Header Ads

Header ADS

ইতিহাসের আলোকে আন্তর্জাতিক সম্পর্কঃ রিয়েলিজম ও দ্বিতীয় বিতর্কের প্রেক্ষাপট

রিয়েলিজম ও দ্বিতীয় বিতর্কের প্রেক্ষাপটঃ 


যে উদারবাদী দর্শনের (Liberalism/ Liberal Internationalism) আদলে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক পাঠের সিলেবাস সজ্জিত হয়েছিলো, ১৯৩০-এর শেষ নাগাদ, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক অধ্যায়ণে রিয়েলিজম (Realism) ও অন্যান্য র‍্যাডিকাল দর্শন আগমনে উদারবাদী দর্শনের সেই দবদবা হ্রাস পেতে শুরু করে। 

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক অনুধাবনে যে নতুন তত্ত্বগুলোর আগমন ঘটে তাদের কেন্দ্রে শান্তি, নিরাপত্তা ও সহবস্থানের বদলে যুদ্ধ, সংঘাত ও শক্তি প্রতিযোগিতা স্থান পায়। এছাড়াও, এই তত্ত্বগুলোয়, যুদ্ধ, সংঘাত ও শক্তি প্রতিযোগিতার বাহিরে নতুন ধারণা হিসেবে “ভুরাজনীতি (Geopolitics)” যুক্ত হয়। 

ভূরাজনীতি সংযোজনের প্রেক্ষাপটও ছিলো উল্লেখযোগ্য। যেখানে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ছিলো অনেকটাই ইউরোপ কেন্দ্রিক, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরিধি ছিলো পৃথিবীব্যাপী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ দ্রুতগতিতে অগ্রসর হচ্ছিলো, যখন একটি অঞ্চলে যুদ্ধ থেমে যেতো, অন্য একটি অঞ্চলে যুদ্ধের সূচনা হত। যেমনঃ একদিকে, এডলফ হিটলার ও জোসেফ স্ট্যালিন ইউরোপ কেন্দ্রিক যুদ্ধ চালিয়ে গেছেন, অন্যদিকে, উইন্সটন চার্চিল ও ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট মধ্যপ্রাচ্য ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুদ্ধ পরিচালনা করেছেন ।  

তৎকালীন সর্ববৃহৎ শক্তি যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধে অংশগ্রহণ ছিলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বৃহৎ টার্নিং পয়েন্ট। যুক্তরাষ্ট্র প্রধানত দুইটি কারণে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে। যথাঃ (১) জার্মান ও জাপানকে নিশর্তভাবে আত্ম-সমার্পনে বাধ্য করতে; এবং (২) ফ্যাসিস্ট বিরোধী দেশের সমন্বয়ে নতুন একটু আন্তর্জাতিক সংস্থা (জাতিসংঘ- The United Nations) প্রতিষ্ঠা করতে। যুক্তরাষ্ট্রের ভাষায়, এরূপ সংস্থা যুদ্ধ পরবর্তী আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাকে স্থিতিশীল রাখবে। রুজভেল্ট এই লক্ষ পূরণে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েছেন। 

উইলসনকে অনুসরণ করে রুজভেল্ট সমন্বিত নিরাপত্তা নীতিকে (Collective Security) প্রাধান্য দিয়ে সকল রাষ্ট্রের সমন্বয়ে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা করেন। তবে, রুজভেল্টের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিলো আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক সিস্টেমকে স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি বৈশ্বিক বাণিজ্যকেও সচল ও নিরাপদ রাখা। সে প্রয়োজনে রুজভেল্ট জাতিসংঘের আদলে একটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থা প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। 

সে লক্ষ্যে তিনি জাতিসংঘের সনদে স্বাক্ষরিত দেশের প্রতিনিধিদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়েরের (New Hampshire) ছোট্ট শহর ব্রেটন উডসে (Bretton Woods) ১৯৪৪ সালে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (International Monetary Fund- IMF), বিশ্বব্যাংক (World Bank/ International Bank for Reconstruction and Development- IBRD), এবং মুক্ত বাণিজ্য প্রসারে গ্যাট (General Agreement on Trade and Tariff- GATT) প্রতিষ্ঠা করেন। 

ব্রেটন উডস ব্যবস্থার মূল লক্ষ্য ছিলো ছিলো যুদ্ধ পরবর্তী বিশ্বে অবাধ ও মুক্ত বাণিজ্য প্রসারকে নিরাপদ রাখা। উল্লেখ্য, উইলসনের ন্যায় রুজভেল্টও শান্তি ও নিরাপত্তার আদলে একটি উদারবাদী বিশ্বব্যবস্থা প্রচারের পক্ষে ছিলেন। তবে, যুদ্ধ পরবর্তী স্নায়ুযুদ্ধের সূচনা রুজভেল্টের উদারবাদী দর্শন পুনরায় শক্তির প্রতিযোগিতার আড়ালে চলে যায়। 
 
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ও পরে আমেরিকান নেতৃবৃন্দের উদারবাদী বিশ্বের স্বপ্নকে তৎকালীন অনেক আমেরিকান লেখকেরা তাদের লেখনিতে ফুটিয়ে তোলেন। তারা লেখনির মাধ্যমে নেতৃবৃন্দের উদারবাদী মনোভাবকে প্রতিষ্ঠিত করার প্রচেষ্টা করেছিলেন। কুইয়েন্সি রাইট (Quincy Wright) তাদের মধ্যে অন্যতম। অত্র বিষয়ে ১৯৪১ সালে তিনি The Study of War নামে প্রায় এক হাজার পৃষ্ঠার দীর্ঘ বিশ্বকোষ (Encyclopedia) রচনা করেন। 

ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বার্নহাড ব্রুডি (Bernhard Brodie) সমসাময়িক উদারবাদী আমেরিকান লেখকদের মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী ছিলেন। যুদ্ধের পরপরই ব্রুডি তার বিখ্যাত The Absolute Weapon গ্রন্থটি রচনা করেন। এই গ্রন্থে তিনি হিরোশিমা ও নাগাসাকি শহরকে যেভাবে পারমাণবিক (Atomic) বোমা দিয়ে ধ্বংস করা হয় তার বিবরণ দেন, এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কে পাঠে পারমাণবিক অস্ত্রের ভূমিকাও মূল্যায়ন করেন। 

ব্রুডির বক্তব্য ছিলো পরিষ্কারঃ কূটনীতি, যুদ্ধ কৌশল বা শান্তি, রাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক পরিচালনে উক্ত প্রতিটি বিষয়কে নতুনভাবে ভাবতে বাধ্য করবে পারমাণবিক অস্ত্র। শক্তিশালী মরণাস্ত্রকে নিয়ে ইম্যানুয়েল ক্যান্ট (Immanuel Kant) যেভাবে প্রশ্ন করেছিলেন, ব্রুটিও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ঠিক একই ধরণের প্রশ্ন করেনঃ পারমাণবিক অস্ত্র কী পৃথিবীকে ধ্বংস করে দিবে? নাকি, পৃথিবীতে নতুন এক সংস্কারের সূচনা ঘটাবে, যেখানে যুদ্ধের তুলনায় শান্তি ও নিরাপত্তা বেশি স্থায়ী হবে?
 
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে যে উদারবাদী দর্শনের ছড়াছড়ি ছিলো এবং যার আদলে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক পাঠচক্রের সূচনা হয়েছিলো, এক দশক যেতে না যেতেই শক্তি প্রতিযোগিতা, অবৈধভাবে ভূখন্ড দখল প্রভৃতির সামনে সে উদারবাদী দর্শন টিকতে পারলো না, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক পাঠে রিয়েলিজম দর্শনই বিজয়ী হল। 

একইভাবে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাতিসংঘকে ঘিরে পুনরায় যে উদারবাদী চেতনার সূচনা হয়েছিলো, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সে আদর্শ বাস্তবাদী জাতীয় স্বার্থের আড়ালে ঢাকা পড়ে গেলো। এই বাস্তববাদের আবির্ভাব ঘটলো যখন সোভিয়েত ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র নিজ নিজ রাজনৈতিক স্বার্থ বিবেচনায় একে অন্যের মুখোমুখি অবস্থান নিলো।একদা যুদ্ধের মিত্র, যুদ্ধের পরে চীর শত্রুতে পরিণত হলো, এবং এই শত্রুতা বিশ্বে পুনরায় শক্তি প্রতিযোগিতাকে উস্কে দিলো। 

যুদ্ধের পরের বছরেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিদ্ধ কূটনীতিক জর্জ কেনান (George Kennan) যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনকে পরামর্শ দিলেন যে যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েতের মধ্যকার সম্পর্ককে প্রায়োগিক রাজনীতির (Realpolitik) বিচারে পরিচালনা করা সমীচীন হবে। 

কেনানের পরামর্শে তৎকালীন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট হেনরি ট্রুম্যান (Henry Truman) ট্রুম্যান ডক্ট্রিন (Truman Doctrine) নামে নতুন এক মতবাদ যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে উপস্থাপন করলেন, এবং পাশও করালেন যার মূলকথা ছিলো সোভিয়েতকে চারিদিক দিয়ে ঘিরে ফেলা বা সোভিয়েতকে কোণঠাসা করে ফেলা। এই মতবাদের মূলনীতিকে একাডেমিক দুনিয়ায় কনটেইনমেন্ট নীতি (Containment Policy) বলে উল্লেখ করা হয়।  

১৯৪৭ সাল, রিয়েলিজম দর্শনের জন্য এক সুসময়। ইউরোপ থেকে অভিবাসন করে আসা হ্যান্স জি মরগেন্থু (Hans J. Morgenthau) ১৯৪৭ সালে তার বিখ্যাত The Politics among Nations গ্রন্থটি রচনা করেন, যা রিয়েলিজম তত্ত্বের প্রধান গ্রন্থ এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক অধ্যায়নের অন্যতম প্রধান পাঠ্যবই হিসেবে স্বীকৃতি পেলো। উক্ত গ্রন্থ আমেরিকা ও অন্যান্য অঞ্চলে বিরাট প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করলো। 

মরগ্যান্থুর মত, ব্রিটিশ স্কলার জর্জ সোয়ার্জনেগার (Georg Schwartzenberger) এবং ফরাসি স্কলার রেয়মন্ড এরোন (Raymond Aron) রিয়েলিজম তত্ত্ব বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাদের লেখনিতে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বাস্তববাদী রূপ ফুটে ওঠে। অর্থাৎ, তারা বলেন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক পরিচালনায় শক্তির খেলায় রাষ্ট্রকে অবশয়ই অংশগ্রহণ করতে হবে।
 
তবে, এই শক্তির খেলায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রকে অবশ্যয়ই প্রদত্ত সমীকরণকে অনুসরণ করতে হবেঃ এই খেলায় প্রতিটি রাষ্ট্রই সার্বভৌম; তারা শক্তি বৃদ্ধির মাধ্যমে নিজ নিজ জাতীয় স্বার্থ অর্জন করতে পারে; তারা শক্তি বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের নিরাপত্তা ও বৃহৎ শক্তির বিপরীতে নিজের টিকে থাকাকে নিশ্চিত করতে পারে, ইত্যাদি।
   
যদিও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে রিয়েলিজম দর্শন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক অধ্যায়নকে ব্যপকভাবে প্রভাবিত করেছিলো, তবে, তৎকালে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক দুনিয়ায় রিয়েলিজমের পাশাপাশি আরও কিছু দর্শনের আগমন ঘটতেছিলো যেমনঃ মার্কসবাদ ও গঠনবাদ (Marxism and Constructivism)। 

সোভিয়েত ও যুক্তরাষ্ট্রের মাঝে চলমান শক্তির দ্বন্দ্বের কারণ অনুসন্ধানে যেখানে রিয়েলিজমকে সবচেয়ে কার্যকর ও জনপ্রিয় তত্ত্ব হিসেবে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের পাঠকেরা বিবেচনা করতেন, কিন্তু স্নায়ুযুদ্ধের দ্বিমেরু বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক সিস্টেমে কিছু রাষ্ট্র অত্র শক্তি প্রতিযোগিতায় অংশ না নিয়েও, শক্তির সমীকরণকে অনুসরণ না করেও দিব্যি টিকে ছিলো। 

পাশাপাশি তারা রিয়েলিজম দর্শনের বাহিরে নতুন আদর্শ হিসেবে নিরপেক্ষ নীতিকে (যেমনঃ স্বাধীন বৈদেশিক নীতি, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, পারস্পারিক সৌহার্দ ও সহযোগিতা বৃদ্ধি ইত্যাদি) তাদের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নীতি হিসেবে অনুসরণ করতে শুরু করলো যা স্নায়ুযুদ্ধকালে খুব জনপ্রিয় একটি আদর্শ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। 

এই নিরপেক্ষ নীতিকে একাডেমিক দুনিয়ায় নন-এলাইন্ড মুভমেন্ট বা ন্যাম (Non-Alignment Movement- NAM) নামে ডাকা হত। উল্লেখযোগ্য বিষয়টি হলঃ রিয়েলিজম দর্শনের দ্বারা অত্র দেশগুলো কেন শক্তির সমীকরণ অনুসরণ না করে নিরপেক্ষ নীতি অনুসরণ করেছিলো, রিয়েলিজম তত্ত্ব সে বিষয়ের ব্যাক্ষা দিতে পারেনি। 

শক্তির ভিত্তিতে এবং স্বার্থের নিমিত্তে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক পরিচালন করতে হবেঃ এহেন দর্শনের ভিত্তিতে রিয়েলিজম তত্ত্বের বয়ান তৈরি হলেও, তৎকালে অনেক অঞ্চলের আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে এই বয়ানের আলোকে ব্যাক্ষা করা যায়নি। 

যেমনঃ উত্তর আমেরিকার সাথে লাতিন আমেরিকার সম্পর্কের ভিত্তি কিন্তু শক্তির ভিত্তিতে ছিলো না, আবার পশ্চিম ইউরোপের সাথে আমেরিকার সম্পর্ক ছিলো অংশীদারিত্বেরঃ অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক ও সাংস্কৃতিক। বিশেষ করে ট্রান্স-আটল্যান্টিক সম্পর্ক উদারবাদী (গণতন্ত্র, মুক্ত অর্থনীতি, মানবাধিকার প্রভৃতি) বয়ানের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল। 

স্নায়ুযুদ্ধ যত সামনে আগাতে থাকে, রিয়েলিজম দর্শনও দুর্বল হয়ে পড়ে। কারণ, স্নায়ুযুদ্ধের একটি বড় অংশ জুড়ে ছিলো সমাজতন্ত্র বনাম পুঁজিবাদের লড়াই। রিয়েলিজম যদিও সোভিয়েতের বিস্তার নীতি (Expansion Policy) বিষয়কে পশ্চিমাদের সামনে প্রকাশ করেছিলো।

তবে, যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রভাবশালী রিয়েলিস্ট লেখকেরা শক্তি ভারসাম্যের বদলে সোভিয়েতের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের আদর্শগত (পুঁজিবাদ বনাম সমাজতন্ত্র) দ্বন্দ্বকে কোনভাবে গ্রহণ করেনি, বিশেষ করে সোভিয়েতের আদর্শকে রোধ করতে কনটেইনমেন্ট ও ডোমিনো তত্ত্বের বিষয়ে রিয়েলিস্টরা যুক্তরাষ্ট্রকে সাবধান করেছিলেন।

অর্থাৎ, যদি শক্তির বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্র সোভিয়েতের সাথে তার সম্পর্ক বা বৈরতা তৈরি করতো তাহলে সে ভিয়েতনামে যুদ্ধে জড়াতো না। কারণ স্নায়ুযুদ্ধকালে জাতীয় স্বার্থ বিবেচনায় ভিয়েতনাম যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তেমন গুরুত্বপূর্ণ ছিলো না। কিন্তু, স্নায়ুযুদ্ধকালে যেহেতু লড়াই ছিলো কমিউনিজমের বিরুদ্ধে, তার জন্যই এত দীর্ঘদিন ভিয়েতনামে যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ পরিচালনা করে, এবং ভিয়েতনাম যুদ্ধ বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের হেজমন হওয়ার সম্ভাবনাকে কমিয়ে দেয়, যা ১৯৭০ পরবর্তী আমেরিকান আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নীতিতে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। 



  

ভাবানুবাদঃ

বদিরুজ্জামান 

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় 



মূল বইঃ

International Encyclopedia of Political Science

মূল লেখকঃ

Torbjorn L. Knutsen

Norwegian University of Science and Technology (NTNU)

Trondheim, Norway






প্রথম পর্ব: আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ইতিহাস

https://irstudycornerbangla.blogspot.com/2025/01/history%20of%20international%20relations%20in%20bangla%20part%20I.html?m=1


দ্বিতীয় পর্বঃ আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ইতিহাস (যুদ্ধ ও শান্তি)

https://irstudycornerbangla.blogspot.com/2025/01/international%20relations%20history%20in%20bangla.html


তৃতীয় পর্বঃ আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ প্রতিষ্ঠা

https://irstudycornerbangla.blogspot.com/2025/01/Origin%20of%20IR%20Department%20in%20Bangla.html


৪র্থ পর্বঃ ইতিহাসের আলোকে আন্তর্জাতিক সম্পর্কঃ আদর্শবাদ ও প্রথম ডিবেট

https://irstudycornerbangla.blogspot.com/2025/01/first%20debate%20in%20IR%20in%20Bangla.html?m=1


৫ম পর্বঃ ইতিহাসের আলোকে আন্তর্জাতিক সম্পর্কঃ রিয়েলিজম ও দ্বিতীয় বিতর্কের প্রেক্ষাপট 
https://irstudycornerbangla.blogspot.com/2025/01/Cold%20War%20and%202nd%20debate%20in%20IR%20in%20Bangla.html





No comments

Theme images by rajareddychadive. Powered by Blogger.