কি'ভেন রুশের (Kievan Rus) দেশ রাশিয়াঃ মস্কো থেকে সাইবেরিয়া (পর্ব ২)
কি'ভেন রুশের (Kievan Rus) দেশ রাশিয়াঃ মস্কো থেকে সাইবেরিয়া (পর্ব ২)
![]() |
| Kievan Rus |
রাশিয়া নামটির শুরু সেই নবম শতকে। বর্তমান ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে দ্নিপের নদীর (Dnieper River) তীর ঘেষে গড়ে ওঠা পূর্ব স্লাবিক গোত্র কি'ভেন রুশের (Kievan Rus) হাত ধরে রাশিয়া ফেডারেশনের যাত্রাশুরু হয়। ততকালীন সময়ে, এ অঞ্চলে মঙ্গলবাহিনী ত্রাস সৃষ্টি করে রেখেছিল। তারা দক্ষিণ ও পশ্চিম রাশিয়ার মাইলের পর মাইল ভূখন্ড দখল করে। এই ত্রাসের রাজত্ব প্রায় ত্রয়োদশ শতক পর্যন্ত বজায় ছিলো। মঙ্গল অভিযানের হাত থেকে বাচতে রুশ গোষ্ঠী ইউক্রেন ছেড়ে রাশিয়ার ভূখণ্ডে পালিয়ে যায়, এবং একসময় তারা মস্কো গিয়ে পৌছায়।
অতীতে মস্কো রাশিয়ার সবচেয়ে সহজ পথ ছিলো, কারণ এই গ্রান্ড পৌরসভা রক্ষার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা খুব নাজুক ছিলো, এবং ভৌগোলিক অবস্থানের কারণেও সেখানে না ছিলো কোন সুউচ্চ পাহাড়ের সীমারেখা, না ছিলো ধূ-ধূ মরুভূমি, এবং নদীর সংখ্যাও ছিলো সীমিত। সব দিক দিয়ে, মস্কো ছিলো খোলা সমতল ভূমি, এবং মস্কোর দক্ষিণ ও পূর্ব প্রান্তে ছিলো মঙ্গলদের আস্তানা। ফলে, তারা যেকোনো সময়েই এই খোলা সমভূমি ধরে মস্কোতে আক্রমণের ক্ষমতা রাখতো।
এমন সময় রাশিয়ার জার হিসেবে আবির্ভূত হয় আইভান দ্যা টেরিবলের (Ivan the Terrible)। আইভান এই প্রথমবারের মত রুশ গোষ্ঠীকে একত্রিত করলেন এবং শত্রুকে মোকাবিলা করতে বা আত্মরক্ষার্থে শত্রুর উপর আক্রমন করার ধারণা নিয়ে আসলেন। যেমন আইভান বলতেন যে যদি নিজের পরিধি বাড়াতে চাও, আগে ঘরকে শক্ত কর, পরে বাহিরে চল। তার কথায় রুশ গোষ্ঠী অনুপ্রাণিত হল। আইভান বিশ্বাস করতে মানুষই তার ভাগ্যকে বদলাতে পারে এবং রুশ গোষ্ঠী তা করে দেখিয়েছে। তবে, একজন বিজ্ঞ ও প্রত্যয়ী মানুষ হওয়ার বিপরীতে তিনি ছিলেন নেতৃত্বের বেলায় খুব নিষ্ঠুর ও নিয়মানুবর্তী, যার সুফল রাশিয়ার ইতিহাসকেই বদলে দিয়েছিলো।
আইভান রুশ গোষ্ঠীকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা শিখেছিলেন তার দাদা আইভান দ্যা গ্রেটের থেকে। কিন্তু তার হাত ধরেই রাশিয়ার সীমারেখা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। তার রাশিয়া পূর্বে ইউরাল পর্বত, দক্ষিণে কাস্পিয়ান সাগর, এবং উত্তরে আর্কটিক চক্র পর্যন্ত বিস্তৃত ছিলো। সীমানা এখানেই থেমে থাকেনি। কাস্পিয়ান সাগর হয়ে পরবর্তীতে কৃষ্ণ সাগর, এবং পরবর্তীতে মঙ্গলদের থেকে বাচতে ককেসাস পাহাড় পর্যন্ত সীমানা বৃদ্ধিও রাশিয়ার বিস্তারনীতির অংশ ছিলো।
সীমানা বিস্তারনীতির অপর তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী অটোম্যান, পারস্য ও মঙ্গলদের থেকে রাশিয়ার ভূমিকে রক্ষায় চেচনিয়া একটি শক্তিশালী সেনানিবাস প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিলো। মঙ্গলদের সাথে সংঘাত শুরু হয়, এবং তীব্র হয়। কিন্তু দক্ষ যুদ্ধ কৌশলে রাশিয়ার বিজয় হয় এবং রাশিয়ার সীমানা ইউরাল পর্বত হয়ে সাইবেরিয়া শেষ সীমানা অব্দি চলে যায়। পরবর্তীতে চীন ও কোরিয়া সীমান্তবর্তী প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলও রাশিয়ার সীমানায় যুক্ত হয়।
![]() |
| Old Russian Map |
বর্তমানে রাশিয়ার হাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভূমি রয়েছে যাকে রাশিয়া বাফার অঞ্চল হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে যেকোনো আক্রমণের সময়। যেমন: আর্কটিক চক্রের দিক থেকে কেউ রাশিয়াকে আক্রমণ করবে না; একইভাবে ইউরাল পর্বত পাড় হয়ে এসে কেউ রাশিয়াকে আক্রমণ করবে না। ফলে সম্ভাব্য দুটি পথে রাশিয়া আক্রান্ত হতে পারে: দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে। তবে সেক্ষেত্রে আক্রমণকারীকে বিশাল সেনাবহর নিয়ে আগাতে হবে, এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দীর্ঘ পথে পর্যাপ্ত রসদের যোগান নিশ্চিত করতে হবে, এবং রাশিয়ার শক্তিশালী বাহিনীর বিপরীতে নিজের প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
অষ্টাদশ শতকে রাশিয়ার জার পিটার দ্যা গ্রেটের হাতে (যিনি ১৭২১ সালে রুশ সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন), এবং পরবর্তীতে সম্রাজ্ঞী ক্যাথেরিন দ্যা গ্রেটের অধীনে রুশ সাম্রাজ্য পশ্চিম মুখী হয়। ক্রমেই তাদের অধীনে রুশ সাম্রাজ্য ইউরোপের অন্যতম শক্তিশালী সাম্রাজ্যের মর্যাদা পায়। এই সাম্রাজ্যের প্রধান দুই নিয়ামক ছিলো রুশ সাম্রাজ্যের প্রতি রাশিয়ানদের অকৃত্রিম ভালবাসা ও টান (যাকে বর্তমানের ভাষায় জাতীয়তাবাদ বলা হয়), এবং বাণিজ্য পরিচালনার পথ সুগম করা।
রাশিয়ার এই ক্রম শক্তিমত্তার উদাহরণ বর্তমানের ক্রাইমিয়া দখল ও ইউক্রেন যুদ্ধে ইউক্রেনের আরও তিনটি গুরুত্বপূর্ণ শহর দখল করা। এর পূর্বে বাল্টিক রাষ্ট্রের (লাটভিয়া, লিথুনিয়া, ও এস্তোনিয়া) সাথে রাশিয়া এমন কাজ করেছিলো। এভাবে শুধু ভূমি নয়, বাল্টিক সমুদ্র হয়ে আশা রাশিয়ার প্রতি যে-কোন হুমকি প্রতিহত করার দিকে রাশিয়া কড়া নজরদারি বাড়িয়েছে।
বর্তমানে রাশিয়ায় এক কৌশলী মালা গাথা হয়েছে মস্কোকে কেন্দ্রে রেখে। যার শুরু সেই আর্কটিক অঞ্চলে, যা ক্রমশ নেমে গেছে বাল্টিক অঞ্চলে, বাল্টিকের পর চলে গেছে ইউক্রেন হয়ে কার্পাথিয়ান (Carpathians) ও কৃষ্ণ সাগরের দিকে, সেখান থেকে ককেসাস ও কাস্পিয়ান হয়ে ঘুরে গেছে ইউরাল পর্বতের দিকে, এবং সেখান থেকে মালার শেষ পুনরায় গিয়ে ঠেকেছে আর্কটিক চক্রে।
বিংশ শতকের, সমাজতান্ত্রিক রাশিয়ার উদ্যোগে সোভিয়েত ইউনিয়ন গঠিত হয়। অনেকেই সমালোচনা করে বলেন “বিশ্বের মজদুর এক হও” স্লোগানের আরালে সোভিয়েত ইউনিয়ন বস্তুত রুশ সাম্রাজ্যের আধুনিক রূপ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পূর্বে প্রশান্ত মহাসাগর থেকে পশ্চিমে বার্লিন, এবং উত্তরের আর্কটিক থেকে দক্ষিণে আফগানিস্তান পর্যন্ত বিস্তর ভূখণ্ড সোভিয়েতের অংশ ছিলো। সোভিয়েত ইউনিয়নের বিশাল আয়তনের ন্যায়, তার অর্থনৈতিক, সামরিক ও রাজনৈতিক পরিসর ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিলো, যার সমকক্ষ ততকালীন সময়ে শুধু যুক্তরাষ্ট্রই ছিলো। এই দুই মহারথীর স্বার্থগত দ্বন্দ্বে প্রায় ৪৫ বছর স্নায়ুযুদ্ধ চলে।
আসলে রাশিয়া কত বড়? রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্র বা চীনের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ বড়, ভারতের তুলনায় পাচগুণ বড়, যুক্তরাজ্যের তুলনায় প্রায় ৬৭ গুণ বড়। তবে, জনসংখ্যা মাত্র ১৫ কোটি, যা পাকিস্তান, বাংলাদেশ বা নাইজেরিয়ার থেকেও কম। ফসল উৎপাদনের মৌসুম রাশিয়ায় খুব দ্রুত চলে যায়, তাই এসময়ে উৎপাদিত ফসলের বন্টন রাশিয়ার বৃহৎ অঞ্চলে পৌঁছে দেওয়া রাশিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
মজার বিষয় হল মাত্র ইউরাল পর্বতের অংশ বিবেচনায় রাশিয়া নিজেকে ইউরোপীয় দেশ হিসেবে উল্লেখ করে থাকে। বস্তুত, রাশিয়ার অধিকাংশ ভূমি যেমন সেন্ট্রাল এশিয়ার দেশ: কাজাকিস্তান, মঙ্গোলিয়া, চীন এবং উত্তর কোরিয়ার সাথে লাগোয়া এবং সামুদ্রিক সীমানাও তেমন জাপান ও আমেরিকার সাথে যুক্ত। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী সারাহ পোলিন (sarah palin) একদা কৌতুক করে বলেন, “ আপনারা আলাস্কা ভূখণ্ড থেকেই রাশিয়াকে দেখতে পাবেন”।
মিডিয়াতে এই বক্তব্যটি ভাইরাল হয়ে যায় যখন তিনি বলেন, “আপনারা আমার বাড়ি থেকেই রাশিয়াকে দেখতে পাবেন”। মিডিয়ায় যখন বক্তব্যটির সমালোচনা শুরু হয় তখন তিনি আবারও বলেন, “ আপনারা আলাস্কা ভূখণ্ডে দাঁড়িয়ে রাশিয়াকে দেখতে পাবেন, দেখতে ঠিক আলাস্কার মতনই একটি দ্বীপ মনে হবে তাকে।” আসলে সারাহ পোলিন ঠিকই বলেছেন। মাত্র আড়াই মাইল দীর্ঘ বেরিং প্রণালী রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডকে আমেরিকান দ্বীপ লিটল ডৈমেডে (Little Doimede) থেকে পৃথক করেছে। এ দ্বীপ থেকে খোলা চোখেই রাশিয়াকে দেখা যায়।
![]() |
| sarah palin on Russia |
ইউরাল পর্বত এশিয়া ও ইউরোপের মাঝে সীমারেখা হয়ে রয়েছে। এ পর্বতের যে স্থানে ইউরোপের সমাপ্তি, তার পরেই এশিয়ার শুরু। আবহাওয়া যখন ভালো থাকে, আকাশ যখন পরিস্কার তখন মাইলের পর মাইল জুড়ে থাকা পাইনের বন পরিস্কার দেখা যায়। শীত ঋতুতে পুরা পর্বত তুষারের আচ্ছাদনে ছেয়ে যায় যেন সাইবেরিয়া। পর্যটকদের বিশেষ আগ্রহ এই পর্বত, তারা এক পা রাখে ইউরোপে, অন্য পা এশিয়ায়। আসলে রাশিয়া এতটাই বড় যে প্রতিবার চারগুণ পথ চলতে হয়। যেমন ধরুন আপনি রাশিয়ার বড় শহর সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে বেরিং প্রণালীতে যেতে চান, তাহলে প্রথমে আপনার পশ্চিম রাশিয়া হয়ে প্রায় ১৫০০ মাইল অতিক্রম করে ইউরাল পর্বত পর্যন্ত যেতে হবে। সেখান থেকে আবার যাত্রা করে প্রায় ৪৫০০ মাইল পশ্চিমে গিয়ে বেরিং প্রণালীতে উঠতে হবে। এভাবেই স্থল পথে ইউরোপ থেকে আলস্কা হয়ে আমেরিকা যাওয়া যায়।
সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের কিছু দিন বাদে আমি ইউরাল পর্বতে পৌঁছাই। এশিয়া মাইনর দেখার অনেক দিনের ইচ্ছা আমার ছিলো, আমার সাথী হিসেবে এক রাশিয়ান ক্যামেরাম্যানকে পেয়ে যাই। ক্যামেরাম্যানকে দেখে অনেক দক্ষ মনে হল, হবেই না কেন রেড আর্মির সাথে তাকে কাজ করতে হয়েছে। তিনি একজন ঐতিহাসিক মানুষ যার ক্যামেরা জার্মান যখন প্রথম স্টালিনগার্দ দখল করে সে ছবিও তুলেছে। আমি কৌতূহলী বসে তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, “ তো, আপনি কি ইউরোপীয়ান না এশিয়ান?”। তিনি তাৎক্ষনিক জবাব দিলেন, “ না না না, আমি এগুলোর কোনটাই না। আমি একজন রাশিয়ান।”
রাশিয়া আসলে এশিয়ার কোন দেশ নয়, এটি ইউরোপের, এবং এ দাবীর পিছনে অনেক কারণ রয়েছে। যদি এই বিশাল ভূখন্ডের ৭৫ শতাংশই রয়েছে এশিয়ায়, তবে সে ভূমির তুলনায় জনসংখ্যার হার খুবই সামান্য। রাশিয়ার মোট জনসংখ্যার প্রায় ২২ শতাংশ এশিয়ায় থাকে। সাইবেরিয়াকে রাশিয়ার রত্নাকর বলা হয়। গবেষকদের ধারণা রাশিয়ার উন্নতির জন্য যে সকল প্রাকৃতিক সম্পদের প্রয়োজন যেমন খনিজ সম্পদ, খনিজ তেল, এবং গ্যাসের আধিক্য রয়েছে সাইবেরিয়ায়। কিন্তু সাইবেরিয়া পৃথিবীর অন্যতম রুক্ষ্মতম জায়গা যা বছরে মাসের পর মাস বরফে আচ্ছাদিত থাকে।
![]() |
| Siberia Russia |
সাইবেরিয়ার সাথেই রয়েছে পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ অরণ্য- তৈগা। এছাড়াও, সাইবেরিয়া ভূমি চাষাবাদের জন্য সুবিধাজনক নয়, এবং বিভিন্ন জলাভূমিতে ভরা। পশ্চিম রাশিয়ার সাথে পূর্ব রাশিয়ার যোগাযোগের একমাত্র পথ দুইটি রেললাইনঃ ট্রান্স সাইবেরিয়ান রেললাইন, এবং বৈকাল আমুর মেইনলাইন। এছাড়াও, রাশিয়ার উত্তরের সাথে দক্ষিণের যোগাযোগে কয়েকটি রুট রয়েছে। ফলে, চীন ও মঙ্গোলিয়ার সাথে কোন ধরণের যুদ্ধ বা সংঘাতে জড়ানো বা শক্তি প্রয়োগের সহজ পথ নেই।
ভৌগোলিক বিবেচনায় চীন ভবিষ্যতে সাইবেরিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তবে চীন সেক্ষত্রে অপেক্ষা করবে কারণ রাশিয়ার জন্মহার ক্রমহ্রাসমান, বিশেষত সাইবেরিয় অঞ্চলে। ফলে, রাশিয়ার জন্মহার কমে গেলে চীন সেই শূন্যতা পূরণ করবে। চীনা অভিবাসীরা আরও উত্তরে সাইবেরিয়ায় যাত্রা করবে। এখনো ইউরাল ও সাইবেরিও ভূখন্ডের অধিকাংশ রুটে চীনা ব্যবসায়ী ও চীনা রেস্তোরার দেখা মেলে। পূর্ব রাশিয়ার ক্রমহ্রাসমান জনসংখ্যার উপর চীনা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক, এবং এমনকি রাজনৈতিক প্রভাব প্রতীয়মান হয়।
কেউ যদি রাশিয়ার মূল ভূখন্ডের বাহিরে যায়, সেখানকার অধিকাংশ অধিবাসী নৃগোষ্ঠীগতভাবে রুশ নয়। তাই মস্কোর প্রতি তাদের আকর্ষণ ও আনুগত্য তুলনামূলক কম। সোভিয়েত ইউনিয়নের সময়ে এই বিকর্ষণ সোভিয়েতের অভ্যন্তরীন নিরাপত্তাকে বাধাগ্রস্থ করেছিলো। সেই সময়ে রাশিয়া এক প্রকারের এই জাতিগুলোর প্রতি সাম্রাজ্যবাদী ভূমিকায় অবতীর্ন হয়েছিলো। এই সময়ে দাগাস্তান ও চেচনীয়দের সাথে সোভিয়েতের সংকট সবচেয়ে বেশি ছিলো।
ভাবানুবাদক:
বদিরুজ্জামান
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
মূল বই:
Prisoners of Geography: Ten Maps That Explain Everything about the World.
লিখেছেন:
Tim Marshall,
A former foreign correspondent for Britain's Sky News Television
1. মেদভেদের দেশ রাশিয়া (Russia): সীমান্ত ঘেঁষা যুদ্ধের শঙ্কা (প্রথম পর্ব)
2. কি'ভেন রুশের (Kievan Rus) দেশ রাশিয়াঃ মস্কো থেকে সাইবেরিয়া (পর্ব ২)
3. উষ্ণ জলের দিকে রাশিয়ার যাত্রা (পর্ব ৩)
4. রাশিয়ার রাজনৈতিক অস্ত্রঃ জ্বালানী ও ইউরোপের শীত (চতুর্থ পর্ব)
5. রাশিয়ার "Near Abroad" নীতি ও পুতিনের ইতিহাস পাঠ (পঞ্চম পর্ব)
6. রাশিয়ার জ্বালানী ও রুশ ভাষী ইউরোপিয়ান (শেষ পর্ব)





No comments