টি উপাদানের সমন্বয়ে একটি কার্যকরী সংজ্ঞা প্রদান করেছেন। অর্থাৎ ৬টি উপাদানের কোনো একটির অনুপস্থিতিতে সেটিকে জাতিগত সম্প্রদায় বলা যাবে না। তার কার্যকরী সংজ্ঞায় অর্থনৈতিক ঐক্য এবং রাজনৈতিক লক্ষ্য বা অধিকারের কথা বলা হয়নি। অর্থাৎ আমরা বলতে পারি, জাতিসত্তায় অর্থনৈতিক ব্যবস্থা এবং রাজনৈতিক লক্ষ্য থাকেনা।
লামিয়া আফরিন
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়


No comments