Header Ads

Header ADS

ইতিহাসের আলোকে আন্তর্জাতিক সম্পর্কঃ স্নায়ুযুদ্ধের ইতি ও চিন্তার দুনিয়ায় পরিবর্তন

স্নায়ুযুদ্ধের ইতি ও চিন্তার দুনিয়ায় পরিবর্তন 


সিস্টেম তত্ত্বগুলো নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনার সূত্রপাত হয়। রিয়েলিস্টরা বলে, নৈরাজ্য (Anarchy) আন্তর্জাতিক সিস্টেমের এক অবশ্যম্ভাবী বৈশিষ্ট্য ও সে নৈরাজ্য (Anarchy) থেকে মুক্তিতে বৃহৎ শক্তির আদলে যে সিস্টেম গড়ে ওঠে তা কখনো পরিবর্তন হয় না। আবার যারা যুক্তিবাদী দর্শনের (Rationalist) অনুসারী, অর্থাৎ নব্য-উদারবাদীরা (Noeliberalist) বলেন যে রিয়েলিস্টদের প্রচারিত বয়ান আদতে একটি বিমূর্ত (Abstract) ধারণা এবং এই বয়ানের দ্বারা মানুষের অস্তিত্বকে মানুষের যৌক্তিক সিদ্বান্ত গ্রহণের (Rationality) সক্ষমতাকে অস্বীকার করা হয়। Neoliberalism দর্শনের অনুসারীদের ভাষায়, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ব্যক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, কারণ রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণ রাষ্ট্র নিজে করতে পারেনা, বরং ব্যক্তি  করে, এবং ব্যক্তির সেই সিদ্বান্ত আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পরিক্রমার প্রতিটি ঘটনাকে প্রভাবিত করে। 

নব্য-বাস্তবাদীদের ভাষায় আমেরিকার বৈদেশিক নীতি প্রণয়ণও আন্তর্জাতিক সিস্টেমের প্রভাবের ফল। নব্য-উদারবাদীদের ভাষায় আমেরিকার বৈদেশিক নীতি পরিবর্তনে ব্যক্তির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। যেমনঃ ট্রাম্প এসে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন করার সিদ্বান্ত নিয়েছে এবং সে অনুযায়ী যুদ্ধবিরতি হচ্ছে। আবার ইসরায়েলের চালানো গণহত্যার পরও বাইডেন সরকার ইসরায়েলকে নানাভাবে সাহায্য করে গিয়েছে। ফলে, মধ্যপ্রাচ্যের এই যে সঙ্কট উদারবাদীদের ভাষায় তা সিস্টেমের প্রভাবে ঘটেনি, বরং ঘটেছে ব্যক্তির সিদ্বান্তের ভিত্তিতে। অর্থাৎ, রাষ্ট্র নিজে নিজের কার্য করতে পারে না, রাষ্ট্রপ্রধানরাই তা করে থাকে; নৈরাজ্যপূর্ণ আন্তর্জাতিক সিস্টেমে রাষ্ট্র নিজে নিজে ভারসাম্য আনতে পারে না, সে পদক্ষেপ নেয় তাদের শাসকেরা; এমনকি সে শাসক যদি শক্তি ভারসাম্য আনয়নে সক্ষম নাও হয়, তবুও তার সিদ্বান্ত অনেক গুরুত্বপূর্ণ শক্তি ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে। 

নব্য-উদারবাদীদের উপরিউক্ত বক্তব্যকে কিছু বিশেষজ্ঞ পরবর্তীতে সমর্থন করেন, কিন্তু তাদের নিজস্ব ভাবনার আলোকে। এই বিশেষজ্ঞরা বলেন, হ্যাঁ এটা যৌক্তিক যে আন্তর্জাতিক সিস্টেম রাষ্ট্রকে নয়, বরং রাষ্ট্রনায়কদের বক্তব্য, কর্মপদ্ধতি ও দৃষ্টিভঙ্গিই আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পরিমন্ডল বা সিস্টেমকে অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রভাবিত করে। তবে, উল্লেখযোগ্য বিষয়টি হল এক্ষেত্রে রাষ্ট্রনায়কদের দৃষ্টিভঙ্গি জ্ঞানাতাত্ত্বিক সম্প্রদায়ের (epistemological communities) প্রদত্ত বয়ান ও বিশ্লেষণের আলোকে পরিবর্তিত, পরিবর্ধিত ও পরিমার্জিত হয় । 

জ্ঞানতাত্ত্বিক সম্প্রদায় (Epistemological Communities) হলো এমন গোষ্ঠী বা সম্প্রদায় যারা জ্ঞান অর্জন, বিশ্লেষণ এবং প্রচারের জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম, মানদণ্ড এবং পদ্ধতি অনুসরণ করে। এই সম্প্রদায় তাদের নিজ নিজ সদস্যদের দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রভাবিত করে, এবং কীভাবে তথ্য ব্যাখ্যা করা যায় এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় তা নির্ধারণে তার সদস্যদের সাহায্য করে । অর্থাৎ, রাষ্ট্রনায়ক বা নীতিনির্ধারকরা প্রায়শই এই জ্ঞানান্বেষী গোষ্ঠীর প্রদত্ত বয়ানে প্রভাবিত হন, এবং সে বয়ান তাদের বিশ্বাস এবং কর্মপদ্ধতিকে আকার দেয়। 

উদাহরণ হিসেবে সুইডিশ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও ভূরাজনীতি তত্ত্বের অন্যতম প্রুধা রুডল কেজেলিনের (Rudolf Kjellén) কথা বলা যেতে পারে। তাঁর ভূরাজনৈতিক তত্ত্ব বিংশ শতকের শুরুতে ইউরোপীয় ভূরাজনীতিতে গভীর প্রভাব বিস্তার করেছিলো, বিশেষ করে জার্মানিতে। কেজেলিনের ভূরাজনৈতিক ধারণাগুলি অ্যাডলফ হিটলার এবং নাজি পার্টির নীতিনির্ধারণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিলো। বিশেষ করে, কেজেলিনের Lebensraum তত্ত্বটি হিটলারকে সাম্রাজ্য বিস্তারে উচ্চাকাঙ্ক্ষী করে তুলেছিলো। 

এই তত্ত্বে রাষ্ট্রকে একটি জীবন্ত সত্তা বা জৈবিক সত্তার সাথে তুলনা করা হয় এবং বলা হয় রাষ্ট্রকে টিকে থাকার জন্য নিজের পরিধি প্রসারিত করতে হয়। অর্থাৎ, অন্যের ভূমি ও সম্পদ দখলের মাধ্যমে রাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গকে সচল রাখতে হয়, এবং সেক্ষেত্রে দরকার হলে ক্ষুদ্র ও দুর্বল রাষ্ট্রকে আগে দখল করার অধিকার ক্ষমতাধর রাষ্ট্রের রয়েছে। কেজেলিনের তত্ত্বের সাথে মিল রেখে হিটলারও বলতে থাকলেন ইউরোপের নৈরাজ্যপূর্ণ রাজনৈতিক সিস্টেমে জার্মানিকে টিকে থাকতে হবে এবং সেজন্য জার্মানির দরকার আরও নতুন নতুন ভূমি ও প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ। এই তত্ত্বের প্রভাবে হিটলারের যে মানুসিক পরিবর্তন ঘটেছিলো তার সবচেয়ে বড় উদাহরণঃ যুগোস্লাভিয়া ও পোলান্ড দখলের মাধ্যমে হিটলারের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা করা। 

রাষ্ট্রনায়কদের আচারণে রূপ দেওয়া এবং তাদের সিদ্বান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার যে সক্ষমতা জ্ঞানতাত্ত্বিক সমাজের (epistemological communities) রয়েছে তাকে আরও বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণ করেন রিচার্ড অ্যাশলে (Richard Ashley)। অ্যাশলে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক অধ্যায়ণে নতুন তত্ত্ব হিসেবে ক্রিটিক্যাল তত্ত্ব (Critical Theory) বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। ১৯৮৪ সালে অ্যাশলে তার বিখ্যাত Poverty of Neorealism গ্রন্থটি রচনা করেন। এই গ্রন্থে তিনি নব্য-বাস্তববাদকে (Neorealism), বিশেষ করে ওয়ালজের (Kenneth Waltz) বৈজ্ঞানিক সিস্টেম তত্ত্বের কড়া সমালোচনা করেন।

অ্যাশলে বলেন, নব্য-বাস্তববাদীরা (Neorealist) তাদের নব্য-বাস্তববাদ তত্ত্বকে (Neorealism Theory) আলাদা এক জ্ঞানতাত্ত্বিক জায়গা থেকে দেখে থাকেন; এছাড়াও, তাদের এই স্বতন্ত্র জ্ঞানকে তারা অন্যের উপর চাপিয়ে দিতে চান; এবং নব্য-বাস্তববাদকে তারা জ্ঞানান্বেষণের একটি বৈজ্ঞানিক শাখা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান। তারা দাবী করেন যে নব্য-বাস্তববাদ তত্ত্বটি (Neorealist Theory) আন্তর্জাতিক সম্পর্কের কোন একটি ঘটনাকে বিশ্লেষণ/ গবেষণার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণরূপে নির্মোহ/ বস্তুনিষ্ঠ/ পক্ষপাতহীনভাবে (Objectively) বিশ্লেষণ/ গবেষণা করে থাকেন। অ্যাশলে সমালোচনার সূরে বলেন, সমাজবিজ্ঞানের তত্ত্ব হিসেবে নব্য-বাস্তববাদ তত্ত্বের এরূপ দাবী কোনভাবেই গ্রহণ যোগ্য নয়, অর্থাৎ, আন্তর্জাতিক রাজনীতির কোন ঘটনা বিশ্লেষণে/ গবেষণায় নব্য-বাস্তববাদ কখনোই সম্পূর্ণরূপে নির্মোহ/ বস্তুনিষ্ঠ/ পক্ষপাতহীন (Objectivity) হতে পারে না, সে বিশ্লেষণে/ গবেষণায় আবশ্যিকভাবে ব্যক্তিকেন্দ্রিকতা/ পক্ষপাতিত্ব (Subjectivity) চলে আসে। 

রিচার্ড অ্যাশলের ন্যায় সমসাময়িক অনেক লেখক নব্য-বাস্তববাদ তত্ত্বকে সমালোচনা করে লেখালেখি করতে থাকেন। তাদের লেখনির অন্যতম প্রধান অংশ ছিলোঃ হোক সে নব্য-বাস্তববাদ তত্ত্ব বা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অন্য কোন তত্ত্ব, এদের কোন তত্ত্বই এটা দাবী করতে পারবে না যে তাদের গবেষণা বা তাদের জ্ঞানতাত্ত্বিক বিশ্লেষণের পদ্ধতি সম্পূর্ণরূপে নিরপেক্ষ বা নির্মোহ। উপরুন্তু তাদের স্বীকার করতে হবে তাদের বিশ্লেষণের একটি অংশরূপে ব্যক্তিকেন্দ্রিকতা/ পক্ষপাতিত্ব সেখানে বজায় থাকবে। ১৯৮৯ সালে এই বক্তব্যটি আরও জোড়ালোরূপে উপস্থাপন করেন জেমস ডের ডেরিয়ান (James Der Derian) তার যুগান্তকারী International/Intertextual Relations: Postmodern Readings of World Politics গ্রন্থে। 

গ্রন্থটি যুগান্তকারী কারণ এই গ্রন্থের সাহায্যে জেমস ডের ডেরিয়ান আন্তর্জাতিক সম্পর্ক তত্ত্ব হিসেবে উত্তর-আধুনিকতাবাদ (Postmodernism) এবং সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি (Critical Theory)-কে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক পাঠ্যক্রমে যুক্ত করেন। এই উত্তর-আধুনিকতাবাদ ও ক্রিটিক্যাল তত্ত্ব, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের প্রধান তত্ত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত রিয়ালিজম ও লিবারেলিজমের বিভিন্ন মৌলিক কনসেপ্ট, বয়ান ও জ্ঞানতাত্ত্বিক গবেষণা পদ্ধতিকে চ্যালেঞ্জ করে এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের পাঠকদের রাজনৈতিক বাস্তবতাকে নতুনভাবে বুঝতে সাহায্য করে। 

উত্তর-আধুনিকতাবাদ ও ক্রিটিক্যাল তত্ত্বের অনুসারীরা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক অধ্যায়ণের শিকড় ধরে টান দেন। তারা বলেন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক পাঠের নানা তত্ত্ব ও কনসেপ্টগুলো কিছু সংকীর্ণমনা ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর কাছ থেকে এসেছে, যাদের অধিকাংশই শ্বেতাঙ্গ, মধ্য-বয়স্ক পুরুষ। এই গোষ্ঠীর মত, চিন্তা, দর্শন, আদর্শ ও পরিকল্পনা প্রভৃতির আঙ্গিকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে একটি জ্ঞানের শাখা হিসেবে অন্যদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে, কেউ যদি সে চাপিয়ে দেওয়া জ্ঞানকে প্রশ্ন করেছেন তাকে বিভিন্নভাবে দাবিয়ে রাখা হয়েছে, এবং এভাবেই আন্তর্জাতিক সম্পর্ক পাঠ্যক্রমকে পশ্চিমাকরণ করা হয়েছে। 

তবে, শুধু যে পোস্টমর্ডানিজম ও ক্রিটিক্যাল তত্ত্বের অনুসারীরাই আন্তর্জাতিক সম্পর্কের প্রথাগত কনসেপ্ট বা সিস্টেমকে চ্যালেঞ্জ করেছে তা নয়, এর আগেও বিপ্লববাদীরা যারা মূলত মার্কসবাদ দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন তারা প্রথাগত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক অধ্যায়ণকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। আইডিয়াভিত্তিক দর্শনের (Ideational Philosophies) সাহায্যে, যেমনঃ আন্তর্জাতিক সম্পর্ক পাঠের ভাষা (Linguistic, Syntax, Semiotics) কেমন হবে, বিভিন্ন তত্ত্বে যে প্রতীকগুলো (Symbols) আছে- যে কনসেপ্টগুলো (Terms) আছে তাকে কিভাবে বিশ্লেষণ করা হবে, পশ্চিমা দুনিয়ার বাহিরে যে বিরাট জ্ঞানের ক্ষেত্র রয়েছে তাকে কিভাবে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক অধ্যায়ণের সাথে যুক্ত করা হবে প্রভৃতি চিন্তা ১৯৮০ এর শেষের দিকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক অধ্যায়ণকে চ্যালেঞ্জ করতে থাকে। 

এই চ্যালেঞ্জের ভিত্তিতে নতুন আদর্শ/ দর্শন হিসেবে উত্তর-আধুনিকতাবাদ (Postmodernism) ও সমালোচনা তত্ত্বের (Critical Theory) পাশাপাশি, উত্তর-উপনিবেশবাদ (Post-Colonialism) ও উত্তর গঠন/ কাঠামোবাদ (Post-Structuralism) যাত্রা করে। ১৯৯০ সাল নাগাদ, এই তত্ত্বগুলো শুধু আন্তর্জাতিক সম্পর্ককেই নয়, সমাজবিজ্ঞানের অন্যান্য শাখাকেও প্রভাবিত করতে শুরু করে। 




ভাবানুবাদঃ

বদিরুজ্জামান 

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় 



মূল বইঃ

International Encyclopedia of Political Science

মূল লেখকঃ

Torbjorn L. Knutsen

Norwegian University of Science and Technology (NTNU)

Trondheim, Norway






প্রথম পর্ব: আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ইতিহাস

https://irstudycornerbangla.blogspot.com/2025/01/history%20of%20international%20relations%20in%20bangla%20part%20I.html?m=1


দ্বিতীয় পর্বঃ আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ইতিহাস (যুদ্ধ ও শান্তি)

https://irstudycornerbangla.blogspot.com/2025/01/international%20relations%20history%20in%20bangla.html


তৃতীয় পর্বঃ আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ প্রতিষ্ঠা

https://irstudycornerbangla.blogspot.com/2025/01/Origin%20of%20IR%20Department%20in%20Bangla.html


৪র্থ পর্বঃ ইতিহাসের আলোকে আন্তর্জাতিক সম্পর্কঃ আদর্শবাদ ও প্রথম ডিবেট

https://irstudycornerbangla.blogspot.com/2025/01/first%20debate%20in%20IR%20in%20Bangla.html?m=1


৫ম পর্বঃ ইতিহাসের আলোকে আন্তর্জাতিক সম্পর্কঃ রিয়েলিজম ও দ্বিতীয় বিতর্কের প্রেক্ষাপট 
https://irstudycornerbangla.blogspot.com/2025/01/Cold%20War%20and%202nd%20debate%20in%20IR%20in%20Bangla.html 

৬ষ্ঠ পর্বঃ আচরণবাদ বনাম ঐতিহ্যবাদঃ আন্তর্জাতিক সম্পর্কের দ্বিতীয় বিতর্ক 
https://irstudycornerbangla.blogspot.com/2025/01/second%20great%20debate%20in%20IR.html

৭ম পর্বঃ ইতিহাসের আলোকে আন্তর্জাতিক সম্পর্কঃ সিস্টেম থেকেই তবে বিশ্লেষণ শুরু হোক
https://irstudycornerbangla.blogspot.com/2025/01/System%20Theories%20in%20IR%20in%20Bangla.html 

৮ম পর্বঃ ইতিহাসের আলোকে আন্তর্জাতিক সম্পর্কঃ স্নায়ুযুদ্ধের ইতি ও চিন্তার দুনিয়ায় পরিবর্তন 
https://irstudycornerbangla.blogspot.com/2025/02/post-positivism%20theory%20in%20IR.html




No comments

Theme images by rajareddychadive. Powered by Blogger.