Header Ads

Header ADS

কার্ল মার্কসের Theory of Surplus Value পরিচিতি


কার্ল মার্কসের উদ্বৃত্ত মূল্যতত্ত্বঃ 


আজকে আমরা কার্ল মার্কসের উদ্বৃত্ত মূল্যতত্ত্ব সম্পর্কে জানব। 

উদ্বৃত্ত মূল্যতত্ত্ব (Theory of Surplus Value) কার্ল মার্কসের একটি মৌলিক আবিস্কার। এটি মূলত একটি অর্থনীতি তত্ত্ব। মার্কসবাদ অনুধাবনে আমাদের এই তত্ত্বটির বুঝ থাকা আবশ্যক। 

আমরা আমাদের পূর্বের লেখায় দেখিয়েছি মার্কস তিনটি বড় উৎস থেকে বিকশিত হয়েছে। যথাঃ জার্মান দর্শন, ফরাসী সমাজতন্ত্র এবং ব্রিটিশ অর্থনীতি। মার্কসের উদ্বৃত্ত মূল্যতত্ত্বটি ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ যেমনঃ এডাম স্মিথ, ডেভিড রিকার্ডো, থমাস ম্যালথাস প্রমুখের অর্থনীতি তত্ত্বের সমালোচক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। 

উদ্বৃত্ত মূল্যতত্ত্বটি ভালভাবে বুঝার জন্য আমাদের প্রথমে বেশ কয়েকটি অর্থনীতির কনসেপ্ট সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। যথাঃ 

পন্য (Commodity): 

স্বাভাবিকভাবে আমাদের পৃথিবীতে প্রাপ্ত যেকোন পদার্থকে আমরা সোজা ভাষায় দ্রব্য বলতে পারি। কিন্তু অর্থনীতির ভাষায় দ্রব্য ও পণ্যের মধ্যে স্পষ্ট পার্থক্য বিদ্যমান। যদি কোন দ্রব্যকে পণ্য হতে হয় তবে তার দুটি বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে। যথাঃ

    1. পণ্যের অবশ্যয়ই অভাব মেটানোর ক্ষমতা থাকতে হবে, এবং
    2. শুধু অভাব পূরণের ক্ষমতা থাকলেই হবে না, তাকে আবার বিনিময় যোগ্যও হতে হবে।

উদাহরণ হিসেবে আমরা পানির কথা বলতে পারি। যখন সাধারণভাবে পানিকে উল্লেখ করি তখন পানিকে আমরা দ্রব্য বলতে পারি। কিন্তু যখন সেই পানিকে ধরুন বোতলজাত করা হল, তখন সেই পানি পণ্যে পরিনত হল। অর্থাৎ, এই বোতলজাত পানি আমাদের তৃষ্ণা বা অন্যান্য অভাব মিটাবে, ঠিক অন্যভাবে অর্থের সাথে এই বোতলজাত পানি কে বিনিময় করা যাবে। অর্থাৎ, টাকার বিনিময়ে পানি পাওয়া যাবে, আবার পানির বিনিময়ে টাকা পাওয়া যাবে।  

মূল্য (Price): 

অর্থনীতির ভাষায় মূল্য ও দামের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। দাম হল পণ্য যে বাজারদরে ক্রয়-বিক্রয় হয়। অন্যদিকে, মূল্য দুই ধরনের, ব্যবহারিক মূল্য ও বিনিময় মূল্য। একটি পণ্য ভোক্তার তৃষ্ণার মেটায়। এই তৃষ্ণা মেটানোকে পণ্যের ব্যবহারিক মূল্য বলা যায়। আবার বিনিময় মূল্য হল অন্য কোন পণ্যের সাথে এই পণ্যটির বিনিময় করাকে পণ্যটির বিনিময় মূল্য বলা যেতে পারে। 

যেমনঃ এই পানীয় বোতলকে মূদ্রার মাধ্যমে আমরা বিনিময় করতে পারি। অর্থাৎ, ক্রেতা হিসেবে মুদ্রা দিয়ে বোতলের পানি পেতে পারি। একই ভাবে বিক্রেতা হিসেবে বোতল দিয়ে আমরা মুদ্রা পেতে পারি।

যাইহোক, বিনিময় মূল্যকে বর্তমান অর্থনীতির ভাষায় যেভাবে দেখানো হয়, মার্কসের ভাষ্যমতে বিনিময় মূল্য সবসময় তেমন ছিলনা। বিনিময় মূল্যের একটা দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। 

প্রাগৈতিহাসিক যুগে মানুষ গোষ্ঠী আকারে বসবাস করতো এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে তার খাদ্য সংগ্রহ করতো এবং সেই সংগ্রহকৃত খাদ্যের উপরই তাদের টিকে থাকা নির্ভর করতো। এক্ষেত্রে তাদের সংগ্রহীত খাদ্যের সমবন্টন হতো।  

পরবর্তী পর্যায়ে মানুষের সংখ্যা অনেকগুন বেড়ে যায় এবং তখন এই গোষ্ঠীবদ্ধ মানুষ অনুধাবন করলো, তাদের খাদ্যে এই যাযাবর জীবনযাপনের বর্ধীয়মান জনগোষ্ঠীর অভাব মেটাতে পারছে না। 

তখন এই গোষ্ঠীগুলো শিকারী পেশা গ্রহণ করলো, কিন্তু অভাব মেটাতে না পেরে তারা কৃষিকাজে মনোনিবেশ করলো। কিন্তু একই সাথে একই গোষ্ঠীর শিকার ও কৃষিকাজ উভয়টি করা সম্ভব ছিলো না। 

তখন থেকেই সমাজে শ্রমিক শ্রেণির ধারণাটির বিকাশ ঘটল এবং এই দুই জীবিকার মধ্যে বিনিময় প্রথা শুরু হল। উভয়ের মাঝে চুক্তি হল নিজদের সংগ্রহীত খাদ্যে অভাব মেটানোর পর যে উদ্বৃত্ত অংশটি থাকবে তা দিয়ে একে অন্যের সংগ্রহ বিনিময় করতে পারবে। 

অর্থাৎ, কৃষক কৃষি খাদ্য বিনিময়ে শিকারী থেকে মাংস নিবে, আবার শিকারীও মাংসের বিনিময়ে কৃষি খাদ্য গ্রহন করবে।  

কিন্তু দেখা যায়, তৎকালীন এই বিনিময়ের প্রবণতা বর্তমান হারের তুলনায় অনেক কম বা অনিয়মিত ছিলো এবং বিনিময়ের পরিমাণ নির্ণয়েও  একটা সামাজিক সমঝোতা ছিলো।  

কিন্তু দিন যত যেতে লাগলো, গোষ্ঠীর অভাবের পরিমানও বাড়তে লাগলো এবং তার নিজের পক্ষে সকল অভাব পূরণ অসম্ভব হয়ে পড়লো। ফলে শ্রম বিভাজন বৃদ্ধি পেতে থাকলো এবং বিনিময়ের হারও বাড়লো। 

ফলে বিনিময়ের পরিমাণ নির্ণয়ে পূর্বের সামাজিক সমঝোতাকে সংস্কারের মাধ্যমে সমতার বিধান প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন দেখা দিলো। কিন্তু পণ্যের বিনিময় ব্যক্তিভেদে আলাদা হওয়ায় ব্যপারটি মোটেও সহজ ছিলো না।   

ফলে এমন একটি সাধারণ পণ্যের প্রয়োজন সকলে অনুভব করলেন যে পণ্যটা কেউ চাইলে সংরক্ষণ করতে পারবেন এবং অভাব পূরণের ক্ষেত্রে সেই পণ্যের পুনঃব্যবহার করতে পারবেন। 

এই সাধারণ পণ্যটি যুগভেদে ভিন্ন ভিন্ন রূপে ছিলো। কখনো কোন নির্দিষ্ট ফসলকে পণ্য হিসেবে ধরা হত, কখনো বা রৌপ্য/স্বর্ণকে, এবং বর্তমানে মুদ্রা সেই জায়গা দখল করেছে। অর্থাৎ, বর্তমান সমাজ মুদ্রাকে সাধারণ পণ্য হিসেবে গ্রহণ করেছে।

কিন্তু বিনিময় মূল্য যে সবসময় এক থাকে না, অর্থাৎ, চাহিদার তুলনায় যোগান অপ্রতুল হলে পণ্যের দাম বেড়ে যায়, বিপরীতে কমে। 

ফলে বণিক শ্রেণি নামে সমাজে এক নতুন শ্রেণি উদ্ভুত হয়, যারা এই সুযোগটা কাজে লাগাতে শুরু করে। তারা বিনিময়ের ক্ষেত্রে অভাবকে প্রাধান্য না দিয়ে, সাধারণ পণ্যের (মুদ্রা/সোনা/ফসল ইত্যাদি) বিনিময়ে অভাব পূরণের প্রয়োজনীয় পণ্য সংরক্ষণ করা শুরু করে। 

এই সংরক্ষণের মূল লক্ষ্য বেশি বেশি মুনাফা অর্জন (মুদ্রা দিয়ে পণ্য কিনবো, আবার পণ্য বিক্রি করে অধিক মুদ্রা লাভ করবো)। এই বণিকরা ভোক্তার সব অভাব পূরণ করতে শুরু করলো, ফলে ভোক্তাদের ব্যক্তিগত বিনিময় রীতি পালটে গিয়ে বণিক শ্রেণি নির্ভর বিনিময় প্রথা চালু হল।  

ইউরোপের সামান্ত ব্যবস্থার একদম শেষের দিকে এই বণিক শ্রেণির উত্থান ঘটে। বণিক শ্রেণি উৎপাদন ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে শুরু করলো। তাদের অর্জিত বিশাল অংকের মুনাফা দিয়ে তারা বিরাট বিরাট শিল্প-কলকারখানা গড়ে তুলতে শুরু করে। এবার এই কারখানা অধিক সংখ্যক পণ্য্ উৎপাদন করা শুরু করে। 

বণিকরা কারখানায় পুঁজির বদৌলতে উৎপাদনের কাঁচামাল ও যন্ত্রাংশ যুক্ত করে, এবং পণ্য উৎপাদনে সাধারণ বেতনভুক্ত মানুষ যুক্ত হয়, যাদের শ্রমিক শ্রেণি বলে। ভাবেই আধুনিক পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থার সূচনা হয়। এই সমাজের পণ্য সঞ্চালনের উপায় হিসেবে (মুদ্রা= কাঁচামাল + যন্ত্রাংশের মূল্য + শ্রমশক্তি =মুদ্রা + অতিরিক্ত মুদ্রা) এই সমীকরণটি যুক্ত হয়। 

ক্লাসিক্যাল অর্থনীতিবিদ যেমন এডাম স্মিথ, ডেভিড রিকার্ডো প্রমুখ এই সমীকরণটির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, প্রাকৃতিক কারণেই কেউ বেশী ভোগ করে তার সম্পদ শেষ করে দেয় তাই সে অর্থনৈতিক ভাবে অসচ্ছ্বল থাকে, আবার অন্যরা সম্পদ পুঞ্জীভূত করতে করতে অসচ্ছ্বল থেকে সচ্ছ্বল হয়ে ওঠে। 

কার্ল মার্কস এই যুক্তিকে চ্যালেঞ্জ করেন এবং শ্রমশক্তির ধারণাটিকে কাজে লাগিয়ে মার্কস দেখান কিভাবে বণিক শ্রেণি শ্রমশক্তির মাধ্যমেই অতিরিক্ত মুদ্রা অর্জন করে পুঁজিপতি হয়ে উঠছে।  

যেমন ধরা যাক, একটা পোশাক কারখানায় মালিক পুঁজির সাহায্যে সুতা, সুতা বোনার যন্ত্রাংশ ও এই দুইকে একটা পোশাকে রুপান্তর করতে একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্দিষ্ট পুঁজিতে শ্রমিকের শ্রমশক্তি কিনে নিচ্ছেন। 

যখন শ্রমশক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে একটা পোশাক তৈরি করা হচ্ছে, তখন দেখা যাচ্ছে তার মূল্য-  সুতা ও যন্ত্রাংশ+ শ্রমশক্তিতে ব্যবহারিত পুঁজির তুলনায় অনেক বেশি।  

শ্রম শক্তি কিভাবে নির্ধারিত হয়? সাধারণ ভাষায়, একজন শ্রমিককে পরেরদিন পুনরায় উৎপাদন ক্ষেত্রে শ্রম দেওয়ার জন্য যা যা প্রয়োজন, তা ক্রয় করতে শ্রমিকের যত খরচ হয় সেটুকুই তার শ্রমশক্তির মূল্য। মালিক, শ্রমিকের শ্রমকে পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট মূল্যে কিনে নেয়। 

ধরুন মালিক ৮ ঘন্টার জন্য একটি নির্দিষ্ট মূল্যে শ্রমিকের শ্রম শক্তি কিনে নেয়। কিন্তু দেখা যায় পুনরায় উৎপাদনের জন্য তাকে যে পারিশ্রমিক দেওয়া হবে তা সে মাত্র তিন ঘন্টায় করে দিতে পারে। 

তবুও তাকে বাকী ৫ ঘন্টা চুক্তি অনুযায়ী কাজ করে যা মালিককে অতিরিক্ত মুনাফা এনে দেয়, কিন্তু শ্রমিক এই অতিরিক্ত ৫ ঘন্টার শ্রমের বাবদ কোন পারিশ্রমিক পায় না। ফলে এই ৫ ঘন্টার অতিরিক্ত মুনাফা সরাসরি মালিকের পকেটেই যায়। 

মালিকের পকেটে-ই কেন যায়? কারণ, যেহেতু সুতা বা যন্ত্রের নিজস্ব কোন উপযোগিতা নেই (নিজে নিজে উৎপাদিত হতে পারে না) এবং তাদের ক্ষেত্রে খরচও নির্দিষ্ট, আবার নির্দিষ্ট বেতনে শ্রমিক তার শ্রমশক্তির সম্পূর্ণটা বিনিময় করছে (মাসিক বা প্রত্যাহিক একটা নির্দিষ্ট বেতন শ্রমিক শ্রমের বিনিময়ে পায়), সেক্ষেত্রে এই খরচগুলো বাদে বাকী বড় মুনাফার/ অতিরিক্ত অংশই পণ্যের উদ্বৃত্ত মূল্য, যা সম্পূর্ণটাই মালিকের পকেটে যায়। 

উদাহরণ হিসেবে যদি বলি, ধরুন যখন বাজারে কোন পণ্য বিক্রি হচ্ছে তখন সে পণ্যের কাঁচামাল (ধরি, একটা শার্টের কাঁচামালের মূল্য ১২০ টাকা), শ্রমিকের শ্রম (উৎপাদিত খরচে শ্রমিক পায় ১০০ টাকা)  ও আনুষাংগিক খরচ (বিদ্যুৎ, পরিবহন, মার্কেটিং প্রভৃতিতে খরচ হয় ১৬০ টাকা) বাদেও অতিরিক্ত মূল্যে পণ্যের দাম (শার্টের দাম ধরা হয় ১০৫৫ টাকা) নির্ধারিত হয়, এবং এই অতিরিক্ত মূল্য ( ১০৫৫-৩৮০= ৬৭৫ টাকা) মালিকের পকেটে যায়। 

এভাবেই কার্ল মার্কস, ব্রিটিশ অর্থনৈতিক তত্ত্বের ফাঁকিটাকে স্পষ্ট করেন। অর্থাৎ, ব্রিটিশ অর্থনৈতিতে মুনাফা লাভের ক্ষেত্রে উদ্ধৃত্ত মূল্যের দিকে কোন আলোকপাত-ই করা হয় না। 

উপরুন্তু তাদের ভাষায়, বিনিময় প্রথার স্বাভাবিক প্রচলনে (বাজারে ক্রেতা একটা পণ্য একটা নির্দিষ্ট মূল্যে কিনে, ভোক্তার কাছে একটা নির্দিষ্ট দামে বিক্রি করে অতিরিক্ত মুনাফা অর্জন করে। এই উদ্ধৃত্ত মুনাফা লাভের ক্ষেত্রে শ্রমিকের শ্রম কোন বিবেচ্য বিষয় নয়) অতিরিক্ত মুনাফা অর্জন করে। 

কিন্তু মার্কসের উদ্ধৃত্ত তত্ত্ব অনুসারে বিষয়টি মুদ্রার একপিঠ ছাড়া কিছু নয়। কারণ বিনিময় প্রথার স্বাভাবিক প্রচলনে অর্থাৎ, বাজারে ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ বা ক্ষতি উভয়েই হতে পারে। 

ধরুন আপনি একজন বণিক। সেক্ষেত্রে আপনি বিক্রেতা হিসেবে লাভ করলেও,  আবার আপনি যখন একজন ক্রেতা। ফলে ক্রেতা হিসেবে ক্রয়ের ক্ষেত্রে আপনি ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন যা স্বাভাবিক। তাই এখানে অতিরিক্ত মূল্য তৈরি হওয়ার প্রবণতা সীমিত।  

মার্কস তাই বলেন, শ্রমিকের শ্রমই মালিকের অতিরিক্ত পুঁজি লাভের প্রধান কারণ। অর্থাৎ, শ্রমিক পণ্যটি উৎপাদনে যে পরিমাণ শ্রম দিচ্ছে সে অনুরূপ টাকা পাচ্ছে না একটা নির্দিষ্ট বেতনে কাজ করতে বাধ্য হওয়ায়। 

মোটাদাগে এটিই কার্ল মার্কসের উদ্ধৃত্ত মূল্যতত্ত্বের সারাংশ।  



লেখাটি নেওয়া হয়েছে শোভন রহমানের আলোচনা থেকে। ভিডিওটি এখানে যুক্ত করা হলো যাতে আপনারা কার্ল মার্কসের Theory of Surplus Value নিয়ে আরও গভীরভাবে জানতে পারেন। ধন্যবাদ। 


লেখকঃ 

বদিরুজ্জামান
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়  



 কার্ল মার্কস নিয়ে লেখাঃ 

চার্লস মার্কস না কার্ল মার্কস? 

https://irstudycornerbangla.blogspot.com/2023/09/Biography%20of%20Karl%20Marx%20in%20Bangla.html

কার্ল মার্ক্স (karl marx): আধুনিক সময়ের প্রভাবশালী দার্শনিক

https://irstudycornerbangla.blogspot.com/2022/08/Biography%20of%20Karl%20Marx.html
তত্ত্ব হিসেবে মার্কসবাদের (Marxism) বিকাশ যেভাবে হল
https://irstudycornerbangla.blogspot.com/2022/08/Three%20sources%20of%20Marxism%20in%20Bangla%20.html


 



 











 

 

 







No comments

Theme images by rajareddychadive. Powered by Blogger.